সহজে জাপানি ভাষা: কথোপকথনের পাঠ | NHK WORLD-JAPAN

"হারু-সান হাউস" এর বাসিন্দারা তামকে তাদের সেই যৌথভাবে বসবাসের বাড়িতে নিয়ে গেল। মেয়েটির সঙ্গে রাস্তায় তাদের পরিচয় ঘটেছিল।

ভিয়েতনাম থেকে জাপানে পড়তে আসা বিদেশী শিক্ষার্থী তাম-এর সম্মানে তার শেয়ার করা ভাড়া বাড়িতে একটি অভ্যর্থনা পার্টি আয়োজন করা হয়েছে। কাইতো সেখানে টেবিল-ভর্তি খাবার তৈরি করেছে।

তাম তার নতুন বন্ধু, চীন থেকে আসা ফটগ্রাফার মি ইয়া’র সঙ্গে কথা বলছে। মি ইয়া'র রুমের দেওয়ালগুলো সাজানো রয়েছে জাপানজুড়ে তার তোলা সব ছবি দিয়ে।

ভিয়েতনাম থেকে জাপানে আসা বিদেশী শিক্ষার্থী তাম আজ প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে যাবে, তাই সে নার্ভাস। তার রোবট বাড়িওয়ালী হারু-সান ব্যাপারটা আঁচ করতে পারলেন।

আজ প্রথম বারের মত ট্রেনে করে টোকিওতে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে তাম। সে এখন স্টেশনে, কিন্তু সে বুঝে উঠতে পারছে না যে সঠিক ট্রেনেই সে উঠতে যাচ্ছে কি না।

তাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়াতে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছিল। ঠিক তখনই জাপানি এক ছাত্রী তার সঙ্গে কথা বলার জন্য এগিয়ে আসে।

তাম এবং তার বন্ধু আয়াকা এসেছে টোকিও মেট্রোপলিট্যান গভর্নমেন্ট বিল্ডিং-এর পর্যবেক্ষণ মঞ্চে। তাদের সঙ্গে মি-ইয়া’র সাক্ষাত হল।

ভিয়েতনাম থেকে আসা তাম জাপানে তার ভাড়াটে বাড়ির আরেক বাসিন্দা কাইতো আর তার মার্কিন বন্ধু মাইকের সঙ্গে একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের খাদ্যপণ্য বিভাগে এসেছে। জাপানে সবজি ও খাদ্যপণ্য সাধারণত ডিপার্টমেন্ট স্টোরের "চিকা" অথাৎ বেসমেন্ট বা ভূগর্ভস্থ ফ্লোরে বিক্রি হয় বলে এই অংশটিকে "দেপা-চিকা" বলা হয়।

তাম তার বন্ধু আয়াকার সঙ্গে একটি ইলেক্ট্রনিক পণ্যের দোকানে এসেছে। সে একটি হেয়ার ড্রায়ার কিনতে চায়।

চীন থেকে আসা ফটোগ্রাফার মি-ইয়া'র সঙ্গে তাম এসেছে টোকিওর আসাকুসা এলাকায়। তারা সেখানে "নাকামিসে দোওরি"তে সুভেনিরের দোকানগুলো ঘুরে দেখছে।

তাম এবং চীনা ফটোগ্রাফার মি ইয়া টোকিওর আসাকুসা এলাকার সেনসোওজি মন্দিরে এসেছে। অ্যামিউলেট বা সৌভাগ্যের কবচ বিক্রি করে এমন এক দোকানে এখন রয়েছে তারা।

তাম "হারু-সান হাউস"-এর লিভিং রুমে রোবট বাড়িওয়ালী হারু-সান এবং চীনা ফটোগ্রাফার মি ইয়া'র সঙ্গে কথা বলছে।

জাপানে আসার আগে তাম ভিয়েতনামের একটি স্কুলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করত। তখন একদিন সেই স্কুলের শিশুদের জন্য পিয়ানো বাজাতে জাপান থেকে আসেন ইউকি।

চীনা ফটোগ্রাফার মি ইয়া জাপানের নাগানো জেলায় এসেছে উষ্ণ প্রস্রবণের ছবি তুলতে। সে জিগোকুদানি ইয়াএন কোওএন নামে পরিচিত একটি পার্কে যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি নিতে চাইছে।

মি ইয়া জাপানের নাগানো জেলার একটি বিখ্যাত উষ্ণ প্রস্রবণ দেখতে এসেছে যেখানে বন্য বানরেরা স্নান করতে নামে। এক জাপানি দম্পতির সঙ্গে তার আলাপ হল।

ছবি তুলতে নাগানো জেলায় এসেছে মি ইয়া। সেখানে এক জাপানি দম্পতির সঙ্গে পরিচয় ঘটলে তারা একসঙ্গে সোবা নুডলসের রেস্তোরাঁয় গেল।

"হারু-সান হাউস"-এর লিভিং রুমে তাম এবং রোবট বাড়িওয়ালী হারু-সান'কে মি ইয়া তার নাগানো ভ্রমণের কাহিনি শোনাচ্ছে।

মি ইয়া এবং কাইতো'র সঙ্গে হোক্কাইদো যাওয়ার পরিকল্পনা করছে তাম। ভ্রমণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সে এসেছে দস্তানা বা গ্লাভস কিনতে।

তাম এবং মি ইয়া হোক্কাইদো'র সাপ্পোরো নগরীতে এসেছে। তাজা সামুদ্রিক খাবারের স্বাদ নিতে তারা একটি রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করল।

তাম এবং মি ইয়া হোক্কাইদো ভ্রমণ করছে। তারা কাইতো'র সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সাপ্পোরো ঘড়ি টাওয়ারে অপেক্ষা করছে।

তাম, মি ইয়া এবং কাইতো এখন সাপ্পোরো শহরে তুষার উৎসবে এক বিশাল তুষার ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান করছে।

তাম, আয়াকা এবং মাইক একটি বিড়াল ক্যাফেতে এসেছে যেখানে বিড়ালের সঙ্গে খেলা করা যায়।

হারু-সান হাউসে কাইতো সবার জন্য জাপানি ধাঁচের সকালের নাশতা তৈরি করেছে।

তামকে সুস্থ বলে মনে হচ্ছে না। হারু-সানের ইলেক্ট্রনিক সেন্সর তার সমস্যা ধরতে পারল।

তাম এবং একই বাড়িতে থাকা তার সঙ্গীরা চেরি ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে একটি পার্কে এসেছে।

তামকে রামেন নুডলসের এক দোকানে নিয়ে এসেছে কাইতো। তামের তখন মনে পড়ে গেল সঙ্গীত শিক্ষার্থী ইউকি'র কথা, যার সঙ্গে ভিয়েতনামে তার দেখা হয়েছিল।

মি ইয়া কামাকুরা বেড়াতে এসেছে। এক মন্দিরে পিয়ানো বাদন পরিবেশন করা হচ্ছে।

মি ইয়া কামাকুরাতে একটি পিয়ানো বাদন অনুষ্ঠানে তার তোলা ছবিগুলো তামকে দেখাচ্ছে। তাম সেগুলো দেখে অবাক হয়।

মি ইয়া'র সঙ্গে তাম একটি ক্যাফেতে এসেছে। তাম তখন একজন সঙ্গীত শিক্ষার্থী ইউকি'র সঙ্গে তার কিছু স্মৃতি বর্ণনা করল।

জাপানি সংস্কৃতির ভক্ত একজন মার্কিন নাগরিক মাইক একটি ভ্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ করতে "হারু-সান হাউস"-এ এসেছে।

মাইক এবং কাইতো মিয়ে জেলার নিনজা মিউজিয়ামে যাচ্ছে। মাইক নিনজাদের মত পোশাক পরে আছে।

কাইতো এবং মাইক নিরাপদেই নিনজা মিউজিয়াম পৌঁছে গেল। তারা নিনজাদের তারকা-আকৃতির শুরিকেন চাকু চালনার অভিজ্ঞতা নিতে চাইল।

তাম এবং মাইক একটি মাংগা ক্যাফেতে এসেছে, যেখানে মাংগা আর ম্যাগাজিনের বিশাল এক সংগ্রহ আছে।

তাম এবং আয়াকা টোকিওর অদূরে বিখ্যাত পর্যটন স্থান হাকোনে যাওয়ার জন্য ট্রেনে উঠেছে।

তাম এবং আয়াকা হাকোনে'তে উষ্ণ প্রস্রবণ থাকা এক সরাইখানায় এসেছে। একজন পরিচারিকা তাদের নির্ধারিত রুমের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

হাকোনে'তে উষ্ণ প্রস্রবণ থাকা সরাইখানায় তাম এবং আয়াকা তাদের রুমে একটি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

হাকোনে ভ্রমণরত তাম এবং আয়াকা সেখানে আশিনোকো হ্রদে পর্যটন নৌবিহারে অংশ নিচ্ছে।

তামের একটা সমস্যা ঘটল। হারু-সান হাউসে ফেরা মাত্র সে হারু-সানের কাছে সাহায্য চাইল।

হারু-সান হাউসে তাম, মি ইয়া এবং হারু-সান বিশ্রাম করছিলেন, আর ঠিক তখনই ঘটে গেল এক ঘটনা।

মি ইয়া তামকে ডাকলো। মি ইয়া কোন খবর জানতে পেরেছে বলে মনে হচ্ছে।

মি ইয়া'র সঙ্গে তাম তার অতি প্রিয় পিয়ানো বাদক ইউকি'র একটি কনসার্টে এসেছে।

ইউকি'র পিয়ানো পরিবেশনার পর ড্রেসিং রুমে তার সঙ্গে দেখা করতে গেল তাম এবং মি ইয়া।

শেষ পর্যন্ত ইউকির সঙ্গে তামের পুনরায় সাক্ষাত ঘটল। হারু-সান এবং কাইতো'কে সে এ বিষয়ে জানাচ্ছে।

রোবট বাড়িওয়ালী হারু-সানের কাছ থেকে তাম কিছু একটা সাহায্য চাইছে বলে মনে হচ্ছে।

হারু-সান হাউসের বাসিন্দারা কিয়োওতো শহরে বেড়াতে এসেছে। তারা "মাচিইয়া" বা টাউন-হাউসকে রূপান্তর করে নির্মিত একটি সরাইখানায় চেক-ইন করতে যাচ্ছে।

"হারু-সান হাউস"-এর বাসিন্দারা কিয়োওতো নগরীতে ফুশিমি ইনারি তাইশা মন্দির পরিদর্শন করছে।

"হারু-সান হাউস"-এর বাসিন্দারা কিয়োওতো নগরীর কিয়োমিযু-দেরা মন্দিরে পৌঁছেছে। এ পর্যায়ে তাম জানালো তার ভবিষ্যত স্বপ্নের কথা।