Filtrar por gênero
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত || Quran Recitation with Bangla Translation
- 114 - 114 Al-Nas || সূরা নাস
সূরা আন-নাস (আরবি: سورة الناس; মানবজাতি) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১৪ তম এবং সর্বশেষ সূরা; এর আয়াত, অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৬ এবং রূকু, তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১। সূরা আন-নাস মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে; যদিও কোন কোন বর্ণনায় একে মক্কায় অবতীর্ণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।[১] এর ছয় আয়াতে শয়তানের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষার জন্য সংক্ষেপে আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করা হয়। এই সূরাটি এবং এর পূর্ববর্তী সূরা আল-ফালাককে একত্রে মু'আওবিযাতাইন (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু'টি সূরা) নামে উল্লেখ করা হয়। অসুস্থ অবস্থায় বা ঘুমের আগে এই সূরাটি পড়া একটি ঐতিহ্যগত সুন্নত।[২]নামকরণ
সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস আলাদা আলাদা সূরা হলেও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এত গভীর ও উভয়ের বিষয়বস্তু পরস্পরের সাথে এত বেশি নিকট সম্পর্কিত যে এদেরকে একত্রে “মু’আওবিযাতাইন” (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু’টি সূরা) নামে ডাকা হয়; আর এই সূরা দু’টি নাযিলও হয়েছে একই সাথে একই ঘটনার পরি-প্রেক্ষিতে।[৩][৪][৫]
শানে নুযূল
সূরা ফালাক ও পরবর্তী সূরা আন নাস একই সাথে একই ঘটনায় অবতীর্ণ হয়েছে। মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, জনৈক ইহু্দী রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর উপর জাদু করেছিল। ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরাঈল আগমন করে সংবাদ দিলেন যে, জনৈক ইহু্দী জাদু করেছে এবং যে জিনিসে জাদু করা হয়েছে, তা অমুক কুপের মধ্যে আছে। রসূলুল্লাহ্ লোক পাঠিয়ে সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করে আনলেন। তাতে কয়েকটি গিরু ছিল। তিনি এই সূরা দুটি পড়ে ফুক দেওয়ায় গিরুগুলো সাথে সাথে খুলে যায় এবং তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে শয্যা ত্যাগ করেন।[৬]
হযরত আয়েশা থেকে বর্ণিত আছে, রসূলুল্লাহ্ - এর উপর জাদু করলে তার প্রভাবে তিনি মাঝে মাঝে দিশেহারা হয়ে পড়তেন এবং যে কাজটি করেননি, তাও করেছেন বলে অনুভব করতেন। একদিন তিনি হযরত আয়েশা -কে বললেনঃ আমার রোগটা কি, আল্লাহ্ তা'আলা তা আমাকে বলে দিয়েছেন। (স্বপ্নে) দুব্যক্তি আমার কাছে আসল এবং একজন শিয়রের কাছে ও অন্যজন পায়ের কাছে বসে গেল। শিয়রের কাছে উপবিষ্ট ব্যক্তি অন্য জনকে বলল, তাঁর অসুখটা কি? অন্যজন বললঃ ইনি জাদুগ্রস্ত। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলঃ কে জাদু করেছে? উত্তর হল, ইহুদীদের মিত্র মুনাফিক লবীদ ইবনে আ'সাম জাদু করেছে। আবার প্রশ্ন হলঃ কি বস্তুতে জাদু করেছে? উত্তর হল, একটি চিরুনীতে। আবার প্রশ্ন হল, চিরুনীটি কোথায়? উত্তর হল, খেজুর ফলের আবরণীতে 'বির যরোয়ান' কূপে একটি পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ তিনি কূপে গেলেন এবং বললেনঃ স্বপ্নে আমাকে এই কূপই দেখানো হয়েছে। অতঃপর চিরুনীটি সেখান থেকে বের করে আনলেন।[৭]
বাংলা অনুবাদ
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি মানুষের পালনকর্তার।মানুষের অধিপতির,মানুষের মা' বুদের,তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্মগোপন করে,যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে,জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে। হাদিস
আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ বলেনঃ সহীহ মুসলিমে ওকবা ইবনে আমের -এর বর্ণিত হাদীসে রসূলুল্লাহ বলেনঃ এক সফরে রসূলুল্লাহ ওকবা ইবনে আমেন -কে সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করালেন, অত:পর মাগরিবের নামাযে এ সূরাদ্বয়ই তেলাওয়াত করে বললেনঃঅন্য হাদীসে তিনি প্রত্যেক নামাযের পর সূরাদ্বয় পাঠ করার আদেশ করেছেন। - (আবু দাউদ, নাসায়ী) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হাবীব বর্ণনা করেন,- (মাযহারী)[৯].
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Nas #নাস #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 19 Jan 2024 - 00min - 113 - 113 Al-Falaq || সূরা ফালাক
সূরা আল-ফালাক (আরবি: سورة الفلق; নিশিভোর) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১৩ তম সূরা; এর আয়াত, অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৫ এবং রূকু, তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১। সূরা আল-ফালাক মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে; যদিও কোন কোন বর্ণনায় একে মক্কায় অবতীর্ণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।[১] এর পাঁচ আয়াতে শয়তানের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষার জন্য সংক্ষেপে আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করা হয়। এই সূরাটি এবং এর পরবর্তী সূরা আন-নাসকে একত্রে মু'আওবিযাতাইন (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু'টি সূরা) নামে উল্লেখ করা হয়। অসুস্থ অবস্থায় বা ঘুমের আগে এই সূরাটি পড়া একটি ঐতিহ্যগত সুন্নত।[২] নামকরণ
সূরা ফালাক ও সূরা আন-নাস আলাদা আলাদা সূরা হলেও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এত গভীর ও উভয়ের বিষয়বস্তু পরস্পরের সাথে এত বেশি নিকট সম্পর্কিত যে এদেরকে একত্রে “মু’আওবিযাতাইন” (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু’টি সূরা) নামে ডাকা হয়; আর এই সূরা দু’টি নাযিলও হয়েছে একই সাথে একই ঘটনার পরি-প্রেক্ষিতে।[৩][৪][৫]
শানে নুযূল
সূরা আল ফালাক ও পরবর্তী সূরা নাস একই সাথে একই ঘটনায় অবতীর্ণ হয়েছে। মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, জনৈক ইহু্দী রসূলুল্লাহ্ (সা:)- এর উপর জাদু করেছিল। ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। [[জিবরাঈল] (আ:)] আগমন করে সংবাদ দিলেন যে, জনৈক ইহু্দী জাদু করেছে এবং যে জিনিসে জাদু করা হয়েছে, তা অমুক কুপের মধ্যে আছে। রসুলুল্লাহ (সা:) লোক পাঠিয়ে সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করে আনলেন। তাতে কয়েকটি গিরু ছিল। তিনি এই সূরা দুটি পড়ে ফুক দেওয়ায় গিরুগুলো সাথে সাথে খুলে যায় এবং তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে শয্যা ত্যাগ করেন।[৬]
হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত আছে, রসুলুল্লাহ (সা:) - এর উপর জাদু করলে তার প্রভাবে তিনি মাঝে মাঝে দিশেহারা হয়ে পড়তেন এবং যে কাজটি করেননি, তাও করেছেন বলে অনুভব করতেন। একদিন তিনি হযরত আয়েশা (রা:) -কে বললেনঃ আমার রোগটা কি, আল্লাহ্ তা'আলা তা আমাকে বলে দিয়েছেন। (স্বপ্নে) দুব্যক্তি আমার কাছে আসল এবং একজন শিয়রের কাছে ও অন্যজন পায়ের কাছে বসে গেল। শিয়রের কাছে উপবিষ্ট ব্যক্তি অন্য জনকে বলল, তাঁর অসুখটা কি? অন্যজন বললঃ ইনি জাদুগ্রস্ত। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলঃ কে জাদু করেছে? উত্তর হল, ইহুদীদের মিত্র মুনাফিক লবীদ ইবনে আ'সাম জাদু করেছে। আবার প্রশ্ন হলঃ কি বস্তুতে জাদু করেছে? উত্তর হল, একটি চিরুনীতে। আবার প্রশ্ন হল, চিরুনীটি কোথায়? উত্তর হল, খেজুর ফলের আবরণীতে 'বির যরোয়ান' কূপে একটি পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ (সা:) সে কূপে গেলেন এবং বললেনঃ স্বপ্নে আমাকে এই কূপই দেখানো হয়েছে। অতঃপর চিরুনীটি সেখান থেকে বের করে আনলেন।[৭]
মুসনাদে আহমদের রেওয়ায়েতে আছে, রসুলুল্লাহ (সা:) -এর এই অসুখ ছয় মাস স্থায়ী হয়েছিল।[৮]
হাদিস
আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সা:) বলেনঃ যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মসীবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। - (ইবনে-কাসীর)[৯] সহীহ মুসলিমে ওকবা ইবনে আমের -এর বর্ণিত হাদীসে রসূলুল্লাহ (সা:) বলেনঃ তোমরা লক্ষ্য করেছ কি, অদ্য রাত্রিতে আল্লাহ তাআলা আমার প্রতি এমন আয়াত নাযিল করেছেন, যার সমতুল্য আয়াত দেখা যায় না। অর্থাৎ ক্বুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক এবং ক্বুল আউযু বিরাব্বিল নাস আয়াতসমূহ। অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, তওরাত, ইঞ্জীল, যাবুর এবং কোরআনেও অনুরূপ অন্য কোন সূরা নেই। এক সফরে রসূলুল্লাহ (সা:) ওকবা ইবনে আমেন -কে সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করালেন, অত:পর মাগরিবের নামাযে এ সূরাদ্বয়ই তেলাওয়াত করে বললেনঃ এই সূরাদ্বয় নিদ্রা যাওয়ার সময় এবং নিদ্রা শেষে বিছানা থেকে উঠার সময়ও পাঠ করো। অন্য হাদীসে তিনি প্রত্যেক নামাযের পর সূরাদ্বয় পাঠ করার আদেশ করেছেন। - (আবু দাউদ, নাসায়ী)[১০] হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হাবীব বর্ণনা করেন, এক রাত্রিতে বৃষ্টি ও ভীষণ অন্ধকার ছিল। আমরা রসূলুল্লাহ (সা:) -কে খুঁজতে বের হলাম। যখন তাকে পেলাম, তখন প্রথমেই তিনি বললেনঃ বল। আমি আরয করলাম, কি বলব? তিনি বললেনঃ সূরা এখলাস ও সূরা নাস সূরাদ্বয়। সকাল-সন্ধ্যায় এগুলো তিন বার পাঠ করলে তুমি প্রত্যেক কষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে। - (মাযহারী)[১০].
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Falaq #ফালাক #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 12 Jan 2024 - 00min - 112 - 112 Al-Ikhlas || সূরা ইখলাস
স্রষ্টার একত্ববাদের ঘোষণা [১] বা একনিষ্ঠতা (Arabic: الْإِخْلَاص, আল-ইখলাস ) [২] বা একত্ববাদ (আরবি: التوحيد, আত-তাওহীদ),[৩] যা সাধারণত সূরা আল-ইখলাস নামে পরিচিত, হলো কুরআনের ১১২ তম অধ্যায় (সূরা)।
কুরআন এর এই (সূরা)টি মুসলমাগণ বিশেষভাবে অনুশীলন করেন, এবং ইসলাম এর দ্বিতীয় উৎস (হাদিস) সূরাটিকে পুরো কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলে ঘোষণা করে। বলা হয় যে, সূরা ইখলাস (নবুয়ত লাভের পর) মুহাম্মাদ ও কুরাইশ পৌত্তলিকদের দ্বন্দ্ব চলাকালীন মুহাম্মাদ (সল্লল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে আল্লাহর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে চ্যালেঞ্জের জবাব দিয়েছিল।[৬]
আল-ইখলাস কেবল এই সূরার নামই নয়, এর বিষয়বস্তুর শিরোনামও, কারণ এটি একমাত্র তাওহীদের সাথে সম্পর্কিত। সাধারনত কুরআনের অন্যান্য সূরাগুলো তদ্বীয় একটি শব্দের নামে নামকরণ করা হয়েছে। তবে এই সূরাতে ইখলাস শব্দটি কোথাও পাওয়া যায় না। অর্থাৎ, এর অর্থ এবং বিষয় বিবেচনায় রেখে এ নাম দেওয়া হয়েছে।
[৪] বলুন (হে নবি),আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়; আল্লাহ অমুখাপেক্ষী; তিনি কাউকে জন্ম দেননি,কেউ তাঁকে জন্ম দেননি; আর কেউই তাঁর সমতুল্য নয়।[৫]
Meaning
1. Say: He, Allah, is Ahad (The Unique One of Absolute Oneness, i.e., single and indivisible with absolute and permanent unity and distinct from all else, who is unique in It’s essence, attributes, names and acts, The One who has no second, no associate, no parents, no offspring, no peers, free from the concept of multiplicity or divisibility, and far from conceptualization and limitation, and there is nothing like Him in any respect).[8][9][10]
2. Allah is al-Samad [ar] (The Ultimate Source of ALL existence, The uncaused cause Who created all things out of nothing, Who is eternal, absolute, immutable, perfect, complete, essential, independent, and self-sufficient; Who does not need to eat or drink, sleep or rest; Who needs nothing while all of creation is in absolute need of Him; The One eternally and constantly required and sought, depended upon by all existence and to whom all matters will ultimately return).[11][9][12][13]
3. He begets not, nor is He begotten (He is Unborn and Uncreated, has no parents, wife or offspring).
4. And there is none comparable (equal, equivalent or similar) to Him.[14][15]
Hadith
According to hadiths, this surah is an especially important and honored part of the Quran:
Narrated Abu Said Al-Khudri: A man heard another man reciting (in the prayers): 'Say (O Muhammad): "He is Allah, the One." (112.1) And he recited it repeatedly. When it was morning, he went to the Prophet and informed him about that as if he considered that the recitation of that Sura by itself was not enough. Allah's Apostle said, "By Him in Whose Hand my life is, it is equal to one-third of the Quran."[18][19]
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Ikhlas #ইখলাস #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 05 Jan 2024 - 00min - 111 - 111 Al-Masad || সূরা লাহাব
সূরা আল লাহাব (আরবি: سورة اﻟﻠﻬﺐ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১১ তম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ৫ এবং সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
আবু লাহাবের আসল নাম ছিল আবদুল ওয্যা। সে ছিল আবদুল মোত্তালিবের অন্যতম সন্তান। গৌরবর্ণের কারণে তার ডাক নাম হয়ে যায় আবু লাহাব। কোরআন পাক তার আসল নাম বর্জন করেছে। কারণ সেটা মুশরিকসুলভ। এছাড়া "আবু লাহাব" ডাক নামের মধ্যে জাহান্নামের সাথে বেশ মিলও রয়েছে। সে রসূলুল্লাহ্ - এর কট্টর শত্রু ও ইসলামের ঘোর বিরোধী ছিল এবং রসূলুল্লাহ্ -কে কষ্ট দেয়ার প্রয়াস পেত। তিনি যখন মানুষকে ঈমানের দাওয়াত দিতেন, তখন সে সাথে সাথে যেয়ে তাকে মিথ্যাবাদী বলে প্রচার করত।
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
এটি মাক্কি সূরা, বোখারী ও মুসলিম এর বর্ণনানুসারে, রসুল সঃ এর উপরে যখন অবতীর্ণ হয় "আর আপনি আপনার নিকটজনদেরকে ভীতি প্রদর্শন করুন" তখন তিনি সঃ সাফা পর্বতের চূড়ায় তার আত্মীয় স্বজনদেরকে সমবেত করে তাদেরকে আল্লাহ্র ভয় প্রদর্শন করেন। প্রতিউত্তরে আবু লাহাব কটাক্ষ করলে সূরাটির সুত্রপাত হিসাবে প্রথম তিন আয়াত অবতীর্ণ হয়।
শানে নুযূল
আল্লাহ্ একটি আয়াত অবতীর্ণ করলে রসূলুল্লাহ্ সাফা পর্বতে আরোহণ করে কোরাইশ গোত্রের উদ্দেশে "আবদে মানাফ" ও "আবদুল মোত্তালিব" ইত্যাদি নাম সহকারে ডাক দিলেন। এভাবে ডাক দেয়া তখন আরবে বিপদাশংকার লক্ষণ রূপে বিবেচিত হত। ডাক শুনে কোরাইশ গোত্র পর্বতের পাদদেশে একত্রিত হল। রসূলুল্লাহ্ বললেনঃ "যদি আমি বলি যে, একটি শত্রুদল ক্রমশঃই এগিয়ে আসছে এবং সকাল বিকাল যে কোন সময় তোমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে, তবে তোমরা আমার কথা বিশ্বাস করবে কি?" সবাই একবাক্যে বলে উঠলঃ "হাঁ, অবশ্যই বিশ্বাস করব।" অতঃপর তিনি বললেনঃ "আমি (শিরক ও কুফরের কারণে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে নির্ধারিত) এক ভীষণ আযাব সর্ম্পকে তোমাদেরকে সতর্ক করছি।" একথা শুনে আবু লাহাব বললঃ "ধ্বংস হও তুমি, এজন্যেই কি আমাদেরকে একত্রিত করেছ?" অতঃপর সে রসূলুল্লাহ্ -কে পাথর মারতে উদ্যত হল। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সূরা লাহাব অবতীর্ণ হয়।[১]
বাংলা অনুবাদঃ
- ধ্বংস হোক আবু লাহাবের হস্তদ্বয় এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও। তার ধন-সম্পদ আর সে যা অর্জন করেছে তা তার কোন কাজে আসল না। অচিরেই সে শিখা বিশিষ্ট জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে, আর তার স্ত্রীও- যে কাঠবহনকারিণী (যে কাঁটার সাহায্যে নবী-কে কষ্ট দিত এবং একজনের কথা অন্যজনকে ব’লে পারস্পরিক বিবাদের আগুন জ্বালাত)। আর (দুনিয়াতে তার বহনকৃত কাঠ-খড়ির পরিবর্তে জাহান্নামে) তার গলায় শক্ত পাকানো রশি বাঁধা থাকবে।
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Masad #লাহাব #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 29 Dec 2023 - 00min - 110 - 110 An-Nasr || সূরা নাসর
সূরা আন নাসর (আরবি: سورة النصر) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১০ তম সূরা। তাফসীরকারীদের সর্বসম্মত অভিমত এই যে, সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ এবং এর আয়াত সংখ্যা ৩টি। সূরা নছর-এর অপর নাম সূরা "তাওদী"। "তাওদী" শব্দের অর্থ বিদায় করা। এ সূরায় রসূলে কারীম-এর ওফাত নিকটবর্তী হওয়ার ইঙ্গিত আছে বিধায় এর নাম "তাওদী" হয়েছে।[১]
হযরত ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত আছে যে, সূরা নছর কোরআনের সর্বশেষ একদফায় পূর্ণাঙ্গভাবে অবতীর্ণ সূরা। অর্থাৎ, এরপর কোন সম্পূর্ণ সূরা একদফায় অবতীর্ণ হয়নি, অন্যান্য সূরার আয়াত নাযিল হয়েছে। অত:এব কারো কারো বর্ণনায় সূরা আন নছরের পর কোন কোন আয়াত নাযিল হওয়ার যে তথ্য পাওয়া যায়, তা এর পরিপন্থী নয়। সূরা ফাতেহাকে এই অর্থেই কোরানের সর্বপ্রথম সূরা বলা হয়। আর্থাৎ, সম্পূর্ণ সূরারূপে একদফায় সূরা ফাতিহাই সর্বপ্রথম নাযিল হয়েছে। সুতরাং সূরা আলাক, মুদ্দাস্সির ইত্যাদির কোন কোন আয়াত পূর্বে নাযিল হলেও তা এর পরিপন্থী নয়।[২]
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
ঠিক কখন এ সূরাটি নাযিল হয়েছিল সে সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। হযরত ইবনে ওমর বলেনঃ সূরা নছর বিদায় হজ্বে অবতীর্ণ হয়েছে।[৩] এরপর "আলইয়াওমা আকমালতু লাকুম দিনাকুম" আয়াত অবতীর্ণ হয়। এর পর রসূলুল্লাহ্ মাত্র আশি দিন জীবিত ছিলেন। রসূলুল্লাহ্ -এর জ়ীবনের যখন মাত্র পঞ্চাশ দিন বাকী ছিল, তখন কামালার আয়াত নাযিল হয়। অতপরঃ মৃত্যুর পঁয়ত্রিশ দিন বাকী থাকার সময় "লাকাদ যা-আকুম রাসূলুম মিন আনফুছিকুম আযীযুন আলাইহি ..." আয়াতটি অবতীর্ণ হয় এবং একুশ দিন বাকী থাকার সময় ইত্তাক্বু ইয়াওমান তুরযাউনা ফিহী ..." আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।[৪]
শানে নুযূল
এই সূরার আয়াতসমূহ নবী মুহাম্মদ কে উদ্দেশ্য করে বর্ণিত। মক্কা বিজয়ের লক্ষণসমূহ পরিস্ফুট হয়ে ওঠা এবং এ বিজয়ের মাধ্যমে দুনিয়াতে ইসলামের রাসুল মুহাম্মদ -এর আগমন ও অবস্থানের উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়ে যাওয়ার সমাসন্নতার পরিপ্রেক্ষিতে এই সূরাটি নাযিল হয়ে থাকবে। এ সূরার অন্যতম তাৎপর্য এই যে মৃত্যু নিকটবর্তী প্রতীয়মান হলে মুসলমান ব্যক্তিকে তাসবীহ ও ইস্তেগফার করতে হবে।[৫] আয়িশা (রা:) থেকে বর্ণিত যে, সূরা আন নাসর নাযিল হওয়ার পর রাসুল প্রত্যেক নামাযের পর ‘সুবহানাকা রাব্বানা ওয়া বেহামদিকা আল্লাহুম্মাগ ফিরলি’ দুয়াটি পাঠ করতেন। উম্মে সালমা থেকে বর্ণিত যে, সূরা আন নছর নাযিল হওয়ার পর থেকে রাসুল (সা:) সর্বাবস্থায় ‘সুবহানাল্লাহে ওয়া বেহামদিহি আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আ তুউবু ইলাইহি’ দুয়াটি পাঠ করতেন এবং, অতঃপর, এই দুয়া পাঠের যুক্তিস্বরূপ সূরাটি তিলাওয়াত করতেন। [৬]
বিষয়বস্তুর বিবরণ
৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা বিজয়ের পরের বছর অর্থাৎ ৯ম ও ১০ম হিজরীকে ইতিহাসে ‘প্রতিনিধি দলসমূহের আগমনের বছর’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিনিধি দলসমূহের সংখ্যা ৭০ এর চেয়ে বেশি। ওই সময়ে মক্কার কাফিররা দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করে। সূরা নাসরে মানুষের বিজয়ের বা সাফল্যের জন্য সৃষ্টিকর্তার সাহায্যের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বিজয় মানুষের শক্তিমত্তার ওপর নির্ভর করে না: বিপুল শক্তিশালী দলও যুদ্ধে পরাজিত হয়; অন্যদিকে, দুর্বল দলও আল্লাহ’র সাহায্যক্রমে জয়ী হতে পারে বদরের যুদ্ধ যার প্রমাণ। শক্তিমত্তা নয়, আল্লাহ’র সাহায্যই বিজয়ের একমাত্র নিয়ামক, এ কথাই সূরা নাসরের প্রথমিক তাৎপর্য। বিজয়ের মুহূর্তে আল্লাহ তার রাসুল -কে দুটি নির্দেশ দিয়েছেন এবং নিজের একটি গুণের কথা পুনরুক্ত করেছেন। প্রথমটি হলো আল্লাহ’র গুণকীর্তন করা যে তিনি সবরকম দুর্বলতা বা দোষ থেকে মুক্ত (অর্থাৎ তিনি কারো সাহায্যের মুখাপেক্ষী নন)। দ্বিতীয়ত আল্লাহ’র কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে তথা তাওবা করতে বলা হয়েছে। পুনরুক্ত করে বলা হয়েছে যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবা কবুলকারী। লক্ষণীয় যে, বিজয়ের জন্য উৎসব করতে বলা হয় নি।
বাংলা অনুবাদ
- যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন; নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী।
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #An-Nasr #নাসর #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 22 Dec 2023 - 00min - 109 - 109 Al-Kafirun || সূরা কাফিরুন
সূরা আল কাফিরুন (আরবি: سورة الكافرون) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৯ তম সূরা। সারাংশ
সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৬। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা কাফিরুন এবং সূরা ইখলাস ফজরের সুন্নতে এবং মাগরিব পরবর্তী সুন্নতে অধিক পরিমাণে পাঠ করতেন, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, "সূরা 'কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন' কুরআনের এক চতুর্থাংশ"।
সূরাটি সকল মুসলিমদের জন্যে উদাহরণ যে, কোন পরিস্থিতিতেই তারা শত্রুর সাথে আপসে যাবে না যা ইসলাম সমর্থন করেনা এবং এমন পরিস্থিতিতে তারা এই সূরার উপদেশ অনুসরণ করবে যা তাদের (অবিশ্বাসীদের) সম্পূর্ণভাবে হতাশ করবে।[১]
অবতীর্ণের সময় ও স্থান
সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়। এটির বিষয় এবং ঘটনা পরিষ্কার ভাবে স্থান, সময় ও পরিস্থিতিকে বুঝাতে সক্ষম রয়েছে। এটি ইসলামের উত্থানের মুহূর্তে অবতীর্ণ হয়েছে যখন সংখ্যায় অবিশ্বাসীদের তুলনায় মুসলিমরা সংখ্যালঘু এবং মুহাম্মদ প্রবল চাপের মধ্যে ছিলেন। অবিশ্বাসীরা তাকে তাদের ধর্মের (মূর্তিপূজা ও ইসলাম পরিপন্থী কার্যক্রম) পথে ডাকার চেষ্টা করলে তিনি কোনপ্রকার দ্বন্দ্ব ছাড়াই প্রত্যাখ্যান করেন এবং তাদের হতাশার মাঝে ফেলে দেন।[১]
শানে নুযূল
হযরত ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেন, ওলীদ ইবনে মুগীরা, আস ইবনে ওয়ায়েল, আসওয়াদ ইবনে আবুদল মোত্তালিব ও উমাইয়া ইবনে খলফ প্রমুখ মক্কার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কয়েকজন একবার রসূলুল্লাহ্ - এর কাছে এসে বললঃ আসুন, আমরা পরস্পরের মধ্যে এই শান্তি চুক্তি করি যে, এক বছর আপনি আমাদের উপাস্যদের এবাদত করবেন এবং এক বছর আমরা আপনার উপাস্যের এবাদত করব।[২]
তাবরানীর রেওয়ায়েতে হযরত ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেন, কাফেররা প্রথমে পারস্পরিক শান্তির স্বার্থে রসূলুল্লাহ্ - এর সামনে এই প্রস্তাব রাখল যে, আমরা আপনাকে বিপুল পরিমাণে ধনৈশ্বর্য দেব, ফলে আপনি মক্কার সর্বাধিক ধনাঢ্য ব্যক্তি হয়ে যাবেন। আপনি যে মহিলাকে ইচ্ছা বিবাহ করতে পারবেন। বিনিময়ে শুধু আমাদের উপাস্যদেরকে মন্দ বলবেন না। যদি আপনি এটাও মেনে না নেন, তবে এক বছর আমরা আপনার উপাস্যের এবাদত করব এবং এক বছর আপনি আমাদের উপাস্যদের এবাদত করবেন।[৩]
আবু সালেহ্-এর রেওয়ায়েতে হযরত ইবনে আব্বাস বলেনঃ মক্কার কাফেররা পারস্পরিক শান্তির লহ্ম্যে এই প্রস্তাব দিল যে, আপনি আমাদের কোন প্রতিমার গায়ে কেবল হাত লাগিয়ে দিন, আমরা আপনাকে সত্য বলব। এর পরিপ্রেহ্মিতে জিবরাঈল সূরা কাফিরূন নিয়ে আগমন করলেন। এতে কাফেরদের ক্রিয়াকর্মের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ এবং আল্লাহ্ তা'আলার অকৃতিম এবাদতের আদেশ আছে।[৪]
বিষয়বস্তুর বিবরণ
এখানে শুধুমাত্র ঐ সমস্ত কাফেরদেরকে বিশেষভাবে বুঝানো হয়েছে, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ জানতেন যে, তাদের কাফেররা মহানবী -এর কাছে যখন (নিরপেক্ষ সন্ধি) প্রস্তাব রাখল যে, এক বছর আমরা তোমার উপাস্যের ইবাদত করব এবং এক বছর তুমি আমাদের উপাস্যের ইবাদত করবে। প্রতি উত্তর থাকে, এটা কখনই সম্ভব নয় যে, আমি তাওহীদের পথ পরিত্যাগ করে শিরকের পথ অবলম্বন করে নেব; যেমন তোমরা চাচ্ছ। আর যদি আল্লাহ তোমাদের ভাগ্যে হিদায়াত না লিখে থাকেন, তাহলে তোমরাও তাওহীদ ও আল্লাহর উপাসনা থেকে বঞ্চিতই থাকবে।
যদি তোমরা তোমাদের দ্বীন নিয়ে সন্তুষ্ট থাক এবং তা ত্যাগ করতে রাজী না হও, তাহলে আমিও নিজের দ্বীন নিয়ে সন্তুষ্ট, তা কেন ত্যাগ করব? (لَناَ أَعْمَالُناَ وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ) অর্থাৎ, আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের জন্য। (আল ক্বাস্বাস ৫৫ আয়াত) (তাছাড়া তোমাদের কর্ম ভ্রষ্ট এবং আমার কর্ম শ্রেষ্ঠ। আর অন্যায়ের সাথে কোন আপোস নেই।)[৫]
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Kafirun #কাফিরুন #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 15 Dec 2023 - 00min - 108 - 108 Al-Kawthar || সূরা কাওসার
সূরাতুল কাউসার (আরবি: سورة الكوثر) মুসলিমদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৮ম সূরা।[১] এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৩টি। কুরআনের সংক্ষিপ্ততম সূরা, যা দশটি শব্দ এবং বিয়াল্লিশটি অক্ষর নিয়ে গঠিত এবং পবিত্র কুরআনের ক্রমানুসারে সুরা আল-মাউনের পরে এবং সূরা আল-কাফিরুনের পূর্বে রয়েছে।[২] আল-কাউসার ত্রিশতম পারায় অবস্থিত এবং মুহাম্মদ হাদি মারেফাতের মতে নাজিলের ক্রমানুসারে এর অবস্থান ১৫তমের দিকে যা ইবনে আব্বাসের বর্ণনার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। ইবনে ইসহাকের মতে, এটি পূর্ববর্তী "মাক্কী সূরা", যা মক্কায় ইসরা ও মিরাজের কিছু আগে নাজিল হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
সূরাটি নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর আল্লাহর অনুগ্রহের কথা বলে। জান্নাতের অন্যতম নদী বা ঝর্ণা আল-কাওসার,[৩] তার সম্পর্কে আবদুল্লাহ বিন ওমর বলেন: আল্লাহর রসূল বলেছেন: "আল-কাউসার জান্নাতের একটি নদী, তার পাড় সোনার এবং তার গৌরব এলম ও নীলকান্তমণির চেয়ে উত্তম গন্ধ কস্তুরীর চেয়ে ভাল এবং এর পানি বরফের চেয়ে সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি।"[৪]
নামকরণ
এই সুরার নাম টি এর প্রথম আয়াত থেকে উদ্ভূত। "কাওসার" শব্দটি কুরআনে একবারই ব্যবহৃত হয়েছে। আল-কাওসার প্রথম আরবি অর্থ "প্রাচুর্য" এর কবিতায় ব্যবহৃত হয়।[৫] রাঘেব ইস্পাহানি তার বই দ্য বুক অব সিংগুলারিটিজে "প্যারাডাইস ক্রিক" শব্দ দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন, যে এটি নবী মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপরের আল্লাহ বিরাট কল্যাণ ও অনুগ্রহ।[৬] মাজমাই আল-বাহরাইন এবং আবু মনসুর 'আব্দ আল-মালিক আল-সা'লাবির ফিকহ-এ তারিহির অর্থ "কল্যাণের প্রভু"।[৭][৮] আল-আরবের ইবনে মাঞ্জুরী কাওসারের অর্থকে "সবকিছুতে ভাল" বলে মনে করেন এবং কাওসারের বিভিন্ন অর্থ ও ব্যাখ্যা প্রকাশ করেন। আল-কামুস আল-মুহিয়াত ফিরুজাবাদী আল-কাওসার অর্থ "প্রচুর পরিমাণে" এবং "খাঁড়ি" বা "করুণাময় মানুষ" এর মতো অন্যান্য অর্থকে বুঝিয়েছেন।[৯]
যদিও ইবনে আশুর, একজন সুন্নি তাফসিরবিদ, শুধুমাত্র সূরার নামকে "কাওসার" বলে মনে করেন।[১০]
শানে নুযূল
যে ব্যক্তির পুত্রসন্তান মারা যায়, আরবে তাকে নির্বংশ বলা হয়। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পুত্র আল-কাসেম আথবা ইবরাহীম যখন শৈশবেই মারা গেলেন, তখন কাফেররা তাকে নির্বংশ বলে উপহাস করতে লাগল।[১১] ওদের মধ্যে 'আস ইবনে ওয়ায়েলের' নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার সামনে রসূলুল্লাহ্ -এর কোন আলোচনা হলে সে বলতঃ আরে তার কথা বাদ দাও, সে তো কোন চিন্তারই বিষয় নয়। কারণ, সে নির্বংশ। তার মৃত্যু হয়ে গেলে তার নাম উচ্চাচরণ করারও কেউ থাকবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে সূরা আল কাওসার অবতীর্ণ হয়।
বিষয়বস্তুর বিবরণ
সারকথা, পুত্রসন্তান না থাকার কারণে কাফেররা রসূলুল্লাহ্ (সা.) -এর প্রতি দোষরোপ করত আথবা অন্যান্য কারণে তার প্রতি ধৃষ্টতা প্রদর্শন করত। এরই প্রেক্ষাপটে সূরা কাউসার অবতীর্ণ হয়। এতে দোষরোপের জওয়াব দেয়া হয়েছে যে, শুধু পুত্রসন্তান না থাকার কারণে যারা রসূলুল্লাহ্ (সা.)-কে নির্বংশ বলে, তারা তার প্রকৃত মর্যাদা সম্পর্কে বে-খবর। রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর বংশগত সন্তান-সন্ততিও কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, যদিও তা কন্যা-সন্তানের তরফ থেকে হয়। অনন্তর নবী আধ্যাত্নিক সন্তান অর্থাৎ, উম্মত তো এত অধিকসংখ্যক হবে যে, পূর্ববর্তী সকল নবীর উম্মতের সমষ্টি অপেহ্মাও বেশি হবে। এছাড়া এ সূরায় রসূলুল্লাহ্ (সা.) যে আল্লাহ্ তা'আলার কাছে প্রিয় ও সম্মানিত তাও তৃতীয় আয়াতে বিবৃত হয়েছে।
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Kawthar #কাওসার #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 08 Dec 2023 - 00min - 107 - 107 Al-Ma'un || সূরা মাউন
সূরা আল মাউন মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৭ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৭ টি। এ সূরায় কাফের ও মুনাফেকদের কতিপয় দুষ্কর্ম উল্লেখ করে তজ্জন্য জাহান্নামের শাস্তি বর্ণনা করা হয়েছে।[১] এ সূরায় এমন সব নামাযীদেরকে ধ্বংসের বার্তা শুনানো হয়েছে যারা নিজেদের নামাযে গাফলতি করে এবং লোক দেখানো নামায পড়ে।[২] নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
سورة الما عون আল্লাহ তায়ালা মক্কায় অবতীর্ণ করেন। সুতরাং এটি مكىة (মাক্কী) সুরা
শানে নুযূল
আল্লাহ তায়ালা মক্কাবাসীর হেদায়েত এর জন্য سورة الماعون নাজিল করেন । যে সব ব্যক্তিগণ সালাত এর ব্যাপারে উদাসীন এবং যারা ইয়াতিম ও অভাবগ্রস্তকে সাহায্য করে না তাদের প্রতি ধ্বংসের বার্তা দিয়ে দিয়েছেন।
আয়াত সমূহ
অনুবাদ
🕋 সূরাঃ আল-মাউন
أَرَءَيْتَ ٱلَّذِى يُكَذِّبُ بِٱلدِّينِ
আরাআইতাল্লাযী ইউকাযযি বুবিদ্দীন।
আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?
Seest thou one who denies the Judgment (to come)?
🕋
فَذَٰلِكَ ٱلَّذِى يَدُعُّ ٱلْيَتِيمَ
ফাযা-লিকাল্লাযী ইয়াদু‘‘উল ইয়াতীম।
সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
Then such is the (man) who repulses the orphan (with harshness),
🕋
وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ ٱلْمِسْكِينِ
ওয়ালা-ইয়াহুদ্দু‘আলা-ত‘আ-মিল মিছকীন।
এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
And encourages not the feeding of the indigent.
🕋
فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ
ফাওয়াইঁলুললিল মুসাল্লীন।
অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,
So woe to the worshipers
🕋
ٱلَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
আল্লাযীনাহুম ‘আন সালা-তিহিম ছা-হূন।
যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;
Who are neglectful of their prayers,
🕋
ٱلَّذِينَ هُمْ يُرَآءُونَ
আল্লাযীনা হুম ইউরাঊনা।
যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে
Those who (want but) to be seen (of men),
🕋
وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ
ওয়া ইয়ামনা‘ঊনাল মা‘ঊন।
এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।
But refuse (to supply) (even) neighboly needs.
Summary
1-2 Denunciation of those who deny the Quran and oppress the orphan 3-7 Hypocrites rebuked for neglect of prayer and charity.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Ma'un #মাউন #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 01 Dec 2023 - 00min - 106 - 106 Quraysh || সূরা কুরাইশ
সূরা কুরাইশ মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৬ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৪ টি।
এই সূরার ব্যাপারে সব তফসীরকারকই একমত যে, অর্থ ও বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে এই সূরা সূরা-ফীলের সাথেই সম্পৃক্ত। সম্ভবতঃ এ কারণেই কোন কোন মাসহাফে এ দু'টিকে একই সূরারূপে লেখা হয়েছিল। উভায় সূরার মাঝেখানে বিসমিল্লাহ্ লিখিত ছিল না। কিন্তু হযরত ওসমান যখন তাঁর খেলাফতকালে কোরআনের সব মাসহাফ একত্রিত করে একটি কপিতে সংযোজিত করান এবং সাহাবায়ে-কেরামের তাতে ইজমা হয়, তখন তাতে এ দু'টি সূরাকে স্বতন্ত্র দু'টি সূরারূপে সন্নিবেশিত করা এবং উভয়ের মাঝখানে বিসমিল্লাহ্ লিপিবদ্ধ করা হয়। হযরত ওসমান -এর তৈরি এ কপিকে 'ইমাম' বলা হয়।[১]
শানে নুযূল
সূরার প্রথম আয়াতে উল্লিখিত কুরাইশ শব্দ থেকেই উক্ত নামে সূরার নামকরণ করা হয়েছে। একে "সূরা ইলাফ" বলা হয়। উম্মু হানি বিনতু আবূ তালেব হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ বলেন, আল্লাহ কুরাইশদের সাতটি বিষয়ে মর্যাদা দান করেছেন:
(১) আমি তাদের মধ্য হতে।
(২) নবুওয়াত তাদের মধ্য হতে এসেছে।
(৩) কাবাগৃহের তত্ত্বাবধান।
(৪) হাজীদের পানি পান করানোর দায়িত্ব পালন।
(৫) আল্লাহ তাদেরকে হস্তীবাহিনীর বিরুদ্ধে সাহায্য করেছেন।
(৬) উক্ত ঘটনার পর কুরাইশরা দশবছর যাবৎ আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কারো ইবাদত করেনি।
(৭) আল্লাহ তাদের বিষয়ে কুরআনে পৃথক একটি সূরা নাযিল করেছেন যাতে তাদের ব্যতীত আর কারো আলোচনা করা হয়নি।
বিষয়বস্তুর বিবরণ
সুরা কুরাইশের মধ্যে কুরায়েশদের নিকট বায়তুল্লাহর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে এবং একনিষ্ঠভাবে কাবার মালিকের ইবাদতের প্রতি আহবান করা হয়েছে। নিম্নে এ বিস্তারিত আলোচনা করা হল—
মুহাম্মদের আগমনের পূর্বকাল থেকেই মক্কার কুরাইশরা বিভিন্ন প্রকার কুসংস্কার ও কাবা শরীফে অবস্থিত ৩৬০টি মূর্তির পূজা করা হতো। তা সত্ত্বেও আল্লাহ তাদের প্রতি বহুবিদ নিয়ামত ও সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছিলেন শুধু মাত্র কা’বার কারণেই। এমনকি তারা শীতকালে ইয়ামেন ও গ্রীষ্মে সিরিয়া বা সাম দেশে ব্যবসা বাণিজ্য করতে অভ্যস্ত ছিল। আর পবিত্র কা’বার কারণেই তারা ইয়ামেন ও সিরিয়া নিরাপদে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারত। তাছাড়া কাবার জন্যই তারা আবরাহ বাদশাহর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল। আর এসমস্থ বহুবিদ নিয়ামত তারা প্রাপ্ত হয়েছিল শুধু মাত্র কাবার অধিবাসী বলেই। তাই আল্লাহ আলোচ্য সূরায় কাবার গুরুত্ব তুলে ধরে, তথায় অবস্থিত দেব-দেবীর পূজা-আর্চনা না করে, উক্ত ঘরের প্রভু তথা আল্লাহর প্রতি ইবাদত করার আহ্বান করেছেন।
বাংলা অনুবাদ
- যেহেতু কুরাইশরা অভ্যস্ত; অভ্যস্ত শীত ও গ্রীষ্মের সফরে, এই ঘরের রবের ইবাদাত তাদের করা উচিত। যিনি তাদের ক্ষুধামুক্তি দিয়েছেন এবং নিরাপদ রেখেছেন।
Summary
1-4 The Quraish exhorted to thank God for commercial privileges.[1].
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Quraysh #কুরাইশ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 24 Nov 2023 - 00min - 105 - 105 Al-Fil || সূরা ফীল
সূরা ফীল মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৫ম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ৫। এ সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। ফীল আরবী শব্দ যার অর্থ হস্তী বা হাতি। এ সূরায় হস্তীবাহিনীর ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে। তারা কা'বা গৃহকে ভূমিসাৎ করার উদ্দেশে হস্তীবাহিনী নিয়ে মক্কায় অভিযান পরিচালনা করেছিল। আল্লাহ্ তাআলা নগণ্য পক্ষীকূলের মাধ্যেমে তাদের বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে তাদের কুমতলবকে ধুলায় মিশিয়ে দেন। Summary
1-5 The army of Abraha destroyed for attacking the Kaabah.
তুমি কি দেখনি যে, তোমার রব হস্তি অধিপতিদের কিরূপ (পরিণতি) করেছিলেন? তিনি কি তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেননি?
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Fil #ফীল #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 17 Nov 2023 - 00min - 104 - 104 Al-Humazah || সূরা হুমাযাহ
সূরা হুমাযাহ মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৪ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৯ টি। এ সূরাটিতে তিনটি জঘন্য গোনাহের কথা বলা হয়েছে। গোনাহ্ তিনটি হল গীবত, সামনাসামনি দোষারোপ করা ও মন্দ বলা এবং অর্থলিপ্সা।
সূরা হুমাযাহ বাংলা অর্থ দেওয়া হয়েছে।
১) প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর দুর্ভোগ,
২) যে অর্থ সঞ্চিত করে ও গণনা করে
৩) সে মনে করে যে, তার অর্থ চিরকাল তার সাথে থাকবে!
৪) কখনও না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্টকারীর মধ্যে।
৫) আপনি কি জানেন, পিষ্টকারী কি?
৬) এটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি,
৭) যা হৃদয় পর্যন্ত পৌছবে।
৮) এতে তাদেরকে বেঁধে দেয়া হবে,
৯) লম্বা লম্বা খুঁটিতে।
Summary
1-4 Woes pronounced on slanderers and backbiters 5-9 Al Hutama describedOverview
In the phrase "slandering traducer" (Arabic: humaza lumaza), according to Ibn Kathir, the first word refers to slandering by speech, and the second to slander by action (though he also quotes Mujahid as saying the opposite: "Al-Humazah is with the hand and the eye, and Al-Lumazah is with the tongue.") The "fire ... which leapeth over the hearts" is sometimes interpreted as starting below and rising: according to Ibn Kathir, Muhammad bin Ka`b said that "it (the Fire) will devour every part of his body until it reaches his heart and comes to the level of his throat, then it will return to his body." The "columns" described in the final verse are interpreted as columns of fire by some authorities (e.g. As-Sudd), as in the translation above, but as literal pillars of iron by some others (e.g. Al-Awfi).
Surah Humazah tells how bad mankind can get into loss, and this is why some scholars state that there is no severer description given of hell in the Quran than the description given in this surah. Many severe and harsh descriptions of hell are mentioned throughout the Quran, however this Surah is especially unique, as Allah says about hell what He has not said in other Surahs: “Naarullah” ((the) Fire (of) Allah!).
In other surahs, Allah says “Naaru Jahannam” (Fire of Hell) etc. But when the fire is attributed to God, it's more than that, it's a fire lit by Allah Himself for those who opposed Him.
This is the last surah in the Quran which discusses the Akhirah (after life), and the surahs after this do not discuss the Akhirah afterlife again.
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Humazah #হুমাযাহ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 10 Nov 2023 - 01min - 103 - 103 Al-Asr || সূরা আছর
সূরা আছর মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৩ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৩ টি।
সূরা আছর কুরআনের একটি সংক্ষিপ্ত সূরা তবে মুসলামানদের কাছে এটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ সূরা এবং অনেক মুসলমান মনে করে মানুষ এ সূরাটিকেই চিন্তা ভাবনা সহকারে পাঠ করলে তাদের ইহকাল ও পরকাল সংশোধনের জন্যে যথেষ্ট হয়ে যায়। সূরার বক্তব্য অনুসারে এ সূরায় স্রষ্টা যুগের কসম করে বলেছেন যে, মানবজাতি অত্যন্ত হ্মতিগ্রস্ত এবং এই হ্মতির কবল থেকে কেবল তারাই মুক্ত, যারা চারটি বিষয় নিষ্ঠার সাথে পালন করে - ঈমান বা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস, সৎকর্ম, অপরকে সত্যের উপদেশ এবং ধর্য্য রাখার উপদেশ দান।[১]
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
মুজাহিদ , কাতাদাহ ও মুকাতিল একে মাদানী বলেছেন । কিন্তু মুফাসসিরগণের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ একে মক্কী সূরা হিসেবে গণ্য করেছেন। আর এই সূরার বিষয়বস্তু সাক্ষ্য দেয় , এটি মক্কী যুগেরও প্রাথমিক পর্যায়ে নাযিল হয়ে থাকবে। সে সময় ইসলামের শিক্ষাকে সংক্ষিপ্ত ও অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী বাক্যের সাহায্যে বর্ণনা করা হতো। এভাবে শ্রোতা একবার শুনার পর ভুলে যেতে চাইলেও তা আর ভুলতে পারতো না এবং আপনা আপনি লোকদের মুখে তা উচ্চারিত হতে থাকতো।
শানে নুযূল
ওলীদ ইবনে মুগিরা,আস ইবনে ওয়াইল, আসওয়াদ ইবনে মুত্তালিব প্রমুখ মুশরিক বলত যে , মুহাম্মদ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে । এ পরিপ্রেক্ষিতে (তাদের কথার অসারতা প্রমাণ করে) আল্লাহ তা'আলা সূরাটি নাযিল করেন।
বিষয়বস্তুর বিবরণ
তাফহীমুল কোরআনের ব্যাখ্যা অনুসারে, সময় মানে বিগত সময়-অতীত কালও হতে পারে আবার চলিত সময়ও। এই চলিত বা বর্তমান কাল আসলে কোনো দীর্ঘ সময়ের নাম নয়। বর্তমান কালে প্রতি মুহূর্তে বিগত হচ্ছে এবং অতীতে পরিণত হচ্ছে। আবার ভবিষ্যতের গর্ভ থেকে প্রতিটি মুহূর্ত বের হয়ে এসে বর্তমানে পরিণত হচ্ছে এবং বর্তমান থেকে আবার তা অতীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এখানে যেহেতু কোনো বিশেষত্ব ছাড়াই শুধু সময়ের কসম খাওয়া হয়েছে, তাই দুই ধরনের সময় বা কাল এর অর্ন্তভূক্ত হয়। অতীতকালের কসম খাওয়ার মানে হচ্ছেঃ মানুষের ইতিহাস এর সাক্ষ্য দিচ্ছে, যারাই এই গুনাবলী বিবর্জিত ছিল তারাই পরিনামে হ্মতিগ্রস্ত হয়েছে। আর বর্তমানকালের কসম খাওয়ার অর্থ হল যে, বর্তমানে যে সময়টি অতিবাহিত হচ্ছে সেটি আসলে এমন একটি সময় যা প্রত্যেক ব্যক্তি ও জাতিকে দুনিয়ায় কাজ করার জন্য দেয়া হয়েছে।[২]
আয়াত সমূহ
وَالْعَصْرِ
১. শপথ অপরাহ্নের;
إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ
২. নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত;إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ
৩. কিন্তু তারা ব্যতীত, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সত্যের এবং উপদেশ প্রদান করে ধৈর্য্যের৷Summary
1-2 Men generally seek for gain and find loss 3 The righteous, however, are the exception to this rule [3].
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Asr #আছর #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Wed, 12 Apr 2023 - 00min - 102 - 102 At-Takathur || সূরা তাকাসুর
সূরা আত তাকাসুর মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০২ তম সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৮ টি এবং রূকুর সংখ্যা ১। আত তাকাসুর সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
তাকাসুর শব্দটি আরবি: كثرة থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এর অর্থ প্রচুর ধন-সম্পদ সঞ্চয় করা। হযরত ইবনে আব্বাস ও হাসান বসরী তফসীর করেছেন। এ শব্দটি প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা অর্থেও ব্যবহৃত হয়। কাতাদাহ্ এ অর্থই করেছেন। হযরত ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ্ একবার এ আয়াত তেলাওয়াত করে বললেনঃ এর অর্থ অবৈধ পন্থায় সম্পদ সংগ্রহ করা এবং আল্লাহ্র নির্ধারিত খাতে ব্যয় না করা।[১][২]
নাযিল হওয়ার সময়কাল
আবু হাইয়ান ও শওকানী বলেন, সকল তাফসীরকার একে মক্কী সূরা গণ্য করেছেন। এ ব্যাপারে ইমাম সুয়ুতির বক্তব্য হচ্ছে, মক্কী সূরা হিসেবেই এটি বেশি খ্যাতি অর্জন করেছে। কিন্তু কিছু কিছু বর্ণনায় একে মাদানী সূরা বলা হয়েছে।এছাড়া রসুলল্লাহ (সঃ) মক্কী সূরার যে বৈশিষ্ট্যর কথা বলছিলেন তার সাথে অধিক পরিমাণ মিল তাই এটি মাক্কী সূরা
শানে নুযূল
ইবনে আবু হাতেম আবু বুরাইদার রেওয়ায়েত উদ্ধৃত করেছেন। তাতে বলা হয়েছেঃ বনী হারেসা ও বনিল হারস নামক আনসারদের দুটি গোত্রের ব্যপারে এ সূরাটি নাযিল হয়। উভয় গোত্র পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক ভাবে প্রথমে নিজেদের জীবিত লোকদের গৌরবগাঁথা বর্ণনা করে। তারপর কবরস্থানে গিয়ে মৃত লোকদের গৌরবগাঁথা বর্ণনা করে। তাদের এই আচরণের ফলে আল্লাহ্র এই বাণী নাযিল হয়। কিন্তু শানে নূযুলের জন্য সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈগণ যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন তাকে এই সূরা নাযিলের উপলক্ষ বলে মেনে নেবার সপক্ষে প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করা যায় না।
ইমাম বুখারী ও ইবনে জারীর হযরত উবাই ইবনে কা'বের একটি উক্তি উদ্ধৃত করেছেনঃ তাতে তিনি বলেছেনঃ "আমরা রসূলে করীম এর এ বাণীটিকে
“বনি আদমের কাছে যদি দুই উপত্যকা সমান সম্পদ থাকে তারপরও সে তৃতীয় একটি উপত্যকার আকাঙ্খা করবে। আদম সন্তানের পেট মাটি ছাড়া আর কিছু দিয়ে ভরে না। ”
কুরআনের মধ্যে মনে করতাম। এমন কি শেষ পর্যন্ত আলহাকুমুত্ তাকাসুর সূরাটি নাযিল হয়।"[৩]
বিষয়বস্তুর বিবরণ
এ সূরার মুল বিষয়বস্তু হলো আখিরাত। আখিরাত সম্পর্কে সজাগ এবং আখিরাতে যে অর্জিত সম্পদের হিসাব নেওয়া হবে সে বিষয়েই সতর্ক করা হয়েছে।
আলোচ্য বিষয়
দুনিয়া পাওয়ার ধান্দায় পরিণাম। Summary
1-3 Men spend their time seeking the things of this world 3-5 The judgment-day shall reveal their folly 6-8 In consequence they shall see hell-fire [1].
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #At-Takathur #তাকাসুর #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Tue, 11 Apr 2023 - 01min - 101 - 101 Al-Qaria || সূরা ক্বারিয়াহ
সূরা আল ক্বারিআহ বা আল ক্বারিয়াহ (আরবি: سورة القارعة) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কুরআনের ১০১তম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ১১টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১। এটি একটি মক্কী সূরা অর্থ্যাৎ এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
এ সূরার প্রথম শব্দ ক্বারিআহ থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে।[১] এ সূরায় শুধু কিয়ামত ও আখেরাতের ওপর আলোকপাত তরা হয়েছে। সূরার শুরুতে মানুষকে একটি "মহা দুর্ঘটনা!" বলে সতর্ক করা হয়েছে: ‘কী সেই মহা দুর্ঘটনা? তুমি কি জানো সেই মহা দুর্ঘটনাটি কী?’ এভাবে শ্রোতাদেরকে একটি ভয়াবহ ঘটনা অনুষ্ঠিত হবার খবর শোনার জন্য প্রস্তুত করার পর দুটি বাক্যে তাদের সামনে কিয়ামতের নক্শা এঁকে দেয়া হয়েছে।[২]
শানে নুযূল
যে ব্যক্তি সংখ্যায় তো নামায, রোযা, সদকা-যাক্বাত, হজ্জ অনেক করে, কিন্তু আন্তরিকতা ও সুন্নতের সাথে সামঞ্জস্য কম, তার আমলের ওজন কম হবে।
বিষয়বস্তুর বিবরণ
এ সূরায় আমলের ওজন ও তার হালকা এবং ভারী হওয়ার প্রেক্ষিতে জাহান্নাম অথবা জান্নাত লাভের বিষয় আলোচিত হয়েছে। আমলের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা সূরা আ'রাফের শুরুতে করা হয়েছে। সেখানে লিখিত হয়েছে যে, বিভিন্ন হাদীস আয়তের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে জানা যায়, আমলের ওজন সম্ভবতঃ দুবার হবে। প্রথমতঃ ওজন করে মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা হবে। মুমিনের পাল্লা ভারী ও কাফেরর পাল্লা হালকা হবে। এরপর মুমিনদের মধ্যে সৎকর্ম ও অসৎকর্মের পার্থক্য বিধানের জন্যে হবে দ্বিতীয় দফা ওজন করা হবে। এ সূরায় বাহ্যতঃ প্রথম ওজন বোঝানো হয়েছে, যাতে প্রত্যেক মুমিনের পাল্লা ঈমানের অভাবে হালকা হবে, সে যদিও কিছু সৎকর্ম করে থাকে। যার আমল আন্তরিকতাপূর্ণ ও সুন্নতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সংখ্যায় কম হলেও তার আমলের ওজন বেশি হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সংখ্যায় তো নামায, রোযা, সদকা-যাক্বাত, হজ্জ অনেক করে, কিন্তু আন্তরিকতা ও সুন্নতের সাথে সামঞ্জস্য কম, তার আমলের ওজন কম হবে।[৩] Summary
1-5 The day of judgment a day of calamity [6][1] 6-9 The good and bad shall be judged according to their works 10-11 Háwíyah described [6]After a picturesque depiction of judgement day in first 5 verses,[7] next 4 verses (ayat) describe that God's Court will be established and the people will be called upon to account for their deeds. The people whose good deeds will be heavier, will be blessed with bliss and happiness, and the people whose good deeds will be lighter, will be cast into the burning fire of hell.[8]
The last 2 verses describe Háwíyah[9] in a similar emphatic[10][11] way as Al-Qariah was emphasized[12][13] in the beginning. According to the Papal translator, Ludovico Marracci, the original word Hâwiyat is the name of the lowest dungeon of hell, and properly signifies a deep pit or gulf.[14] Jewish to Muslim convert, Muhammad Asad comments here: Lit., "his mother [i.e., goal] will be an abyss" (of suffering and despair). According to Quranite translator, Sam Gerrans, the term "mother" (umm) is used idiomatically to denote something that embraces or enfolds.[15]
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Qaria #ক্বারিয়াহ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Tue, 11 Apr 2023 - 01min - 100 - 100 Al-Adiyat || সূরা আদিয়াত
সূরা আল-আদিয়াত (আরবি: سورة العاديات) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০০ তম সূরা, এর আয়াতের সংখ্যা ১১টি, এর রূকুর সংখ্যা ১টি এবং ৩০ পারা। আ'দিয়াত সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। আল-আদিয়াত এর বাংলা অর্থ হল অভিযানকারী।[১]
অবতীর্ণ হওয়ার সময় ও স্থান
এই সূরাটির মক্কী বা মাদানী হওয়ার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, জাবের, হাসান বসরী, ইকরামা ও আতা বলেন, এটি মক্কী সূরা। আনাস ইবনে মালিক ও কাতাদাহ একে মাদানী সূরা বলেন। অন্যদিকে ইবনে আব্বাস থেকে দুই ধরনের মত উদ্ধৃত হয়েছে। তাঁর একটি মত হচ্ছে এটি মক্কী সূরা এবং অন্য একটি বক্তব্যে তিনি একে মাদানী সূরা বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সূরার বক্তব্য ও বর্ণনাভঙ্গী পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিচ্ছে যে, এটি কেবল মক্কী সূরাই নয় বরং মক্কী যুগের প্রথম দিকে নাযিল হয়।
শানে নুযূল
সুরা আদিয়াত নাজিলের পটভূমি হল হিজরি অষ্টম সনের একটি যুদ্ধ। মুসলমানদের ওপর অতর্কিতে হামলার উদ্দেশ্যে আরবের ইয়াবেস উপত্যকার মুশরিকরা মদীনার পার্শ্ববর্তী এলাকাতে জড়ো হলে হযরত মুহাম্মদ(সঃ) এ সংবাদ পেয়ে আবু বকরের নেতৃত্বে তাদের প্রতিহত করতে এক সেনাদল পাঠান। কিন্তু তারা ছিল খুবই দুর্ধর্ষ। ফলে আবু বকর ফিরে যেতে বাধ্য হন এবং বহু মুসলমানও নিহত হয়। দ্বিতীয় দিন উমর ইবনে খাত্তাবের নেতৃত্বে পাঠানো সেনাদলও একইভাবে ব্যর্থ হয়। তৃতীয় দিন আমর ইবনে আস বলেন, ‘আমাকে যদি নেতা নিযুক্ত করা হয় তবে আমি কৌশলে তাদেরকে হারাব।’ তাকেও পাঠানো হল। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসলেন। কোনো কোনো বর্ণনায় বলা হয় আবু বকর ও উমর কেবল আলোচনার মাধ্যমে ওই শত্রুদের বশে আনার চেষ্টা করেন এবং ব্যর্থ হন। যাই হোক অবশেষে মুহাম্মাদ আলীকে নেতা নিযুক্ত করলেন এবং তিনি তাঁকে মসজিদে আহযাব অবধি পৌঁছে দিয়ে বিদায় নিলেন। আলী সেনাদলকে সঙ্গে নিয়ে রওনা দিলেন এবং রাত থাকতেই তাদের কাছে পৌঁছে গেলেন এবং আক্রমণ করে তাদের বহু লোককে হত্যা করলেন এবং অবশিষ্টকে শৃঙ্খলিত করে নিয়ে আসলেন। এ কারণে ঐ যুদ্ধকে ‘বাতুল আখদাল’ বলা হয়।
এদিকে আলীর নেতৃত্বে বিজয়ীরা মদীনা পৌঁছানোর পূর্বেই সুরা আদিয়াত নাজিল হয়। মুহাম্মাদ ফজরের নামাজে এই নতুন সুরা পড়লে সাহাবিরা এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আলীর নেতৃত্বাধীন সেনাদের বিজয়ের সুসংবাদ শোনান। মুহাম্মাদ প্রফুল্ল চিত্তে যুদ্ধবিজয়ীদের অভ্যর্থনা জানাতে বেরিয়ে আসেন। আর যখন তাঁর ওপর আলীর দৃষ্টি পড়ল সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘোড়া থেকে নেমে পড়লেন। তখন মুহাম্মাদ বললেন, ‘হে আলী! যদি আমার উম্মতের বিপথগামিতার আশঙ্কা না থাকত তবে তোমার সম্পর্কে আমি সেই কথা বলতাম যারপর মানুষ তোমার পদধূলিকে রোগ-মুক্তির জন্য নিয়ে যেত।’
Summary
1-6 Oaths that man is ungrateful to his God 7-8 Man loves the things of this world 9-11 Man’s secret thoughts shall be discovered in the judgment-day [2]A one liner theme of surah al-adiyat would read that this surah gives an example that horses are more grateful to their owners than men are to their Rabb (Allah).[3]
First five ayaat of the surah consist of an oath as a metaphor enforcing the lesson.[4] They describe a scene of horses charging, panting, producing sparks by their hooves, raiding at the time of dawn, stirring up the cloud of dust and arriving a gathering.
The substantive proposition is in verses 6-8 that Man is ungrateful to his Lord and himself is a witness to it and he is immoderate in the love of worldly good.[5]
The last three ayaat conclude the surah with a rhetorical question that Does the man not know about the time when contents of the graves will be resurrected and that which is in men's breasts shall be brought to light on that Day their Sustainer will show that He has always been fully aware of them.
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Adiyat#আদিয়াত #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 23 Feb 2023 - 01min - 99 - 099 Al-Zalzalah || সূরা যিলযাল
সূরা যিল্যাল(আরবি: سورة الزلزلة) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৯৯ তম সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৮ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১। যিলযাল সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
এই সূরার বিষবস্তু হচ্ছে, মৃত্যুর পর মানুষের পরকালের জীবনের সূত্রপাত কিভাবে হবে এবং মানুষের জন্য তা হবে কেমন বিস্ময়কর ও সেখানে দুনিয়ায় করা সমস্ত কাজের হিসাব মানুষের সামনে এসে যাওয়া। হযরত আবী হাতেম হযরত আবু সাঈদ খুদরী থেকে যে রেওয়ায়েতটি উদ্ধৃত করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছেঃ যখন আয়াতটি নাযিল হয় তখন আমি রসূলুল্লাহ্-কে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি আমার আমল দেখবো? তিনি জবাব দিলেন, হাঁ। আমি বললাম, এই বড় বড় গুণাহগুলিও দেখবো? জবাব দিলেন, হাঁ। বললাম, আর এই ছোট ছোট গুণাহগুলিও? জবাব দিলেন, হাঁ। একথা শুনে আমি বললাম, তাহলে তো আমি মারা পড়েছি। তিনি বললেন, আনন্দিত হও, হে আবু সাঈদ কারণ প্রত্যেক নেকী তার নিজের মতো দশটি নেকীর সমান হবে।[১]
Summary
1-3 The judgment-day shall be ushered in by a declare why she trembles 6-8 Men shall be judged according to their deeds[1]The surah begins by describing how on the Day of Judgment, the Earth will give off a terrible earthquake and "throw up her burdens". Through the inspiration of God, the Earth will bear witness to the actions of men it has witnessed. According to Michael Sells, the earth opening up and bearing forth her secrets in this sura is indicative of a birth metaphor. The earth al-'Ard in the feminine gender bears forth of how her lord revealed the final secret to her. Human beings will then realize that the moment of accountability has arrived. This meticulous accountability will reflect good and evil deeds that might have seemed insignificant at the time.[2]
The two concluding verses state that all men will be sorted out into groups according to their deeds, and they will see the consequence of everything they have done; every atom's weight of good or evil:
That day mankind will issue forth in scattered groups to be shown their deeds.And whoso doeth good an atom's weight will see it then,And whoso doeth ill an atom's weight will see it then.— The Qur'an, verses 99:6-8 (translated by Marmaduke Pickthall)
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Zalzalah #যিলযাল#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 16 Feb 2023 - 01min - 98 - 098 Al-Bayyin || সূরা বাইয়্যিনাহ
সূরা আল বাইয়্যিনাহ (আরবি: سورة البينة) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৯৮ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৮ টি এবং এর রূকু ১টি। আল বাইয়্যিনাহ সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
Summary
1-2 The idolaters stagger at the revelations of the Quran 3-4 Jews and Christians dispute among themselves since the advent of Muhammad and his new religion 5 Unbelievers of all classes threatened with divine judgments 6 Those who disbelieve, from the People of the Book, and polytheists are the worst of all creatures, destined for hell[2] 7-8 'Those who believed and done righteous deeds' are “the best of creatures”; their reward [3]প্রথম আয়াতে রসূলুল্লাহ্-এর আবির্ভাবের পূর্বে দুনিয়াতে কুফর, শিরক, ও মূর্খতার ঘোর অন্ধকারের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, এহেন সর্বগ্রাসী অন্ধকার দূর করার জন্যে একজন পারদর্শী সংস্কারক প্রেরণ করা ছিল অপরিহার্য। রসূলুল্লাহ্ -এর জন্ম ও আবির্ভাবের পূর্বে আহ্লে-কিতাবরা সবাই তার নবুওয়তের ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করত। কেননা, তাদের ঐশীগ্রন্থ তৌরাত ও ইঞ্জীলে রসূলুল্লাহ্ -এর নবুওয়ত, তার বিশেষ গুণাবলী ও তার প্রতি কোরআন অবতরন সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা ছিল। তাই ইহুদী ও খ্রীষ্টানদের মধ্যে এ ব্যাপারে কোন বিরোধ ছিল না যে, শেষ যমানার নবী ও রসূল হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা আগমন করবেন, তার প্রতি কোরআন নাযিল হবে এবং তার অনুসরণ সবার জন্যে অপরিহার্য হবে।
“ আহ্লে কিতাবরা রসূলুল্লাহ্ -এর আবির্ভাবের পূর্বে তাঁর আগমনের অপেক্ষায় ছিল এবং যখন মুশরেকদের সাথে তাদের মোকাবেলা হত, তখনই তাঁর মধ্যস্থতায় আল্লাহ্ তাআলার কাছে বিজয় কামনা করে দোয়া করত যে, শেষ নবীর বরকতে আমাদের দান করা হোক। ”
অথবা তারা মুশরিকদেরকে বলতঃ
“ তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে শক্তি পরীক্ষা করছ বটে, কিন্তু সত্বরই একজন রসূল আসবেন, যিনি তোমাদেরকে পদানত করবেন। আমরা তাঁর সাথে থাকব, ফলে আমদেরই বিজয় হবে। ”
রসূলুল্লাহ্ -এর আগমনের পূর্বে আহ্লে-কিতাবরা সবাই তার নবুওয়ত সম্পর্কে অভিন্ন মত পোষণ করত, কিন্তু যখন তিনি আগমন করলেন, তখন তারা অস্বীকার করতে লাগল। কোরআনেরও অন্য এক আয়াতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ
“ তাদের কাছে যখন পরিচিত রসূল, সত্যধর্ম অথবা কোরআন আগমন করল, তখন তারা কুফর করতে লাগল। ”
আলোচ্য আয়াতে এ বিষয়টি এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, আশ্চর্যের বিষয়, রসূলের আগমন ও তাকে দেখার পূর্বে তো তাদের মধ্যে তার সম্পর্কে কোন মতবিরোধ ছিল না; সবাই তার নবুওয়ত সম্পর্কে একমত ছিল, কিন্তু যখন সুস্পষ্ট প্রমাণ অর্থাৎ শেষনবী আগমন করলেন, তখন তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়ে গেল। কেউ কেউ বিশ্বাস স্থাপন করে মুমিন হল এবং অনেকেই কাফের হয়ে গেল।[১]
সবশেষে পরিষ্কারভাবে বলে দেয়া হয়েছে, যেসব আহ্লি কিতাব ও মুশরিক এই রসূলকে মেনে নিতে অস্বীকার করবে তারা নিকৃষ্টতম সৃষ্টি। তাদের শাস্তি চিরস্তন জাহান্নাম। আর যারা ঈমান এনে সৎ কর্মের পথ অবলম্বন করবে এবং দুনিয়ায় আল্লাহ্কে ভয় করে জীবন যাপন করবে তারা সর্বোত্তম সৃষ্টি। তারা চিরকাল জান্নাতে থাকবে। এই তাদের পুরস্কার।[২]
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Bayyin #বাইয়্যিনাহ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 09 Feb 2023 - 02min - 97 - 097 Al-Qadr || সূরা ক্বদর
সূরা আল-কদর (বা ক্বদর) (আরবি: سورة القدر) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৯৭ তম সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৫ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১। আল ক্বদর সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।[১] কদরের এর অর্থ মাহাত্ম্য ও সম্মান। এর মাহাত্ম্য ও সম্মানের কারণে একে "লায়লাতুল-কদর" তথা মহিম্মান্বিত রাত বলা হয়। আবু বকর ওয়াররাক বলেনঃ এ রাত্রিকে লায়লাতুল-কদর বলার কারণ এই যে, আমল না করার কারণে এর পূর্বে যার কোন সম্মান ও মূল্য মহিমান্বিত থাকে না, সে এ রাত্রিতে তওবা-এস্তেগফার ও এবাদতের মাধ্যমে সম্মানিতও হয়ে যায়।
ঐতিহাসিক পটভূমি
হযরত আবু যর গেফারী বর্ণিত রেওয়ায়েতে রসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেনঃ ইবরাহীম-এর সহীফাসমূহ ৩রা রমযানে, তাওরাত ৬ই রমযানে, ইঞ্জিল ১৩ই রমযানে এবং যাবুর ১৮ই রমযানে অবতীর্ণ হয়েছে। কোরআন পাক ২০শে রমযানুল-মোয়ারকে নাযিল হয়েছে।[২] হাদীসে আছে, শবে-কদরে জিবরাঈল ফেরেশতাদের বিরাট এক দল নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যত নারী-পুরুষ নামায অথবা যিকরে মশগুল থাকে, তাদের জন্যে রহমতের দোয়া করেন। ফেরেশতাগণ শবে-কদরে সারা বছরের অবধারিত ঘটনাবলী নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করে। কোন কোন তফসীরবিদ একে "সালাম্মুন" এর সাথে সম্পর্কযুক্ত করে এ অর্থ করেছেন যে, এ রাত্রিটি যাবতীয় অনিষ্ট ও বিপদাপদ থেকে শান্তিস্বরূপ।[৩] শবে-কদরের এই বরকত রাত্রির কোন বিশেষ অংশে সীমিত নয়; বরং ফজরের উদয় পর্যন্ত বিস্তৃত।
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
এর মক্কী বা মাদানী হবার ব্যাপারে দ্বিমত রয়ে গেছে। আবু হাইয়ান বাহরুল মুহীত গ্রন্থে দাবী করেছেন , অধিকাংশ আলেমের মতে এটা মাদানী সূরা । আলী ইবনে আহমাদুল ওয়াহেদী তাঁর তাফসীরে বলেছেন , এটি মদীনায় নাযিলকৃত প্রথম সূরা। অন্যদিকে আল মাওয়ারদী বলেন , অধিকাংশ আলেমের মতে এটি মক্কী সূরা । ইমাম সুয়ূতী ইতকান গ্রন্থে একথাই লিখেছেন। ইবনে মারদুইয়া ইবনে আব্বাস (রা) , ইবনে যুবাইর ( রা) ও হযরত আয়েশা ( রা) থেকে এ উক্তি উদ্ধৃত করেছেন যে , সূরাটি মক্কায় নাযিল হয়েছিল। সূরার বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করলেও একথাই প্রতীয়মান হয় যে , এর মক্কায় নাযিল হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত।
শানে নুযূল
ইবনে আবী হাতেম -এর রেওয়ায়েতে আছে, রসূলুল্লাহ্ (সঃ) একবার বনী-ইসরাঈলের জনৈক মুজাহিদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। সে এক হাজার মাস পর্যন্ত অবিরাম জিহাদ[৪] মশগুল থাকে এবং কখনও অস্ত্র সংবরণ করেনি। মুসলমানগণ একথা শুনে বিস্মিত হলে এ সূরা কদর অবতীর্ণ হয়। এতে এ উম্মতের জন্যে শুধু এক রাত্রির ইবাদতই সে মুজাহিদের এক হাজার মাসের এবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করা হয়েছে। ইবনে জরীর অপর একটি ঘটনা এভাবে উল্লেখ করেছেন যে, বনী-ইসরাঈলের জনৈক ইবাদতকারী ব্যক্তি সমস্ত রাত্রি ইবাদতের মশগুল থাকত ও সকাল হতেই জিহাদের জন্যে বের হয়ে যেত এবং সারাদিন জিহাদে লিপ্ত থাকত। সে এক হাজার মাস এভাবে কাটিয়ে দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আল্লাহ্ তাআলা সূরা-কদর নাযিল করে এ উম্মতের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন। এ থেকে আরও প্রতীয়মান হয় যে, শবে-কদর উম্মতে মুহাম্মদীরই বৈশিষ্ট্য।[৫]
সারসংক্ষেপ
সুরাটির ১ নং আয়াতে তথ্য অনুযায়ী জানা যায় আল কদরের রাতে ইসলামের নবি মুহাম্মদ (দঃ) - এর প্রতি তার ধর্মীয় ঐশী গ্রন্থ কুরআন অবতীর্ণ হয় । ২ থেকে ৫ নং আয়াত (শেষ পর্যন্ত) আল কদরের রাত্রির মর্যাদা-মহিমা বর্ণিত ও প্রশংসিত হয়েছে ।[৮].
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Qadr #ক্বদর #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 02 Feb 2023 - 00min - 96 - 096 Al-Alaq || সূরা আলাক্ব
আল আলাক্ব (আরবি ভাষায়: العلق) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৯৬ তম সূরা। সূরা আলাক্বের আয়াত সংখ্যা ১৯। এতে একটি রূকু রয়েছে।
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
সূরা আলাক্ব মক্কায় অবতীর্ণ। এটি মক্কী সূরা হিসাবে পরিগণিত।
এই সূরাটির দুটি অংশ পরিলক্ষ্য করা যায়। প্রথম অংশটি প্রথম আয়াত থেকে শুরু হয়ে পঞ্চম আয়াত অবধি বিস্তৃত। অত:পর দ্বিতীয় অংশটি ষষ্ঠ আয়াত থেকে শুরু হয়ে সূরার শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ ১৯শ আয়াত অবধি বিস্তৃত। প্রথম অংশটি যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর অবতীর্ণ সর্বপ্রথম অহী এ ব্যাপারে উম্মাতে মুসলিমার আলেম সমাজের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ একমত। এ প্রসংগে ইমাম আহমাদ, বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ অসংখ্য সনদের মাধ্যমে হযরত আয়েশা (রা:) থেকে যে হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন তা সর্বাধিক সহীহ হাদীস হিসেবে গণ্য। এ হাদীসে হযরত আয়েশা (রা:) নিজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে ওহী শুরু হবার সম্পূর্ণ ঘটনা শুনে বর্ণনা করেছেন। এ ছাড়াও ইবনে আব্বাস (রা:),আবু মূসা আশ’আরী (রা:) ও সাহাবীগণের একটি দলও একথা বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর সর্বপ্রথম কুরআনের এই আয়াতগুলোই নাযিল হয়েছিল। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন হারম শরীফে নামায পড়া শুরু করেন এবং আবু জেহেল তাকে হুমকি দিয়ে তা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে তখন দ্বিতীয় অংশটি নাযিল হয়।
Summary
1-5 Command to Muhammad to recite the Quran 6-14 Rebuke of Abu Jahl for hindering the Muslim cause 15 ۩ 19 Abu Jahl threatened with the pains of hell [3] 1-5 The first revelationMain article: Muhammad's first revelation
The first five verses of this sura are believed by some to be the first verses of the Qur'an claimed to be related by Muhammad. He received them while on a retreat in a mountain cave at Hira, just outside the city of Makkah in 610 CE. A few commentators disagree with this account, claiming that the first revelation was the beginning of surat al-Muddaththir or surat al-Fatiha, but theirs is a minority position. Moreover, the term ‘Insan’ which is translated to man or human appears 65 times in the Qur'an, applying to both sexes of mankind, a generic ‘man’.[4]
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Alaq #আলাক্ব #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 26 Jan 2023 - 02min - 95 - 095 At-Tin || সূরা ত্বীন
সূরা আত-ত্বীন (আরবি: التين) মুসলিম ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআনের ৯৫ তম সূরা। এর মোট আটটি আয়াত বা বাক্য রয়েছে। ত্বীন শব্দের অর্থ আঞ্জির বা ডুমুর। এই সূরাতে আল্লাহর উপর ঈমান (বিশ্বাস) এবং সৎকর্মশীলতার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এই সূরাতে আল্লাহ প্রদত্ত কয়েকটি নিয়ামত বা অনুগ্রহের দোহাই দিয়ে ঈমান ও সৎকাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যেহেতু মানবজাতি অনেক অনুগ্রহ দ্বারা ধন্য হয়েছে, সেহেতু তাদের উচিত আল্লাহর উপর ঈমান রাখা এবং সৎকাজ করা; নচেৎ তারা নীচ ও শাস্তিযোগ্যরূপে গণ্য হবে। [১]
নামকরণ
সূরাটির প্রথম শব্দ 'ত্বীন' শব্দটিকেই এর নাম হিসেবে নেয়া হয়েছে।[২]
নাযিল হবার সময়
এই সূরাটি মক্কা নগরীতে নাযিল (অবতীর্ণ) হয়েছে।
অনুবাদ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
০০১. শপথ আঞ্জির ও যয়তুনের, ০০২. এবং সিনাই পর্বতের, ০০৩. এবং এই নিরাপদ (মক্কা) নগরীর। ০০৪. আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে। ০০৫. অতঃপর তাকে নামিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নিচে। ০০৬. কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে এমন পুরস্কার যা কোনোদিন শেষ হবেনা। ০০৭. কাজেই (হে নবী!) এরপর পুরস্কার ও শাস্তির ব্যাপারে কে তোমাকে মিথ্যাবাদী বলতে পারে? ০০৮. আল্লাহ কি সকল বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম বিচারক নন?Summary
1-4 Oaths that God created man “a most excellent fabric” 5-6 God has made all men vile except true believers 7-8 None may rightly deny the judgment-dayমূল বক্তব্য
এই সূরার শুরুতে আঞ্জির (ডুমুর), যয়তুন (জলপাই), সিনাই পর্বত এবং মক্কা শহরের কসম বা দোহাই দেয়া হয়েছে। আরবে সেই যুগে আঞ্জির ও জলপাই অত্যন্ত গুরুত্ববাহী দুটি ফল ছিল; খাদ্য ও অর্থকরী ফসল হিসেবে এর গুরুত্ব ছিল অসীম। সিনাই পর্বত হলো নবী হযরত মুসা এর স্মৃতিবিজড়িত স্থান। আর মক্কা ছিল নবী হযরত ইব্রাহিম এবং ইসমাইল -এর স্মৃতিবিজড়িত জায়গা। তদুপরি পবিত্র কাবা ঘরের মর্যাদার কারণে এই শহরটি নিরাপদ শহর হিসেবে তৎকালে গণ্য হত; সেখানকার অধিবাসীরা যুদ্ধ ও লুন্ঠনের আশঙ্কামুক্ত ছিল। এসকল বিষয়ের দোহাই দেওয়ার পর বলা হয়েছে, মানুষ অত্যন্ত সুন্দর গড়নে সৃষ্ট হয়েছে কিন্তু এদেরকেই আবার অত্যন্ত নিচে নামিয়ে দেয়া হবে যদি এরা স্রষ্টা ও প্রতিপালকের উপর বিশ্বাস না রাখে এবং ভাল কার্যকলাপ না করে। তদুপরি শেষ বিচারের দিন এদেরকে কঠিন বিচারের মুখোমুখিও হতে হবে। সমাপ্তিতে এও মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে যে, মহান প্রভু কখনো কারো উপর অবিচার করবেন না; শুধুমাত্র সুবিচারই করবেন। [৪]
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #At-Tin #ত্বীন #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 19 Jan 2023 - 01min - 94 - 094 Al-Inshirah || সূরা ইনশিরাহ
সূরা ইনশিরাহ পবিত্র কুরআনের ৯৪ তম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ৮, এটি মক্কায় অবতীর্ন তাই ইনশিরাহ মক্কি সূরা।
Summary
A map of Mecca, circa 1790. Sura Ash-Sharhh was revealed in Mecca, around 611 CE.
1-4 God made Muhammad’s mission easy to him 5-8 He is exhorted to labour and pray after the mission is endedThe passage asks the reader, who is Muhammad specifically, if God has been a comfort and a remover of obstacles. Whatever personal sorrows this may bring to mind, "Surely, with each difficulty there is ease". This may indeed be the key phrase of this sura; it is repeated in lines 5 and 6. Conversely, the reader is asked to continue their work diligently, even when it grows simple again - for God, Himself is what you are working for.
সূরা ইনশিরাহ’র মূল তিনটি বিষয় হল মহানবী (সা:) এর প্রতি মহান আল্লাহর নানা অনুগ্রহ, ভবিষ্যতে তাঁর দাওয়াতি তৎপরতার সমস্যাগুলোর সমাধানের সুসংবাদ বা ইঙ্গিত এবং এক আল্লাহর প্রতি মনোনিবেশ বা গভীর প্রেমসহ তাঁর ইবাদত ও তাঁর দরবারে দোয়া আর কাকতি-মিনতিতে মশগুল হওয়া। মহানবীর (স :) নবুওতি তৎপরতা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলে এ তৎপরতার প্রথম বছরেই নাজিল হয়েছিল সূরা ইনশিরাহ।
সূরা ইনশিরাহ’য় প্রথমত আল্লাহ রাসূল (সা:) এর বক্ষ জ্ঞানে পরিপূর্ণ হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। তা সত্ত্বেও কোনো কোনো তাফসীরকার বলেন যে, ফেরেশতা মহানবী (সা.)-এর বক্ষ বিদারণ করেছেন এবং তাঁর হৃদয় ধৌত করেছেন। এটা বুদ্ধি-বিবেকের সম্পূর্ণ বিপরীত ও অযৌক্তিক কথা। কারণ বুক ধুয়ে কখনও আত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জিত হয় না।
দ্বিতীয়ত আল্লাহ তাঁর প্রতি এই অনুগ্রহ করেছেন যে, পবিত্র কুরআন ব্যাখ্যা ও ঐশী বিধিবিধান পৌঁছানো এবং তা বাস্তবায়িত করার যে গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধে ছিল তা হযরত আলীর (আ.)-এর খেলাফত ও প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে লাঘব করে দিয়েছেন। আর যেহেতু এ আদেশ অর্থাৎ আলী (আ.)-এর খেলাফতের ঘোষণাকে তিনি খুব কঠিন কর্ম গণ্য করেছিলেন সে কারণে আল্লাহ যেরূপে অন্য স্থানে অন্য বাক্যে বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন অনুরূপ এ স্থলেও এভাবে বলেছেন যে, যখন অবসর পাও অর্থাৎ যখন তুমি বিদায় হজ পালন করে নবুওয়াতের দায়িত্ব সম্পন্ন করে নেবে তখন আলীকে খলিফা নিযুক্ত করার কঠোর প্রচেষ্টায় রত হও। অতঃপর আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করবে। অর্থাৎ মৃত্যুর প্রস্ততি নেবে। অবশ্য সুন্নী মুফাসসিররা এরূপ ব্যাখ্যা করেননি।
মহানবী (সা) যখন একত্ববাদের প্রচার শুরু করেন তখন কাফের ও মুশরিকদের ব্যাপক বিরোধিতা আর বাধার মুখোমুখি হন। তাই রেসালতের দায়িত্ব পালন তাঁর কাছে খুব কঠিন মনে হচ্ছিল প্রথমদিকে। অবশ্য প্রত্যেক নবী-রাসুলের জন্যই প্রথম দিকে কঠিন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল; মহান আল্লাহর সহায়তায় তারা সব সংকট ও বাধা কাটিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তবে মহানবীর (সা) জন্য পরিবেশ-পরিস্থিতি ছিল অনেক বেশি কঠিন ও প্রতিকূল। আর এ জন্যই মহান আল্লাহ সূরা ইনশিরাহ’তে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত মহানবী (সা:) কে বলছেন, আল্লাহর ধর্ম প্রচারের জন্য কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার কখনও বিফলে যায় না। প্রতিটি সংকট ও কষ্টের মধ্যেই লুকিয়ে আছে মুক্তির পথ। পবিত্র লক্ষ্য অর্জনের জন্য কষ্ট করা ও ত্যাগ স্বীকার এবং নানা বাধার মোকাবিলা করা ক্রম-বিকাশ ও উন্নতির নতুন নতুন পথ খুলে দেয়। তাই সংকট বা সমস্যাকে ভয় না করে সানন্দে বরণ করা উচিত। মহানবী (সা:) যেমন অবর্ণনীয় নানা কষ্টের শিকার হয়েছেন তেমনি আল্লাহর অনেক বিশেষ অনুগ্রহও পেয়েছেন। আর এ জন্যই সূরা ইনশিরাহতে মহান আল্লাহ বলেছেন: নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে।
সূরা ইনশিরাহ'র চার নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তাঁর সর্বশেষ রাসুল সম্পর্কে বলছেন, আমরা তোমার স্মরণকে উন্নীত করেছি। - আজ বিশ্বব্যাপী যত খানে যতবার নামাজের পবিত্র আজান দেয়া হয় ততবারই বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা:)'র নাম শ্রদ্ধাভরে উচ্চারণ করা হয়। মহান আল্লাহর নামের পরই মহানবীর (সা:) নাম উচ্চারণ করা হয়।
সূরা ইনশিরাহ’র শেষ আয়াতে বলা হয়েছে, হে নবী! যখনই কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করে অবসর পাবে তখন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করবে। সব সময়ই সাধনায় ব্যস্ত থাকবে এবং সর্ব অবস্থায় আল্লাহর প্রতি মনোযোগী থাকবে তথা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট থাকবে ও তাঁর নৈকট্য অর্জনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাবে।
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Inshirah #ইনশিরাহ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 12 Jan 2023 - 00min - 93 - 093 Ad-Dhuha || সূরা দুহা
সূরা আদ-দুহা (আরবি: الضحى aḍ-Ḍuḥà, অর্থ: "সকালের ঘণ্টা, উজ্জ্বল সকাল") মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৯৩ তম সূরা, এর আয়াতের সংখ্যা ১১টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১টি। আদ-দুহা সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।[১]
Summary
1-3 Muhammad comforted by the assurance that God is with him 4-5 The life to come to be preferred to the present life 6-11 Muhammad exhorted to care for the orphan and beggarPeriod of revelation
Its subject matter clearly indicates that it belongs to the earliest period at Mecca. Traditions also show that the revelations were suspended for a time, which caused Muhammad to be deeply distressed and grieved. On this account he felt very anxious that perhaps he had committed some error because of which his Lord had become angry with him and had forsaken him. Thereupon he was given the consolation that revelation had not been stopped because of some displeasure but this was necessitated by the same expediency as underlies the peace and stillness of the night after the bright day, as if to say: "If you had continuously been exposed to the intensely bright light of Revelation waḥy your nerves could not have endured it. Therefore, an interval was given in order to afford you peace and tranquility." This state was experienced by Muhammad in the initial stage of the Prophethood when he was not yet accustomed to hear the intensity of Revelation. On this basis, observance of a pause in between was necessary. This we have already explained in the introduction to sura al-Muddaththir; and in E. N. 5 of Surah al-Muzzammil also we have explained what great burden of the coming down of Revelation he had to bear. Later, when Muhammad developed the power to bear this burden, there was no longer any need for long gaps.
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Ad-Dhuha #দুহা #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 05 Jan 2023 - 01min - 92 - 092 Al-Lail || সূরা লাইল
সূরা আল লাইল (আরবি: النَّاسِ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কুরআনের ৯২ তম সূরা(অধ্যায়), এর আয়াত সংখ্যা ২১টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১টি। লাইল শব্দের অর্থ রাত্রি। আল লাইল সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।[১][২] তাই এটি মাক্কী সূরা।
মূল বক্তব্য
এ সূরায় বলা হয়েছে মানুষের প্রচেষ্টা বিভিন্ন প্রকারের। তার মাঝে এক প্রকার হল আল্লাহ্র প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস(ঈমান) স্থাপন করা, আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভ করার উদ্দেশ্যে গরিব দুঃখীদের মাঝে দান খয়রাত করা, উদার হওয়া, মহানুভব হওয়া ইত্যাদি মানবিক গুণাবলী অর্জন করা। আর আরেক প্রকারের প্রচেষ্টা হল সত্যকে অস্বীকার করা, সত্যকে গোপন করা(কুফর), মিথ্যা বলা, আল্লাহ্র একত্বে অন্য কাউকে অংশীদার করা(শিরকি কাজ করা), অহংকার করা, কার্পণ্য করা, মানুষের অধিকার নষ্ট করা, জুলুম/অত্যাচার করা ইত্যাদি খারাপ গুণাবলী অর্জন করা। এই সূরায় বলা হয়েছে যারা ইমানদার ও ভাল গুণাবলীর অধিকারী তাদের জন্য সাফল্য অর্জনের পথ সুগম হয়ে যায়। পরকালে তাদের সাফল্য সুনিশ্চিত। অন্যদিকে যারা খারাপ গুণাবলীর অধিকারী- বেঈমান, নাফরমান তাদের জন্য ব্যর্থতা আর পরকালের জীবনে থাকবে অবধারিত শাস্তি।[৩]
Summary
1-4 Oaths by various natural objects 5-13 The obedient blessed and the covetous accursed 14-16 The covetous warned with hell-fire 17-21 True believers shall be rewarded hereafterস্বপ্নের তাবীর
যে ব্যক্তি স্বপ্নে দেখে যে সে এই সূরা পাঠ করছে সে অভাবগ্রস্ত হবে না, এমতাবস্থায় তার কর্তব্য হবে নিদ্রাভঙ্গ হলেই উঠে তাহাজ্জুদের নামায আদায় করা। আল্লামা ইবনে সীরীনের স্বপ্নের তাবীর নামক কিতাবে(বইতে) উল্লেখ আছে যে ব্যক্তি স্বপ্নে সূরা আল-লাইল পড়তে দেখবে তার রাত্রি জাগরণের তাওফীক হবে এবং মান-মর্যাদাহানী হতে বেঁচে থাকবে। [৪]
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Lail#লাইল #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 29 Dec 2022 - 02min - 91 - 091 Ash-Shams || সূরা শাম্স
সূরা আশ-শাম্স (আরবি: الشمس) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৯১ তম সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ১৫টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১টি। আশ-শাম্স সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।[১] আশ-শাম্স শব্দের অর্থ সূর্য।[২] এখানে একটি পূর্বে সমৃদ্ধ বিলুপ্ত আরব গোষ্ঠী, সামুদ জাতির ভাগ্যের কথা আলোচনা করা হয়েছে। এই সূরার প্রথম দিকে নয়টি বিষয়ের শপথ করা হয়েছে। নবী সালেহ এক আল্লাহর উপাসনা করতে তাদের প্রতি আহবান জানান, এবং তিনি আল্লাহর নাম তাদেরকে আদেশ করেন যে উটনীকে একটি বিশেষ সংরক্ষণ করতে, তারা আদেশ অমান্য করে এবং তার বার্তা প্রত্যাখ্যানে অব্যাহত থাকে, এবং সালেহ অনুসরণকারীদের ছাড়া আল্লাহ তাদের সবাই ধ্বংস করে দেন।
আয়াতসমূহ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا
শপথ সূর্যের ও তার কিরণের,
وَالْقَمَرِ إِذَا تَلَاهَا
শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে,
وَالنَّهَارِ إِذَا جَلَّاهَا
শপথ দিবসের যখন সে সূর্যকে প্রখরভাবে প্রকাশ করে,
وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَاهَا
শপথ রাত্রির যখন সে সূর্যকে আচ্ছাদিত করে,
وَالسَّمَاء وَمَا بَنَاهَا
শপথ আকাশের এবং যিনি তা নির্মাণ করেছেন, তাঁর।
وَالْأَرْضِ وَمَا طَحَاهَا
শপথ পৃথিবীর এবং যিনি তা বিস্তৃত করেছেন, তাঁর,
وَنَفْسٍ وَمَا سَوَّاهَا
শপথ প্রাণের এবং যিনি তা সুবিন্যস্ত করেছেন, তাঁর,
فَأَلْهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقْوَاهَا
অতঃপর তাকে তার অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন,
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا
যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়।
وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا
এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়।
كَذَّبَتْ ثَمُودُ بِطَغْوَاهَا
সামুদ সম্প্রদায় অবাধ্যতা বশতঃ মিথ্যারোপ করেছিল।
إِذِ انبَعَثَ أَشْقَاهَا
যখন তাদের সর্বাধিক হতভাগ্য ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠেছিল।
فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ نَاقَةَ اللَّهِ وَسُقْيَاهَا
অতঃপর আল্লাহর রসূল তাদেরকে বলেছিলেনঃ আল্লাহর উষ্ট্রী ও তাকে পানি পান করানোর ব্যাপারে সতর্ক থাক।
فَكَذَّبُوهُ فَعَقَرُوهَا فَدَمْدَمَ عَلَيْهِمْ رَبُّهُم بِذَنبِهِمْ فَسَوَّاهَا
অতঃপর ওরা তার প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল এবং উষ্ট্রীর পা কর্তন করেছিল। তাদের পাপের কারণে তাদের পালনকর্তা তাদের উপর ধ্বংস নাযিল করে একাকার করে দিলেন।
وَلَا يَخَافُ عُقْبَاهَا
আল্লাহ তা’আলা এই ধ্বংসের কোন বিরূপ পরিণতির আশঙ্কা করেন না।
স্বপ্নের তাবীর
যে ব্যক্তি সূরা আশ শামস পড়তে দেখবে প্রত্যেক বিষয়ে তাকে জ্ঞান-বুদ্ধি এবং তীক্ষ্ণ ধীশক্তি দেয়া হবে। তাফসীরে নূরুল কোরআনে বর্ণিত হয়েছে যে ব্যক্তি স্বপ্নে এই সূরা পাঠ করতে দেখবে সে সুবিচারক শাসনকর্তার সঙ্গে উঠা বসা করবে।
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Ash-Shams #শাম্স #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 22 Dec 2022 - 02min - 90 - 090 Al-Balad || সূরা বালাদ
সূরা আল-বালাদ (আরবি: البلد al-balad, নগরী, দেশ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৯০ তম সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২০ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১। সূরা আল-বালাদ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের َآ اٌقْسِمُ بِهآذَا الْبَلَدِ বাক্যাংশের الْبَلَدِ শব্দটি অনুসারে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে البلد (‘বালাদ’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।[১]
সারমর্ম
১-৭ মানুষ যদিও মাটির সৃষ্ট, তবুও তারা ধনসম্পদ নিয়ে গর্ব করে ৮-১৬ বন্দীদের মুক্তি এবং দরিদ্র ও অনাথদের খাওয়ানো হবে। ১৭-২০ ডান ও বাম হাতের সঙ্গীদের বর্ণনা।শানে নুযূল
বিষয়বস্তু ও লেখনী থেকে ধারণা করা যায় এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ প্রথম সূরাগুলোর একটি।[৩] তবে সূরাটিতে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় যা থেকে মনে হয় এটি এমন এক সময়ে নাযিল হয়েছিল যখন মক্কার অবিশ্বাসী গোষ্ঠীভুক্ত মানুষেরা মুহাম্মদের বিরুদ্ধে তাদের বিরোধ ঘোষণা করেছিল এবং তার উপর অত্যাচার করাকে আইণতঃ সিদ্ধ বলে স্থাপন করে নিয়েছিল।
বিষয়বস্তুর বিবরণ
সাইয়ীদ আবুল আল মওদুদি (মৃত্যু ১৯৭৯) বর্ণিত তাফসীর তাফহিম আল-কুরআনে উল্লেখ রয়েছে, এই সুরার মূল উদ্দেশ্য পৃথিবীতে মানুষের প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া। আর এ কথা জানানো যে, সৃষ্টিকর্তা মানুষের সামনে ভালো ও খারাপ দুই পথের দিশা দেখিয়েছেন এবং কোন পথটি সঠিক এবং অনুসরণীয় সেটি বিবেচনা করার ক্ষমতা প্রদান করেছেন। এখন এটি মানুষের সিদ্ধান্ত যে সে কোন পথটি বেছে নেবে। সে কি সৎকর্ম করে প্রকৃত সুখী হবে নাকি অপকর্মে লিপ্ত হয়ে ধ্বংসের পথে অগ্রসর হবে।
প্রথমত যেই মক্কায় মক্কাবাসীদের দ্বারা মুহম্মদ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল, সেই মক্কাকে সত্যের সাক্ষী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই পৃথিবী মানুষের জন্য বিশ্রাম ও স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা নয়, যেখানে মানুষ আনন্দ-উল্লাসপূর্ণ জীবনযাপন করবে। বরং তিনি মানুষকে কঠোর পরিশ্রম ও সংগ্রামের জন্য সৃষ্টি করেছেন। যদি এই কথাটি সূরা নাজমের ৩৯ নম্বর আয়াতেও রয়েচে (লাইসা লিল ইনসানি ইল্লা মা সা'আ আর এই যে মানুষের জন্য কিছুই থাকবে না যার জন্য সে চেষ্টা না করে)। এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এই পৃথিবীতে মানুষের ভবিষ্যত তার পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে।
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Balad #বালাদ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 02 Dec 2022 - 02min - 89 - 089 Al-Fajr || সূরা ফাজ্র
আল ফাজ্র (আরবি: سورة الفجر) কুরআনের ৮৯তম সূরা। আল ফাজ্র শব্দের অর্থ ভোর। এই সূরাটি কুরআনের ৩০তম পারায় অবস্থিত। এতে ৩০টি আয়াত আছে।[১] এই সূরাতে প্রাচীনকালের কয়েকটি অবিশ্বাসী জাতির ধ্বংস হওয়ার কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়া অর্থলিপ্সু ও নির্দয় লোকদের সমালোচনাও এই সূরায় বিদ্যমান। এখানে সৎ ও সত্যপন্থীদেরকে জান্নাতের সুসংবাদও দেয়া হয়েছে। এই সূরার শুরুতে প্রভাত বেলার শপথ করে বক্তব্য সূচনা করা হয়েছে।[২]
নামকরণ
সূরাটির প্রথম শব্দ 'আল ফাজ্র' এর নাম হিসেবে নেয়া হয়েছে। যার অর্থ হচ্ছে ভোরবেলা। উক্ত সূরাটিতে আল্লাহ পাঁচটি বস্তুর নাম উল্লেখ করে শপথ নিয়েছেন। [৩]
Summary
1-4 Various oaths by natural objects 5-13 Unbelievers are warned by the fate of Ád, Thamúd, and Pharaoh[5] 14-17 Man praises God in prosperity, but reproaches him in adversity 18-22 Oppression of the poor and the orphan denounced 23-26 The wicked will vainly regret their evil deeds on the judgment-day 27-30 The believing soul invited to the joys of Paradise[6]Then the surah discusses that Man praises God in prosperity, but reproaches him in adversity in ayaat 14th to 17th. The discourse then denounces the oppression of the poor in ayaat 18th to 22nd. And approaching the end ayaat 23rd to 25th give the verdict that the wicked will vainly regret their evil deeds on the judgment-day, while ayaat 26th to the 30th gives the good news to the believing soul invited to the joys of Paradise.[7]
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Fajr #ফাজ্র #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 25 Nov 2022 - 04min - 88 - 088 Al-Ghashiyah || সূরা গাশিয়াহ্
সূরা আল গাশিয়াহ্ (আরবি ভাষায়: اَلْغَاشِيَةِ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৮৮ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২৬; তবে এতে কোন রূকু তথা অনুচ্ছেদ নেই। সূরা আল গাশিয়াহ্ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের اَلْغَاشِيَةِ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে اَلْغَاشِيَةِ (‘আল গাশিয়াহ্’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।[১]
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
এ সূরাটির সমগ্র বিষয়বস্তু একথা প্রমাণ করে যে এটিও প্রথম দিকে অবতীর্ণ সূরাগুলোর অন্তরভুক্ত। কিন্তু এটি এমন সময় নাযিল হয় যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাধারণের মধ্যে ব্যাপকভাবে ইসলাম প্রচারের কাজ শুরু করেন এবং মক্কায় লোকেরা তার দাওয়াত শুনে তার প্রতি উপেক্ষা প্রদর্শন করতে থাকে।[১]
Summary
1-3 The terrible day of judgment 4-7 Description of the torments of hell 8-16 The joyful state of the Muslims on the judgment-day 17-20 God manifests himself in his works 21-22 Muhammad only to warn, not to rule over, the infidels 23-26 God will himself punish the unbelievers[2]Hadith
The first and foremost exegesis/tafsir of the Qur'an is found in hadith of Muhammad.[3] Although scholars including ibn Taymiyyah claim that Muhammad has commented on the whole of the Qur'an, others including Ghazali cite the limited amount of narratives, thus indicating that he has commented only on a portion of the Qur'an.[4] Ḥadīth (حديث) is literally "speech" or "report", that is a recorded saying or tradition of Muhammad validated by isnad; with Sirah Rasul Allah these comprise the sunnah and reveal shariah. According to Aishah,[5][6] the life of Muhammad was practical implementation of Qur'an.[7][8][9] Therefore, higher count of hadith elevates the importance of the pertinent surah from a certain perspective. This surah was held in special esteem in hadith, which can be observed by these related narratives. According to hadith, Muhammad used to recite this surah in Zuhr prayer and in congregational prayers of Jumu'ah and in Eid prayers.[10] And Muhammad used to recite this surah after surah Al-Jumua (Sura 62) or after Al-Ala (Sura 87).[11][12]
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Ghashiyah #গাশিয়াহ্ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 18 Nov 2022 - 02min - 87 - 087 Al-Ala || সূরা আ’লা
সূরা আল আ'লা পবিত্র কুরআনের ৮৭ তম সূরা; এতে আয়াত সংখ্যা ১৯টি এবং রূকুর সংখ্যা ১টি। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
Al-Aʻlā (Arabic: الأعلى, “The Most High”, “Glory To Your Lord In The Highest”) is the eighty-seventh chapter (surah) of the Qur'an, with 19 ayat or verses.
Al-A'la describes the Islamic view of existence, the Oneness of Allah, and Divine revelation, additionally mentioning rewards and punishments. Mankind often hides things from each other and from themselves as well. The sura reminds its readers that Allah knows the things that are declared and things that lie hidden. The final verse of this Sura affirms that a similar message was also revealed to Abraham and Moses in the scriptures.[1] This sura is part of the series of Al-Musabbihat as it begins with the glorification of Allah. This is a Makkan sura. The first 7 Āyāt (verses) were revealed during the first years of Makkan life.
One of the companions of Ali said that he prayed twenty consecutive nights behind him and he did not recite any Surah, except Surah A’la. Surat Al-A'lā is among the most recited suras in the Jummah and Witr prayers.
Summary
1-5 God, the Most High, praised for His works 6-9 God promises to help Muhammad to proclaim the Quran 10-11 The God-fearing only shall be admonished 12-15 The wicked shall be punished, but the righteous shall be blessed 16-17 Men choose the present life rather than the life to come 18-19 The books of Abraham and Moses attest the Quran.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Ala #আ’লা #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 11 Nov 2022 - 02min - 86 - 086 At-Tariq || সূরা তারিক্ব
সূরা আত-তারিক্ব (আরবি ভাষায়: الطّارق) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৮৬ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ১৭; তবে এতে কোন রূকু তথা অনুচ্ছেদ নেই। সূরা আত-তারিক্ব মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের الطَّارِق বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরাটি الطَّارِق (‘তারিক্ব’) শব্দটি রয়েছে এটি সেই সূরা।
Summary
1-3 Oath by the star of piercing brightness 4 Every soul has its guardian angel 5-8 God the Creator, and therefore can raise the dead 9-10 The judgment-day shall reveal secret thoughts 11-14 Oaths by heaven and earth that the Quran is God’s word 15-17 Muhammad exhorted to bear patiently with the unbelievers plotting his ruinExegesis
1-4 Sins are being recorded
In this sura, God (Allah) takes an oath by the sky and At-Tariq to say that there is an assigned watcher over every human being and all the deeds and sins done by human beings are being recorded.
5-7 Between the backbone and the ribs
Allah then asks the human beings to think about how they were created. He then goes on to say that he has created human beings from the gushing water flowing between the backbone and the ribs.[1]
8-10 Judgment Day
Allah then reminds the human beings about the Judgment Day, the day when all the secrets would be revealed. On that day, human beings would have no power and no one would help them.
11-14 Oath on the heaven and the earth
God then takes another oath on the heaven and the earth to say that, whatever being said here is word of God and must be taken very seriously.
15-17 Non-believers plotting a scheme
In the last three verses of the chapter, Allah says that the non-believers are plotting a scheme but in return God is also planning a scheme.
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #At-Tariq #তারিক্ব #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 04 Nov 2022 - 02min - 85 - 085 Al-Burooj || সূরা বুরুজ
সূরা আল-বুরুজ (আরবি ভাষায়: البروج) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৮৫ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২২, সূরা আল-বুরুজ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের اَلْبُرُوْجَ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরাটিতে البروج (‘বুরুজ’) শব্দটি রয়েছে এটি সেই সূরা।
Summary
1-7 Cursed were the persecutors of the believers burned with fire 8-9 The believers persecuted for their faith in God 10-12 For the infidels is hell-fire, but for believers Paradise 13-16 God is Creator and Sovereign Ruler of the universe 17-20 Pharaoh and Thamúd examples to warn those who reject the Quran 21 The glorious Quran is kept in the Preserved Table [4]The surah opens with an oath by a heaven full of stars: by the sky containing great stars.
Exegesis
4-8 People of the Ditch
Main article: People of the Ditch
Interpreters give several different versions of the story to be referred to in verses 4–8: persecution of Christians by Dhu Nuwas in Yemen, persecutions by Nebuchadnezzar, and people of the trench. It has been documented that Dun Nuwas burned 20,000 Christians alive in a burning trench because they refused to convert to Judaism.[5]
22 The 'preserved tablet'
Quranic exegetes produced different interpretations of the term 'preserved tablet' in verse 22. In this surah the relationship of Quran to the 'Preserved Tablet' is correlated with the relation of the stars 'Al-Buruj' to the heavens 'Al-Sama'. Some of the Mu'tazila argued that revelations were created initially in the preserved tablet. The 'Preserved Tablet' seems to be close to another term, 'Mother of all books' (umm al-kitab), mentioned in Ar-Ra'd 13:39 and Az-Zukhruf 43:4.[6]
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Burooj #বুরুজ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 28 Oct 2022 - 03min - 84 - 084 Al-Inshiqaq || সূরা ইনশিকাক
সূরা আল ইনশিকাক (আরবি ভাষায়: الانشقاق) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৮৪ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২৫; তবে এতে কোন রূকু তথা অনুচ্ছেদ নেই। সূরাটিতে ১টি সিজদাহ রয়েছে।[১] সূরা আল ইনশিকাক মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের اِنْشَقَّتْ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে, যার মূল হচ্ছে اِنْشَقَّاق (ফেঁটে যাওয়া); অর্থাৎ, যে সূরাটিতে الانشقاق (‘ইনশিকাক’) শব্দটি রয়েছে এটি সেই সূরা।
Summary
1-5 Signs of the judgment-day 6-15 The books of the righteous and the wicked given into their hands, and the consequence thereof 16-20 Oaths attesting the doctrine of the resurrection 21-25 The unbelievers denounced and threatenedThe name of the chapter, Al-Inshiqaq, is a noun variously translated as "The Sundering", "The Bursting Asunder", "The Splitting Open", among others. This name comes from the first verse of the chapter which reads When the sky is rent asunder. The verse does not contain the word al-inshiqaq verbatim, but rather it contains a word of the same root. It is a reference to the destruction of the world at the end of days, which the chapter portend. Thematically, the chapter follows a day-of-judgement theme that is present in the preceding chapters, including Al-Infitar (the 82nd chapter) and Al-Mutaffifin (83rd).
The chapter begins (verses 1 to 5) by mentioning events that will happen on the Day of Judgment, including the sundering of the sky and the flattening of all that is on earth. Verses 6 to 15 talk about the disparity between those who in that day will be "given [their] book in [their] right hand" and have a joyful reckoning, and those who will not. A series of oaths (verses 16—18) follows, and then another contrast between the fate of the believers and the unbelievers in the day of judgment.
Revelation
According to the Islamic tradition, Al-Inshiqaq was most likely revealed after the 82nd chapter Al-Infitar, and was chronologically one of the last of the Meccan surahs—chapters revealed before Muhammad's migration to Medina.
Prostration
According to the hadith, Muhammed was prostrated when reciting this chapter, particularly after the verse 21 which reads ... and that when the Quran is recited unto them, they do not prostrate? Therefore, most Islamic scholars consider this verse one of the 15 verses in the Quran where one prostrates after reciting it. In most copies of the Qur'an these are indicated by the symbol ۩. Most Maliki jurists consider it obligatory to prostrate after reciting the verse; Malik ibn Anas, the founder of the Maliki school, was a notable exception.
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Inshiqaq #ইনশিকাক #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 29 Jul 2022 - 03min - 83 - 083 Al-Mutaffifin || সূরা মুতাফ্ফিফীন
সূরা আত মুত্বাফ্ফিফীন (আরবি ভাষায়: المطفّفين) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৮৩ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৩৬; তবে এতে কোন রূকু তথা অনুচ্ছেদ নেই। সূরা আত মুত্বাফ্ফিফীন মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের وَيُلٌ لِّلْمُطَفِّفِيْنَ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরাটিতে المطفّفين (‘আত মুত্বাফ্ফিফীন’) শব্দটি রয়েছে এটি সেই সূরা।
Ayat (verses)
1-6 Denunciation of those who use false weights and measures 7-9 The acts of the wicked are recorded in the book Sajjín 10-18 Woe to those who reject Muhammad and deny the judgment-day 18-21 The acts of the righteous are registered in Illiyún 22-28 The rewards of the righteous in Paradise 29-36Unbelievers mock at The Believers now, but shall be laughed at in turnSummary
The primary theme of this surah is Islamic eschatology or the hereafter, and the rhetoric addresses the following subjects is the discourse. The surah opens with a declaration of war and denunciation of those who use false weights and measures in the first six ayat. The surah warns the audience that the acts of the wicked are recorded in the book Sajjín in 7th to 9th ayaat. The surah makes explicit the relation between morality and the doctrine of the Hereafter effectively and impressively with woes to those who reject Muhammad and deny the judgment-day in ayaat up to 17th. Further up to 21st ayat, the surah describes that the acts of the righteous are registered in Illiyún. The rewards of the righteous in Paradise are explained in ayaat 22nd up to 28th. In conclusion, from 29th to the 36th ayat, the believers have been consoled, and the disbelievers warned as if to say: Unbelievers mock at Muslims now but shall be laughed at in turn on the Day of Resurrection.
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Mutaffifin #মুতাফ্ফিফীন #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 22 Jul 2022 - 05min - 82 - 082 Al-Infitar || সূরা ইনফিতার
সূরা আল-ইনফিতার (আরবি ভাষায়: الانفطار) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৮২ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ১৯; তবে এতে কোন রূকু তথা অনুচ্ছেদ নেই। সূরা আল-ইনফিতার মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের اِ نْفَطَرَتْ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরাটিতে نفطار (‘ইনফিতার’) শব্দটি রয়েছে এটি সেই সূরা।
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
এই সূরা আর সূরা আত্ তাকভীর এর বিষয়বস্তুর মধ্যে গভীর ভাবে মিল খূঁজে পাওয়া যায়। এ থেকে বোঝা যায়, এই সূরা দুটি প্রায় একই সময়ে নাযিল হয়েছে...। সুতরাং এটি মক্কা মু'আয্যামার প্রথম যুগের নাযিল হওয়া সূরাগুলোর অন্তরভূক্ত।
বিষয়বস্তুর বিবরণ
এর বিষয়বস্তু হচ্ছে আখিরাত। মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযী, ইবনুল মন্যার,তাবারানী হাকিম ও ইবনে মারদুইয়ায়, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর এর একটি বর্ণনা উদ্ধৃত হয়েছে। তাতে রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিনটি নিজের চোখে দেখতে চায়, সে যেন সূরা তাকভীর, সূরা ইনফিতার ও সূরা ইনশিকাক পড়ে নেয়।"
Summary
1-5 Signs of the judgment-day 6-9 Astonishing unbelief of man in his Creator 10-12 Guardian angels record the deeds of men 13-16 In the judgment the righteous shall be rewarded and the wicked punished 17-19 On the day of judgment there shall be no intercessor.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Infitar #ইনফিতার #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 15 Jul 2022 - 02min - 81 - 081 At-Takwir || সূরা আত-তাকভীর
সূরা আত-তাকভীর (আরবি ভাষায়: التكوير) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৮১ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২৯; এর রূকু তথা অনুচ্ছেদ ১ টি। সূরা আত-তাকভীর মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের كُوِرَتْ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে। 'তাকভীর' (تَكْوِيْر) হচ্ছে মূল শব্দ; এর অতীতকাল হিসাবে ব্যবহৃত্ হয় 'কুওভিরাত' (كُوِرَتْ) শব্দটি, যার অর্থ গুটিয়ে ফেলা।
Summary
1-14 The terrible signs of the judgment-day 15-25 Oaths that the Quran is the word of Allah, and that Muhammad is neither a madman nor deluded by the devil 26-29 The Quran an admonition to all menHadith
Whoever wants to see the Qiyamah with his/her eyes should read the verses of at-Takwir, al-Infitar and al-Inshiqaq.”
Imam Ahmad recorded from Ibn Umar that the Messenger of Allah said: “Whoever wishes to look at the Day of Resurrection, as if he is seeing it with this eye, then let him recite: ‘When the sun Kuwwirat’(At-Takwir) and ‘When the heaven is cleft sunder (Al-Infitar) and ‘When the heaven is split asunder.(Al-Inshiqaq)’”
It was narrated that Umar ibn Horayth said: "I heard the Prophet (ﷺ) reciting: 'When the sun is wound round.' in fajr. (at-Takwir (81:1)) "
Sahabah reported[8] that Muhammad used to recite surahs An-Naba (78) and Al-Mursalat (77) in one rak'ah, and surahs Ad-Dukhan (44) and At-Takwir (81) in one rak'ah.
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #At-Takwir #আত-তাকভীর #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 15 Apr 2022 - 03min - 80 - 080 Abasa || সূরা আবাসা
সূরা আবাসা (আরবি ভাষায়: عبس) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৮০ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৪২; এর রূকু তথা অনুচ্ছেদ ১ টি। সূরা আবাসা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম শব্দ عَبَسَ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরাটি عَبَسَ (‘আবাসা’) শব্দটি দ্বারা শুরু হয়েছে এটি সেই সূরা।
শানে নুযূল :
মা আয়েশা ছিদ্দীক্বা (রাযিয়াল্লাহু ‘আনহা) বলেন, অত্র সূরাটি অন্ধ ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতূম সম্পর্কে (মক্কায়) নাযিল হয়। তিনি কোন একটি বিষয় জানার জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে আসেন। ঐ সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জনৈক মুশরিক নেতার সাথে কথা বলছিলেন। এভাবে কথার মধ্যে কথা বলায় (অন্য বর্ণনায় এসেছে, ইবনে উম্মে মাকতূম পীড়াপীড়ি করায়) রাসূল (ছাঃ) বিরক্ত হন এবং তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে ঐ নেতার প্রতি মনোনিবেশ করেন, যাতে তিনি হেদায়াত প্রাপ্ত হন। তখন অত্র আয়াতসমূহ নাযিল হয়।
উল্লেখ্য যে, আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতূমের কারণে তিরস্কারমূলক এই স্মরণীয় আয়াতগুলি নাযিল হওয়ায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে খুবই সমাদর করতেন।[2] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যুদ্ধে গমনকালে তাকে প্রায়ই মদীনার প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়ে যেতেন। জীবনীকারগণ বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বদর, ওহোদ, হামরাউল আসাদ ও বিদায় হজ্জ সহ মোট ১৩ বার মদীনা ত্যাগকালে তাকে মদীনার দায়িত্ব দিয়ে যান।[3] বেলাল তাহাজ্জুদ ও সাহারীর আযান দিতেন এবং তিনি ফজরের আযান দিতেন।[4] মূলতঃ এ সবই ছিল রাসূল (ছাঃ)-এর পক্ষ হ’তে তাকে বিশেষ মর্যাদা দানের ফল। আর এই মর্যাদা দানের কারণ ছিল তার উপলক্ষে সূরার প্রথম আয়াতগুলি নাযিল হওয়া। নিঃসন্দেহে এটি ছিল অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ বিষয়। যতদিন দুনিয়া থাকবে ও কুরআনের পাঠক থাকবে, ততদিন মানুষ অন্ধ ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতূমের নাম স্মরণ করবে। এই সৌভাগ্য হযরত আবুবকর (তওবা ৯/৪০), আয়েশা (নূর ২৪/১১-২৬) ও যায়েদ বিন হারেছাহ (আহযাব ৩৩/৩৭) ব্যতীত আর কারো হয়নি।
Summary
1-11 Muhammad rebuked for frowning on a poor blind Muslim 12-15 The Quran written in honourable, exalted, and pure volumes 16-23 Man cursed for turning aside from his Creator 24-32 It is God who provides man with food 33-37 On the judgment-day men will desert their nearest relatives and friends 38-42 The bright and sad faces of the resurrection-day.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Abasa #আবাসা #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 14 Apr 2022 - 04min - 79 - 079 Al-Nazi'at || সূরা আন-নাযিয়াত
সূরা আন নাযিয়াত (আরবি ভাষায়: النّزعت) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৭৯ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৪৬ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আন নাযিয়াত মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম শব্দ وَالنَاِزعَاتْ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরাটি وَالنَاِزعَاتْ (‘আন নাযিয়াত’) শব্দটি দ্বারা শুরু হয়েছে এটি সেই সূরা।
Summary
1-3 Oaths by the angels of death that there will be a resurrection and judgment-day 4 The preceding narration about the angels tasked in the following verse of 5. The angels with various roles and missions perform their tasks by descending from the sky.Muhammad ibn al-Uthaymeen said the tasks which angels done cannot be done by normal humans. 5 The angels has roles that each of them assigned with certain tasks, such as Israfil, blowing horn of Qiyamah,[5][Notes 1] and Michael, who has been tasked to manage the dews, rains and growing plants, and Maalik, who are tasked to guard the hell while punishing the sinners. 6-7 Oaths by the messengers of death that there will be a resurrection and judgment-day 8-14 Infidels shall be restored to life notwithstanding their unbelief 15-26 The story of Moses and his mission to Pharaoh 27-33 The Creator can raise the dead 34-41 The righteous and the wicked in judgment, their various condition 42-46 No one knows the time of judgment, but whenever it comes it will be soon for the infidelsঅর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Nazi'at #আন-নাযিয়াত #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Wed, 13 Apr 2022 - 06min - 78 - 078 An-Naba || সূরা আন-নাবা
সূরা আন নাবা (আরবি ভাষায়: النّبا) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৭৮ তম সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৪০ এবং এর রূকুর সংখ্যা ০২ টি। সূরা আন নাবা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
সূরার দ্বিতীয় আয়াতের عَنِ النَبَاِ الْعَظِيمِ বাক্যাংশের ‘আন নাবা’ শব্দটিকে এর নাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। আর এটি কেবল নামই নয় , এই সূরার সমগ্র বিষয়বস্তুর শিরোনামও এটিই। কারণ নাবা মানে হচ্ছে কিয়ামত ও আখেরাতের খবর। আর এই সূরায় কিয়ামত ও আখেরাতের খবরের ওপরই সমস্ত আলোচনা কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে।
Summary
1-5Unbelievers shall yet learn the truth of the resurrection 6-16God the Creator and Preserver of all things 17-20Judgment-day scenes described 21-30The recompense of unbelievers in hell described 31-37 The joys of believers in Paradise described 37-38No intercessor except by God’s permission 39-40Sinners exhorted to flee from the day of wrath.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #An-Naba #আন-নাবা #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Tue, 12 Apr 2022 - 05min - 77 - 077 Al-Mursalat || সূরা আল-মুরসালাত
সূরা আল-মুরসালাত (আরবি ভাষায়: المرسلت) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৭৭ তম সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৫০ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আল-মুরসালাত মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের وَالۡمُرۡسَلٰتِ عُرۡفًاۙ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; এটি সেই সূরা যাতে المرسلت শব্দটি আছে।
Summary
1-7 Oath by the messengers of God that the judgment-day is inevitable 8-15 Woe on that day to those who accuse Muhammad of imposture 16-19 In former times infidels were destroyed for accusing their prophets of imposture 20-28 God the Creator of all things, therefore woe to those who accuse his messengers of imposture 29-40 The woe of those who have been cast into hell for calling their prophets impostors 41-44 The joy of those who did not call their prophets impostors 45-50 The infidel Quraish soon to be overtaken by the woes of the judgment-day.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Mursalat #আল-মুরসালাত #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Mon, 11 Apr 2022 - 06min - 76 - 076 Al-Insan || সূরা আদ-দাহর
সূরা আদ-দাহর (আরবি ভাষায়: الدَّهْرِ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৭৬ নম্বর সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৩১ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। এই সূরাটি সূরা আল ইনসান (আরবি ভাষায়: الإٍنسان) নামেও পরিচিত। সূরা আদ-দাহর মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
Recitation by Muhammad
A hadith narrated by Abu Huraira said that Muhammad used to recite Al-Insan together with Al-Sajdah (chapter 32 of the Quran) for the early morning prayer (fajr) every Friday. This report also appears in Tafsir ibn Kathir.
Names
The chapter is named after Al-Insan ("Man"), a word that appears in the first verse. Other common names for the chapter include Hal Ata, "Has There Not Come", after the first two words in the first verse; Al-Dahr, "Endless Time", a word that also appears in the first verse; and Al-Abrar, plural for "The Pious", after the description of the pious and their rewards in verses 5–22.
Summary
1-4 God is able to raise the dead 5-11 Unbelievers may mock, but they shall be overtaken by the resurrection-day 12-15 Man shall be his own accuser on that day 16-19 Muhammad rebuked for anticipating Gabriel in receiving the Qurán 20-21 Men choose this life, but neglect the life to come 22-25 Various thoughts of the righteous and the wicked on the resurrection-day 26-36 Man helpless in the hour of death 37-40 God, who created man, can raise him from the dead.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Insan #আদ-দাহর #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Sun, 10 Apr 2022 - 03min - 75 - 075 Al-Qiyama || সূরা আল-কিয়ামাহ
সূরা আল-ক্বিয়ামাহ (আরবি ভাষায়: القيامة) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৭৫ তম সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৪০ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আল-ক্বিয়ামাহ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের الۡقِيٰمَةِۙ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে القيامة (‘ক্বিয়ামাহ’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।[১]
শানে নুযূল
ইসলাম ধর্ম প্রচারকালীন সময় নবী মুহাম্মদকে কাফেররা ক্বিয়ামাত সম্পর্কে বিভিন্ন প্রকার প্রশ্ন করতো; এসকল প্রশ্নের উত্তরে এই সূরাটি অবতীর্ণ হয়।
ব্যাখ্যা
এই সূরায় কেয়ামতের কথা বলা হয়েছে। যারা পরকাল অবিশ্বাসী মূলত তাদের সম্পর্কেই এই সূরাটি নাজিল হয়েছে। এই সূরাটিতে কেয়ামতের অবশ্যাম্ভাবীতা সম্পর্কে বলা হয়েছে। সূরাটিকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ঃ
প্রথম ভাগ
১৬ থেকে ১৯ পর্যন্ত ৪ টি আয়াত ব্যতীত অবশিষ্ট আয়াতগুলো এর অংশ। এই আয়াতগুলো মূলতঃ কাফেরদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, যাতে ক্বিয়ামাত সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর রয়েছে।
দ্বিতীয় ভাগ
এই ভাগটি ১৬ থেকে ১৯ নং আয়াতগুলো নিয়ে গঠিত। এগুলো নবী মুহাম্মদকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে।
পুরো সূরার ব্যাখ্যা
এই সূরাটি কেয়ামত সম্পর্কে সন্দেহের অবসান ঘটিয়েছে। এই সূরায় বলা হয়েছে আগে কাফেরেরা ভাবত আমরা তো মরার পর পঁচে গলে যাব।তাহলে আল্লাহ তায়ালা কীভাবে আবার সৃষ্টি করবেন? কিন্তু কুরআনে বলা হয়েছে যে,আল্লাহ তায়ালা তাদের আঙ্গুলগুলো পর্যন্ত সন্নিবেশন করতে সক্ষম।তারা প্রশ্ন করে কেয়ামত কবে হবে?আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে (আমার ব্যক্তিগত ভাষায়) কেয়ামত সেদিন হবে যেদিন দৃষ্টি চমকে যাবে,সূর্য ও চাঁদ জ্যোতিহীন হয়ে যাবে,চাঁদ ও সূর্যকে একত্র করা হবে। তখন মানুষ বলবে পালানোর জায়গা কোথায়? কিন্তু তারা ঠাঁই পাবার জায়গা পাবে না একমাত্র আল্লাহর আরশে আযীম ছাড়া। সেখানে নেকব্যক্তিরা স্থান লাভ করবে? মূলত মানুষ ভবিষ্যতেও ধৃষ্টতা দেখাতে চায়। যার কারণে তারা এসব ব্যাপারে মাথা ঘামায়।সেদিন তারা জীবনে যা করেছে তা তাদেরকে দেওয়া হবে।কিন্তু তারা এসব পাওয়ার পরও অজুহাত পেশ করবে। নবীজি এসব আয়াত মুখস্থ করার জন্য জিবরাঈল আঃ এর সঙ্গে ঠোঁট নাড়িয়ে পড়তেন।আল্লাহ তায়ালা এর প্রেক্ষিতে বলেন যে, হে নবী আপনার এভাবে পড়ার দরকার নেই। জিবরাঈল যা কিছু বর্ণনা করেন তার দিকে অনুসরণ করুন। মুখস্থ করানোর দায়িত্ব আমার। তবুও মানুষ পরকালকে উপেক্ষা করে। আর এসব অজুহাত এসবেরই কারণ। সেদিন নেককারেরা প্রভুর দিকে উজ্জ্বল মুখমন্ডল ফিরিয়ে রাখবে। আর বদকারেরা এর বিপরীতভাবে থাকবে। তারা নামাজ পড়েনি আল্লাহর ইবাদত করেনি। আর এসবের কারণে তাদের এই পরিণতি হবে। মানুষ মনে করে তাদের এভাবে ছেড়ে দেওয়া হবে। তারা স্খলিত বীর্য ছিল। অতঃপর তারা ছিল রক্তপিন্ড এবং আল্লাহ তাঁকে সুবিন্যস্ত করেছেন। আর সৃষ্টি করেছেন নারী ও পুরুষ। তাহলে কি এভাবে তিনি মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করতে পারবেন না? অবশ্যই পারবেন। সুতরাং কেয়ামত অবশ্যই হবে। এ ই সূরা এসব বিষয় সম্পর্কেই বলা হয়েছে।
Summary
1-4 God is able to raise the dead 5-11 Unbelievers may mock, but they shall be overtaken by the resurrection-day 12-15 Man shall be his own accuser on that day 16-19 Muhammad rebuked for anticipating Gabriel in receiving the Qurán 20-21 Men choose this life, but neglect the life to come 22-25 Various thoughts of the righteous and the wicked on the resurrection-day 26-36 Man helpless in the hour of death 37-40 God, who created man, can raise him from the dead.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Qiyama #আল-কিয়ামাহ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Sat, 09 Apr 2022 - 05min - 74 - 074 Al-Muddaththir || সূরা আল-মুদ্দাস্সির
সূরা আল মুদ্দাস্সির (আরবি ভাষায়: المدثر) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৭৪ তম সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৫৬ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আল মুদ্দাস্সির মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের الْمُدَّثِّرُ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে المدثر (‘মুদ্দাস্সির’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।[১]
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
المدثر আল মুদ্দাস্সির ইসলামের একদম শুরুতে নাজিল হওয়া একটি সুরা। নাজিলের ক্রমানুসারে এর অবস্থান ৪র্থ। অর্থাৎ এর আগে মাত্র ৩টি সুরা নাজিল হয়েছে।
সুরা মুদ্দাস্সির মক্কায় ৬১০ খ্রিস্টাব্দে নাজিল হয়। প্রথম নাজিলকৃত সুরা আলাকে ১৯ এর সংখ্যাতত্ত্ব সহ নাজিল হলেও, এই সুরাতেই ঘোষণা দিয়ে জানানো হয়েছে।
"তার উপর রয়েছে ঊনিশ" পরে গবেষণা করে দেখা গেছে, সমগ্র কুরআন ১৯ সংখ্যার আশ্চর্য জালে গঠন করা হয়েছে। আর এ কারণেই এমন আরেকটি কুরআন রচনা মানুষের পক্ষে অসম্ভব। কেননা ৪৫ ডিজিট পর্যন্ত গাণিতিক মান বজায় রেখে একটি সুরা রচনা মানুষ শুধু নয়-আধুনিক সুপার কম্পিউটারও সক্ষম হবেনা। সুরা ফাতিহার অংশে গাণিতিক দু'একটি হিসাব দেওয়া হবে।
Summary
1-7 Muhammad commanded to rise and preach Islam 8-10 The judgment-day shall be a sad day for the unbelievers 11-26 God exhorts Muhammad to leave his enemy in his hands 27-29 The pains of hell described 30-34 Nineteen angels set as a guard over hell, and why nineteen are mentioned 35-40 Oath to attest the horrible calamities of hell-fire 41-49 The wicked shall in hell confess their sins to the righteous 50-55 Infidels shall receive no other warning than that of the Quran.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Muddaththir #আল-মুদ্দাস্সির #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 08 Apr 2022 - 08min - 73 - 073 Al-Muzzammil || সূরা আল-মুজাম্মিল
সূরা আল মুজাম্মিল (আরবি ভাষায়: المزّمّل) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৭৩ তম সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২০ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আল মুজাম্মিল মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের الْمُزَّمِّلُ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে المزّمّل (‘মুজাম্মিল’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।[১]
Content
In the beginning of Al-Muzzammil (Quran 73), God expounds upon the merits of night prayer in the First Meccan Period. Muhammad, and subsequently the Muslim community, is commanded to “stay up throughout the night, all but a small part of it, half, or a little less, or a little more; recite the Qur’an slowly and distinctly.”[3] During the First Meccan Period, the total Qur'anic revelation was brief enough to recite during the night. As such, it was expected of Muslims to recite the Qur'an in full during the night. The night prayer was of such importance, because the believer's focus on prayer and separation from any distraction was believed to “make a deeper impression”[4] on the believer.[5]
However, as time passed, the Qur'an continued to grow, and by the time ayat 20 was revealed, the Qur'an was too long to fully recite during the night. Consequently, God relaxes his prior command to recite the Qur'an at night. Muhammad is told to pray what is easy for him during the night (“recite as much of the Qur’an is easy for you”[6]), but to continue to pray throughout the day (“keep up the prayer [during the day], pay the prescribed alms, and lend God a good loan[7]).
Summary
1-4 Muhammad and the Muslims bidden to pray during the night 5-9 The Quran to be pronounced with a distinct sonorous tone 10-11 Muhammad exhorted to bear patiently the contumelies of the infidels 11-14 God will visit the infidels with dire calamities 15-19 The punishment of Pharaoh a warning to the people of Makkah 20 Modification of the law given in verses 1-4 [2].
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Muzzammil #আল-মুজাম্মিল #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 18 Mar 2022 - 05min - 72 - 072 Al-Jinn || সূরা আল-জ্বিন
সূরা আল জ্বিন (আরবি: الجنّ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৭২ তম সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২৮ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আল জ্বিন মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরায় জ্বিন সম্প্রদায়ের কথা বলা হয়েছে।
নামকরণ
জিন অর্থ উগ্রবাদি বা অবাধ্য জাতি। রাসুল এর কাছে জিনেরা এসে কুরআন শ্রবন করত। এই সুসংবাদ মমিনদের কাছে পৌছানোর জন্য যে এই সুরাতে জিনদের আলোচনা হয়েছে বিধায় সুরাটির নাম করন করা হয়েছে জিন।
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
কুরআন মক্কা
শানে নুযূল
ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেন, এই ঘটনায় নবী মুহাম্মাদ জিনদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে কোরআন শোনাননি এবং তিনি তাদের দর্শনও করেননি। এই ঘটনা তখনকার, যখন শয়তানদেরকে আকাশের খবর শোনা থেকে উল্কাপিণ্ডের মাধ্যমে প্রতিহত করা হয়েছিল। এ সময়ে জিন জাতি পরস্পরে পরামর্শ করল যে, আকাশে খবরাদি শোনার ব্যাপারে বাধাদানের এই ব্যাপারটি কোন আকস্মিক ঘটনা মনে হয় না। পৃথিবীতে অব্যশই কোন নতুন ব্যাপার সংঘটিত হয়েছে। অতঃপর তারা স্থির করল যে, পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিমে ও আনাচে-কানাচে জিনদের প্রতিনিধিদল প্রেরণ করতে হবে যারা খোঁজাখুঁজি করে এই নতুন ব্যাপারটি কী তা জেনে আসবে। হেজাযে প্রেরিত তাদের প্রতিনিধিদল যখন 'নাখাল' নামক স্থানে উপস্থিত হল, তখন মুহাম্মদ সাহাবীগণকে সাথে নিয়ে ফজরের নামায পড়ছিলেন। জিনদের এই প্রতিনিধিদল নামাযে কোরআন পাঠ শুনে পরস্পর শপথ করে বলতে লাগলঃ "এই কালামই আমাদের ও আকাশের খবরাদির মধ্যে অন্তরায় হয়েছে।" তারা সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে স্বজাতির কাছে ঘটনা বিবৃত করল এবং বললঃ "আমরা বিস্ময়কর কোরআন শ্রবণ করেছি। আল্লাহ এসব আয়াতে সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে রসূলকে অবহিত করেছেন।"
Summary
1-2 Certain of the genii converted to Islam by hearing the Quran [4][5] 3-7 The folly of men and genii in ascribing offspring to God 8-9 Genii prying into heavenly secrets are driven away with fiery darts 10-14 Different classes of genii, some Muslims and others infidels 15-18 Believing genii rewarded in Paradise, the unbelievers punished in hell 19 The genii pressed upon Muhammad to hear the Quran 20-24 Muhammad can only publish what hath been revealed to him 25-26 The judgments of God shall overtake the unbelievers 27-28 God revealeth his secrets to his apostles only [4].
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Jinn #আল-জ্বিন #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 11 Mar 2022 - 07min - 71 - 071 Nūḥ || সূরা নূহ
সূরা নূহ (আরবি ভাষায়: سورة نوح) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৭১ তম সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২৮ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা নূহ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটিতে ইসলামের নবী নূহ ও তার সম্প্রদায়ের কথা বর্ণিত আছে।
নামকরণ
‘নূহ’ এ সূরার নাম। এর বিষয়বস্তুর শিরোনামও ‘নূহ’। কারণ এতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত হযরত ‘নূহ’ আলাইহিস সালামের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
এটি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মক্কী জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে নাযিল হওয়া সূরাসমূহের অন্যতম। তবে এর বিষয়বস্তুর আভ্যন্তরীণ সাক্ষ্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, যে সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াত ও তাবলীগের বিরুদ্ধে মক্কার কাফেরদের শত্রুতামূলক আচরণ বেশ তীব্রতা লাভ করেছিল তখন এ সূরাটি নাযিল হয়েছিল।
বিবরণ
হযরত নুুহ এর পরিচয়
An Islamic depiction of Noah in a 16th-century Mughal miniature.
1-4 Noah sent as a warner; his message to his people 5-20 Noah’s people refuse to believe him, notwithstanding every effort 21-26 The people of Noah plot against him and are destroyed 27-29 Noah prays for the destruction of the infidels, and for the pardon of his parents and the true believers [2].
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Nūḥ #নূহ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 04 Mar 2022 - 06min - 70 - 070 Al-Maarij || সূরা আল-মাআরিজ
সূরা আল-মাআরিজ (আরবি ভাষায়: المعارج) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৭০ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৪৪ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আল-মাআরিজ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির তৃতীয় আয়াতের ذِي الْمَعَارِجِ বাক্যাংশের الْمَعَارِجِ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে المعارج (‘মাআরিজ’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।
বিবরণ
কাফেররা কিয়ামত, আখেরাত এবং দোযখ ও বেহেশত সম্পর্কিত বক্তব্য নিয়ে বিদ্রুপ ও উপহাস করতো এবং মুহাম্মদকে এই মর্মে চ্যালেঞ্জ করতো যে, তুমি যদি সত্যবাদী হয়ে থাকো আর তোমাকে অস্বীকার করে আমরা জাহান্নামের শাস্তিলাভের উপযুক্ত হয়ে থাকি তাহলে তুমি আমাদেরকে যে কিয়ামতের ভয় দেখিয়ে থাকো তা নিয়ে এসো। যে কাফেররা এসব কথা বলতো এ সূরায় তাদের সতর্ক করা হয়েছে এবং উপদেশ বাণী শোনানো হয়েছে। তাদের এ চ্যালেঞ্জের জবাবে এ সূরার গোটা বক্তব্য পেশ করা হয়েছে।
সূরার প্রথমে বলা হয়েছে, "প্রার্থনাকারী শাস্তি প্রার্থনা করছে। মুহাম্মদের দাওয়াত অস্বীকারকারীর ওপর সে শাস্তি অবশ্যই পতিত হবে। আর যখন আসবে তখন কেউ তা প্রতিরোধ করতে পারবে না। তবে তার আগমন ঘটবে নির্ধারিত সময়ে। আল্লাহর কাজে দেরি হতে পারে। কিন্তু তার কাছে অবিচার হবেনা। কিন্তু আমি দেখছি তা অতি নিকটে"।
পরিশেষে মক্কার কাফেরদের সাবধান করা হয়েছে - "যারা মুহাম্মদকে বিদ্রুপ ও উপহাস করত। তাদেরকে বলা হয়েছে "যদি তোমরা তাকে না মানো তাহলে আল্লাহ অন্যদেরকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। মুহাম্মদ এই বলে উপদেশ দেয়া যেন তিনি এসব উপহাস- বিদ্রুপের তোয়াক্কা না করেন। এরা যদি কিয়ামতের লাঞ্ছনা দেখার জন্যই জিদ ধরে থাকে তাহলে তাদেরকে এ অর্থহীন তৎপরতায় লিপ্ত থাকতে দিন। তারা নিজেরাই এর দুঃখজনক পরিণতি দেখতে পাবে।"
.
Summary
1 A man demanded that the day of judgment might come at once 2-4 The day, whose space is fifty thousand years, will surely come 5-14 Muhammad to bear the insults of the infidels patiently, because judgment is near 12-18 Riches, children, and friends will not save the wicked from hell 19-24 The wicked are niggardly in health, but full of complaint when evil befalleth 25-35 The character of true believers described 36-41 Unbelievers need entertain no hope they shall escape destruction 42-45 Muhammad counselled to permit the unbelieving Makkans to sport themselves, because their damnation is nigh [6].
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Maarij #আল-মাআরিজ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 07 Jan 2022 - 06min - 69 - 069 Al-Haqqa || সূরা আল-হাক্কাহ
সূরা আল-হাক্কাহ (আরবি ভাষায়: الحآقّة) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৬৯ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৫২ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আল-হাক্কাহ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম শব্দটি থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরাটি الحآقّة (‘হাক্কাহ’) শব্দটি দ্বারা শুরু হয়েছে এটি সেই সূরা।[১]
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
এ সুরাটি নবী মুহাম্মদে র মক্কী জীবনের প্রাথমিক যুগে অবতীর্ণ সূরাসমূহের একটি। এর বিষয়বস্তু থেকে বুঝা যায়,সূরাটি যে সময় নাযিল হয়েছিলো তখন নবীর বিরোধিতা শুরু হয়েছিলো ঠিকই কিন্তু তখনো তা তেমন তীব্র হয়ে ওঠেনি। মুসনাদে আহমাদ হাদীস গ্রন্থে উমর থেকে বর্ণিত হয়েছে: ইসলাম গ্রহণের পূর্বে একদিন রসূলুল্লাহকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্যে আমি বাড়ি থেকে বের হলাম। কিন্তু আমার আগেই তিনি মসজিদে হারামে পৌছে গিয়েছিলেন। আমি সেখানে পৌছে দেখলাম তিনি নামাযে সূরা আল হাক্কাহ পড়ছেন। আমি তার পেছনে দাঁড়িয়ে গেলাম, শুনতে থাকলাম। কুরআনের বাচনভঙ্গি আমাকে বিস্ময়ে অভিভূত করে ফেলেছিলো। সহসা আমার মন বলে উঠলো, লোকটি নিশ্চয়ই কবি হবে। কুরাইশরাও তো তাই বলে। সে মহূর্তেই নবীর মুখে একথাগুলোর উচ্চারিত হলোঃ “এ একজন সম্মানিত রসূলের বাণী। কোন কবির কাব্য নয়।” আমি মনে মনে বললামঃ কবি না হলে গণক হবেন। তখনই পবিত্র মুখে উচ্চারিত হলোঃ “এ গণকের কথা ও নয়। তোমরা খুব কমই চিন্তা-ভাবনা করে থাকো। একথা তো বিশ্ব-জাহানের রব বা পালনকর্তার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত।” এসব কথা শোনার পর ইসলাম আমার মনের গভীরে প্রভাব বিস্তার করে বসলো। উমরের এ বর্ণনা থেকে জানা যায়, সূরাটি তার ইসলাম গ্রহণের অনেক আগে নাযিল হয়েছিলো। কারণ এ ঘটনার পর বেশ কিছুকাল পর্যন্ত তিনি ইসলাম গ্রহণ করেননি।
বিষয়বস্তুর বিবরণ
সূরাটির প্রথম রুকূ’তে আখেরাত সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় রুকু’তে কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হওয়া এবং মুহাম্মাদ যে, আল্লাহর রসূল তার সত্যতা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
কিয়ামত ও আখেরাতের কথা দিয়ে প্রথম রুকূ’ শুরু হয়েছে। কিয়ামত ও আখেরাত এমন একটি সত্য যা অবশ্যই সংঘটিত হবে। আয়াত ৪ থেকে ১২ তে বলা হয়েছে যে, যেসব জাতি আখেরাত অস্বীকার করেছে শেষ পর্যন্ত তারা আল্লাহর আযাবের উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছে। অতপর ১৭ আয়াত পর্যন্ত কিয়ামত কিভাবে সংঘটিত হবে তা বর্ণনা করা হয়েছে। যে উদ্দেশ্যে আল্লাহ দুনিয়ার বর্তমান জীবন শেষ হওয়ার পর মানুষের জন্য আরেকটি জীবনের ব্যবস্থা করেছেন ১৮ থেকে ২৭ আয়াতে সে মূল উদ্দেশ্যটি বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে - সেদিন সব মানুষ তার রবের আদালতের হাজির হবে; সেখানে তাদের কোন বিষয়ই গোপন থাকবে না। প্রত্যেকের আমলনামা তার নিজের হাতে দিয়ে দেয়া হবে। পৃথিবীতে যারা এ উপলব্দি ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে জীবন যাপন করেছিলো যে, একদিন তাদেরকে আল্লাহর কাছে নিজ নিজ কাজের হিসেব দিতে হবে, যারা দুনিয়ার জীবনে নেকী ও কল্যাণের কাজ করে আখেরাতের কল্যাণ লাভের জন্য অগ্রিম ব্যবস্থা করে রেখেছিলো তার সেদিন নিজের হিসেব পরিষ্কার ও নিরঝঞ্ঝাট দেখে আনন্দিত হবে। পক্ষান্তরে যেসব লোক আল্লাহর পারোয়া করেনি, বান্দার হকও আদায় করেনি, তাদেরকে আল্লাহর পাকড়াও থেকে রক্ষা করার মত কেউ থাকবে না। তারা জাহান্নামের আযাব ভোগ করতে থাকবে।
দ্বিতীয় রুকূ’তে মক্কার কাফেরদেরকে বলা হয়েছে - এ কুরআনকে তোমরা কবির কাব্য ও গণকের গণনা বলে আখ্যায়িত করছো। অথচ তা আল্লাহর নাযিলকৃত বাণী। তা উচ্চারিত হচ্ছে একজন সম্মানিত মুখ থেকে। এ বাণীর মধ্যে নিজের পক্ষ থেকে একটি শব্দও হ্রাস বা বৃদ্ধি করার ইখতিয়ার রসূলের নেই। তিনি যদি এর মধ্যে তার মনগড়া কোন কথা শামিল করে দেন তাহলে আমি তার ঘাড়ের শিরা (অথবা হৃদপিণ্ডের শিরা) কেটে দেবো। এ একটি নিশ্চিত সত্য বাণী। যারাই এ বাণীকে মিথ্যা বলবে শেষ পর্যন্ত তাদের অনুশোচনা করতে হবে।
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Haqqa #আল-হাক্কাহ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 31 Dec 2021 - 07min - 68 - 068 Al-Qalam || সূরা আল-কলম
সূরা আল-কলম (আরবি ভাষায়: القلم) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৬৮ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৫২ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আল-কলম মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির নামটি গৃহীত হয়েছে এর মধ্যস্থ القلم (‘কলম’) শব্দটি থেকে; আবার, এর প্রথম শব্দ 'নুন' (ن) অনুসারেও একে ডাকা হয়।
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
এটিও মক্কী জীবনের প্রথম দিকে নাযিল হওয়া সূরা সমূহের অন্যতম। তবে এর বিষয়বস্তু থেকে স্পষ্ট হয় যে, এ সূরাটি যে সময় নাযিল হয়েছিলো তখন মক্কা নগরীতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরোধিতা বেশ তীব্র হয়ে উঠেছিলো।
.
Summary
1-8 Muhammad not a madman nor an impostor 9-16 Invective against a prominent enemy of Islam 17-34 The example of certain gardeners a warning to the Makkans 35-47 Unbelievers warned of coming judgment 48-50 Muhammad exhorted not to be impatient, like Jonah 51-52 Extreme hatred of the Quraish towards Muhammad and the Quran exposed.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Qalam #আল-কলম #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 24 Dec 2021 - 09min - 67 - 067 Al-Mulk || সূরা আল-মুলক
সূরা আল-মুলক (আরবি ভাষায়: الملك) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৬৭ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৩০ এবং রূকুর সংখ্যা ২। সূরা আল-মুলক মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ বাক্যাংশের الْمُلْكُ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে الملك (‘মুলক’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
এ সূরাটি কোন সময় নাযিল হয়েছিলো তা কোন নির্ভরযোগ্য বর্ণনা থেকে জানা যায় না। তবে বিষয়বস্তু ও বর্ণনাভংগী থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, সূরাটি মক্কী জীবনের প্রথম দিকে অবতীর্ণ সূরাসমূহের অন্যতম।
.
Summary
1-3 Praise to the Almighty, the Creator and Ruler of all things 3-5 The perfection of the works of God, seen in the heavens, glorify him 5 We have adorned the lowest heaven with lamps and have made them missiles with which to pelt the devils; and We have prepared for them the punishment of the raging fire 6-8 Torments of hell prepared for unbelievers 8-11 Infidels shall confess in hell their folly in calling Muhammad an impostor 12 Verily those who fear their Lord unseen will have forgiveness and a great reward. 13-14 God knoweth all things 15-18 God shall destroy unbelievers 19-24 Unbelievers ungrateful to the God who sustains them in life 25-28 They challenged the Prophet to hasten the judgment-day, but they shall dread its approach 29-30 The Merciful the only protector on that day.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Mulk #আল-মুলক #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 17 Dec 2021 - 09min - 66 - 066 At-Tahrim || সূরা আত-তাহরীম
সূরা আত-তাহরীম (আরবি ভাষায়: التّحريم) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৬৬ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ১২ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আত-তাহরীম মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের لِمَ تُحَرِّمُ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে التّحريم (‘তাহরীম’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।
.
Summary
1 Muhammad reproved for making a vow to please his wives 2 He is relieved from his vow 3-5 Muhammad’s wives reproved and threatened for their jealousy in the affair of Mary, the Coptic slave 6-8 Exhortation to believers to exercise faith, repentance etc 9 Muhammad commanded to treat infidels and hypocrites with severity 10-12 The wives of Noah, Lot, Pharaoh, and the daughter of Imran examples to Muslim women.
Probable date of revelation
In connection with the incident of tahrim referred to in this Surah, the traditions of the Hadith mention two ladies who were among the wives of Muhammad at that time Safiyya bint Huyayy and Maria al-Qibtiyya. The former (i. e. Safiyyah) was taken to wife by Muhammad after the conquest of Khaiber, and Khaiber was conquered, as has been unanimously reported, in A. H. 7. The other lady, Mariyah, had been presented to Muhammad by Al-Muqawqis, the ruler of Egypt, in A. H. 7 and she had borne him his son, Ibrahim ibn Muhammad, in Dhu al-Hijjah, A. H. 8. These historical events almost precisely determine that this Surah was sent down some time during A.H. 7 or A. H 8.
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #At-Tahrim #আত-তাহরীম #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 10 Dec 2021 - 07min - 65 - 065 At-Talaq || সূরা আত-তালাক
সূরা আত-তালাক (আরবি ভাষায়: الطّلاق) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৬৫ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ১২ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আত-তালাক মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
"Divorce" [1] (Arabic: الطلاق, aṭ-talāq) is the 65th chapter of the Qur'an with 12 verses (ayat). At-Talaq is not only the name of this Surah but also the title of its subject matter, as it contains commandments about Talaq (divorce) itself.[2] Abdullah ibn Masud (died c.653) reportedly described it as the shorter surahAn-Nisa.[3] The surah also defines the time period of mourning (iddah) to be three menstruation periods. For pre-menarche girls and for post-menopause women - three months. In case of pregnancy, after the delivery of the child.[4]
After addressing the topic of divorce and a number of other resulting family issues[5] in first 7 verses,[6] the surah then strongly urges people to observe God’s regulations and guidance, and reminded the fate of earlier disobedient people that the apostate and disobedient were chastised for their sin.[7] The 11th verse describes the required attitude of the true believers that they exhort to faith in messenger and the regarding bounties.[8] Finally God’s power and knowledge are emphasized at the end.[9]
.
Summary
1-7 Certain limitations to the law of divorce 8-10 The apostate and disobedient chastised for their sin 11 True believers exhorted to faith in Muhammad 12 God hath created the seven heavens.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #At-Talaq #আত-তালাক #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 03 Dec 2021 - 07min - 64 - 064 At-Taghabun || সূরা আত-তাগাবুন
সূরা আত-তাগাবুন (আরবি ভাষায়: التّغابن) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৬৪ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ১৮ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আত-তাগাবুন মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির নবম আয়াতের ذَلِكَ يَوْمُ التَّغَابُنِ বাক্যাংশের التَّغَابُنِ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে التّغابن (‘তাগাবুন’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।
.
Ayat (verses)
1 All things in heaven and earth praise God 2 God hath fore-ordained men to be either believers or unbelievers 3-4 God, the Creator, knoweth all things 5-6 Former nations destroyed for their unbelief 7 Unbelief will not prevent infidels from rising from the dead 8-10 Exhortation to believe in God and his Apostle 11-13 God sovereign, therefore should be trusted 14-18 Muslims exhorted to abjure worldly ties and to devote themselves to God [5].
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #At-Taghabun #আত-তাগাবুন #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 26 Nov 2021 - 07min - 63 - 063 Al-Munafiqun || সূরা আল-মুনাফিকুন
সূরা আল-মুনাফিকুন (আরবি ভাষায়: المنافقون) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৬৩ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ১১ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আল-মুনাফিকুন মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ বাক্যাংশের الْمُنَافِقُونَ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে المنافقون (‘মুনাফিকুন’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।
.
আয়াত সমূহ
- মুনাফিকরা যখন তোমার নিকট আসে তখন তারা বলেঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহর রাসূল। আর আল্লাহ জানেন যে, তুমি নিশ্চয়ই তাঁর রাসূল এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। তারা তাদের শপথগুলিকে ঢাল রূপে ব্যবহার করে, আর তারা আল্লাহর পথ হতে মানুষকে নিবৃত্ত করে। তারা যা করছে তা কত মন্দ! এটা এ জন্য যে, তারা ঈমান আনার পর কুফরী করেছে; ফলে তাদের হৃদয় মোহর করে দেয়া হয়েছে, পরিণামে তারা বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। তুমি যখন তাদের দিকে তাকাও তখন তাদের দেহাকৃতি তোমার নিকট প্রীতিকর মনে হয় এবং তারা যখন কথা বলে তখন তুমি সাগ্রহে তাদের কথা শ্রবণ কর, যদিও তারা দেয়ালে ঠেকানো কাঠের স্তম্ভ সদৃশ। তারা যে কোন শোরগোলকে মনে করে তাদেরই বিরুদ্ধে। তারাই শত্রু, অতএব তাদের সম্পর্কে সতর্ক হও, আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন! বিভ্রান্ত হয়ে তারা কোথায় চলছে? যখন তাদেরকে বলা হয়ঃ তোমরা এসো, আল্লাহর রাসূল তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন, তখন তারা মাথা ঘুরিয়ে নেয় এবং তুমি তাদেরকে দেখতে পাও যে, তারা দম্ভভরে ফিরে যায়। তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর অথবা না কর, উভয়ই তাদের জন্য সমান। আল্লাহ তাদেরকে কখনও ক্ষমা করবেননা। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎ পথে পরিচালিত করেননা। তারাই বলেঃ আল্লাহর রাসূলের সহচরদের জন্য ব্যয় করনা যতক্ষণ না তারা সরে পড়ে। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর ধন ভান্ডারতো আল্লাহরই। কিন্তু মুনাফিকরা তা বুঝেনা। তারা বলেঃ আমরা মাদীনায় প্রত্যাবর্তন করলে সেখান হতে প্রবল দুর্বলকে বহিস্কৃত করবেই। কিন্তু সম্মানতো আল্লাহরই, আর তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের। কিন্তু মুনাফিকরা এটা জানেনা। হে মু’মিনগণ! তোমাদের ঐশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে উদাসীন না করে। যারা উদাসীন হবে তারাইতো ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তোমরা তা হতে ব্যয় করবে তোমাদের কারও মৃত্যু আসার পূর্বে; অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার রাব্ব! আমাকে আরও কিছু কালের জন্য অবকাশ দিলে আমি সাদাকাহ করতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। কিন্তু নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হবে, আল্লাহ তখন কেহকেও অবকাশ দিবেননা। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Munafiqun #আল-মুনাফিকুন #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 19 Nov 2021 - 05min - 62 - 062 Al-Jumu'ah || সূরা আল-জুমুআ
সূরা আল-জুমুআ (আরবি ভাষায়: الجمعة) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৬২ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ১১ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আল-জুমুআ মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির নবম আয়াতের إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ বাক্যাংশের الْجُمُعَةِ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে الجمعة (‘জুমুআ’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।
.
Summary
1-4 A wise, powerful, and holy God sent Muhammad as his apostle to the Arabians 5-8 The Jews rebuked for their opposition to Islam 9-11 Admonition concerning the observance of worship on Friday.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Jumu'ah #আল-জুমুআ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 12 Nov 2021 - 04min - 61 - 061 As-Saff || সূরা আস-সাফ
সূরা আস-সাফ (আরবি ভাষায়: الصّفّ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৬১ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ১৪ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আস-সাফ মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির চতুর্থ আয়াতের يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا বাক্যাংশের صَفًّا অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে الصّفّ (‘সাফ’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
কোন নির্ভরযোগ্য বর্ণনা থেকে এর নাযিল হওয়ার সময়-কাল জানা যায় না। কিন্তু এর বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলে অনুমান করা যায় যে, সূরাটি সম্ভবত ওহোদ যুদ্ধের সমসাময়িককালে নাযিল হয়ে থাকবে। কারণ এর মধ্যে যেসব পরিবেশ-পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। তা সেই সময়ের সাথেই সংশ্লিষ্ট।
বিষয়বস্তুর বিবরণ
এ সূরার বিষয়বস্তু হলো ঈমানের ব্যাপারে মুসলমানদেরকে নিষ্ঠা ঐকান্তিকতা অবলম্বন এবং আল্লাহর পথে জীবন কুরবানী করতে উদ্ধুদ্ধ করা। এতে দুর্বল ঈমানের মুসলমানদেরও সম্বোধন করা হয়েছে। যারা ঈমানের মিথ্যা দাবি করে ইসলামে প্রবেশ করেছিল তাদেরকেও সম্বোধন করা হয়েছে আবার যারা ঈমানের ব্যাপারে একনিষ্ঠ ছিল তাদেরকেও সম্বোধন করা হয়েছে। কোন কোন আয়াতে শুধু প্রথম দুটি শ্রেণীকে সম্বোধন করা হয়েছে। কোন কোন আয়াতে শুধু মুনাফিকদের সম্বোধন করা হয়েছে। আবার কোন কোন আয়াতে নিষ্ঠাবান মু’মিনদের প্রতি লক্ষ্য করে কথা বলা হয়েছে। কোন স্থানে কাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য পেশ করা হয়েছে তা বক্তব্যের ধরন থেকেই বুঝা যায়। শুরুতে সমস্ত ঈমানদারদের এই মর্মে সাবধান করা হয়েছে যে, যারা বলে এক কথা কিন্তু করে অন্য রকম কাজ, তারা আল্লাহ তা’আলার দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণিত। আর যারা ন্যায়ের পথে লড়াই করার জন্য মজবুত প্রাচীরের মত দুর্ভেদ্য হয়ে দাঁড়ায় আল্লাহ তা’আলার নিকট তারা অত্যন্ত প্রিয়।
৫ থেকে ৭ আয়াতে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মাতের লোকদেরকে সাবধান করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে বনী ইসরাঈল জাতি মূসা (আ) এবং ঈসা আলাইহিস সালামের সাথে যে আচরণ করেছে তোমাদের রসূল এবং তোমাদের দ্বীনের সাথে তোমাদের আচরণ সেই রকম হওয়া উচিত নয়। হযরত মুসা(আ) আল্লাহর রসূল একথা জানা সত্ত্বেও তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন তারা তাঁকে কষ্ট-যন্ত্রণা দিয়েছে এবং হযরত ঈসার (আ) কাছ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনাবলী দেখতে পাওয়ার পরও তাকে অস্বীকার করা থেকে বিরত হয়নি। এর ফল দাঁড়িয়েছে এই যে, ঐ জাতির লোকদের মেজাজের ধরন-প্রকৃতিই বাঁকা হয়ে গিয়েছে এবং হিদায়াত লাভের তাওফিক বা শুভবুদ্ধি থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছে। এটা এমন কোন বাঞ্ছনীয় বা ঈর্ষনীয় অবস্থা নয় যে, অন্য কোন জাতি তা লাভের জন্য উদগ্রীব হবে।
এরপর ৮ ও ৯ আয়াতে চ্যালেঞ্জ করে ঘোষণা করা হয়েছে যে, ইহুদী ও খৃস্টান এবং তাদের সাথে ষড়যন্ত্রকারী মুনাফিকরা আল্লাহর এই নূরকে নিভিয়ে দেয়ার যতই চেষ্টা-সাধনা করুক না কেন তা পুরা শানশওকতের সাথে গোটা পৃথিবীতে অবশ্যই বিস্তার লাভ করবে। মুশরিকরা যতই অপছন্দ করুক না কেন আল্লাহর মহান রসূলের আনীত দ্বীন বা জীবনব্যবস্থা অন্য সব জীবনব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবশ্যই বিজয়ী হবে।
অতপর ১০ থেকে ১৩ পর্যন্ত আয়াতে ঈমানদারদের বলা হয়েছে যে, দুনিয়া এবং আখেরাতে সফলতা লাভের পথ মাত্র একটি। তা হলো খাঁটি ও সরল মনে আল্লাহ তার রসূলের ওপর ঈমান আনো এবং জান-মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করো। এর ফল হিসেবে আখেরাতে পাবে আল্লাহর আযাব থেকে মুক্তি, গোনাহসমূহের মাগফিরাত এবং চিরদিনের জন্য জান্নাত। আর দুনিয়াতে পুরস্কার হিসেবে পাবে আল্লাহর সাহায্য সহযোগিতা এবং বিজয় ও সফলতা।
সূরার শেষে ঈমানদারদের বলা হয়েছে যে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে তাঁর হাওয়ারী বা সাহায্যকারীরা আল্লাহর পথে যেভাবে সহযোগিতা করেছে তারাও যেন অনুরূপভাবে ‘আনসারুল্লাহ’ বা আল্লাহর সাহায্যকারী হয়ে দাঁড়ায় যাতে ইতিপূর্বে ঈমান আনয়নকারি গণ যেভাবে আল্লাহর সাহায্য-সহযোগিতা লাভ করেছিলেন তারাও কাফেরদের বিরুদ্ধে তেমনি সাহায্য সহযোগিতা লাভ করতে পারে।
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #As-Saff #আস-সাফ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 05 Nov 2021 - 05min - 60 - 060 Al-Mumtahanah || সূরা আল-মুমতাহিনাহ
সূরা আল-মুমতাহিনাহ (আরবি ভাষায়: الممتحنة) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৬০ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ১৩ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আল-মুমতাহিনাহ মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির ১০ম আয়াতে হিজরতকারী নারীদের পরীক্ষা করার জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে; যেখানে শব্দটি মুমতাহানা (যে স্ত্রীলোককে পরীক্ষা করা হয়েছে) এবং মুমতাহিনা (পরীক্ষা গ্রহণকারী) - এই দু’ভাবেই শব্দটি উচ্চারিত হয়।
.
Summary
The first verse warns Muslims not to make alliance with the enemies of God. Verses 4—6 provide Abraham as a model for this, as he distanced himself from the pagans of his own tribe, including his own father. Verses 7 to 9 declares a possibility that Muslims and their erstwhile enemy might have better relations ("It may be that God will forge affection between you and those of them with whom you are in enmity") if the former enemy stops fighting the Muslims. These verses provide basis for the relations of Muslims and non-Muslims according to the Quran: the basic relation is peace unless the Muslims are attacked, or when war is justified to stop injustice or protect the religion.
The next following verses (10–12) address some matters of Islamic law. They declare marriages between Muslims and polytheists are no longer valid, and instruct Muslims on how to resolve the question of mahr when dissolving such marriages.[5] The status of inter-religious marriages was very relevant at the time of the revelation of these verses, a time when multiple women from Mecca converted to Islam while their husbands did not, or vice versa.
Revelation history
According to the Islamic tradition, Al-Mumtahanah is a Medinan sura, that is a chapter that is revealed after Muhammad's hijra to Medina. According to The Study Quran, the revelation likely took place at some point after the 6th year after the hijra (AH) or 628 CE. According to some commentators, the first verse was revealed during the conquest of Mecca in 8 AH (January 630 CE).
The traditional Egyptian chronology puts the chapter as the 91st chapter by the order of revelation (after Al-Tur), while the Nöldeke Chronology (by the orientalist Theodor Nöldeke) puts it as the 110th.
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Mumtahanah #আল-মুমতাহিনাহ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 23 Jul 2021 - 09min - 59 - 059 Al-Hashr || সূরা আল-হাশর
সূরা আল-হাশর(আরবি ভাষায়: الحشْر) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৫৯ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২৪। সূরা আল-হাশর মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির দ্বিতীয় আয়াতের أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لِأَوَّلِ الْحَشْرِ বাক্যাংশের الْحَشْرِ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে الْحَشْرِ (‘হাশর’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।
.
Summary
1 Everything in the universe praiseth God 2-5 Passage relating to the expulsion of the Baní Nadhír 6-7 Ruling of Muhammad concerning spoils 8-10 Special ruling for the benefit of the Muhájirín 11-17 Hypocrites in Madína reproved for treachery 18-20 Muslims exhorted to fear God 21 Had the Quran descended on a mountain, it would have split asunder 22-24 God hath excellent names, and he only to be worshipped.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Hashr #আল-হাশর #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 23 Jul 2021 - 12min - 58 - 058 Al-Mujadila || সূরা আল-মুজাদালাহ
সূরা আল-মুজাদালাহ (আরবি ভাষায়: المجادلة) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৫৮ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২২ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৩। সূরা আল-মুজাদালাহ মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের تٌجَادِلُكَ বাক্যাংশের المجادلة এবং المجادلة অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে المجادلة বা, المجادلة (‘মুজাদালাহ’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।
.
Summary
1-5 An ancient Arab custom of divorce abrogated 6-7 Those who oppose Muhammad threatened 8-11 Clandestine discourse against Muhammad censured and forbidden 12-14 The prophet of God to be approached with due reverence and honour 15-21 Muslims reproached for keeping company with Jews and infidels 22 Nearest relatives, if unbelievers, to be avoided as enemies of Islam.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Mujadila #আল-মুজাদালাহ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 23 Jul 2021 - 13min - 57 - 057 Al-Hadid || সূরা আল-হাদীদ
সূরা আল-হাদীদ (আরবি ভাষায়: الحديد) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৫৭ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২৯ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৪। সূরা আল-হাদীদ মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির ২৫ নং আয়াতের وَأَنْزَلْنَا الْحَدِيدَ বাক্যাংশের الْحَدِيدَ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে حديد (‘হাদীদ’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
সর্ব সম্মত মতে এটি মদীনায় অবতীর্ণ সূরা। এ সূরার বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করলে মনে হয় সম্ভবত উহুদ যুদ্ধ ও হুদায়বিয়ার সন্ধির মধ্যবর্তী কোন এক সময় এ সূরা নাযিল হয়েছে। এটা সে সময়ের কথা যখন কাফেররা চারদিক থেকে ক্ষুদ্র এ ইসলামী রাষ্ট্রটিকে তাদের আক্রমণের লক্ষস্থল বানিয়েছিল এবং ঈমানদারদের ক্ষুদ্র একটি দল অত্যন্ত সহায় সম্বলহীন অবস্থায় সমগ্র আরবের শক্তির মোকাবিলা করে যাচ্ছিলেন। এ পরিস্থিতিতে ইসলাম তার অনুসারীদের কাছে শুধু জীবনের কুরবানীই চাচ্ছিলো না বরং সম্পদের কুরবানীর প্রয়োজনীয়তাও একান্তভাবে উপলব্ধি করেছিলো। এ ধরনের কুরবানী পেশ করার জন্য এ সূরায় অত্যন্ত জোরালো আবেদন জানানো হয়েছে। সূরার ১০ আয়াত এ অনুমানকে আরো জোরালো করছে।
বিষয়বস্তুর বিবরণ
এ সূরার আলোচ্য বিষয় হচ্ছে আল্লাহর পথে অর্থ-সম্পদ ব্যয় করার উপদেশ দান। যখন আরব জাহেলিয়াতের সাথে ইসলামের সিদ্ধান্তের সংগ্রাম চলছিলো, ইসলামের ইতিহাসের সে সংকটকালে মুসলমানদেরকে বিশেষভাবে আর্থিক কুরবানীর জন্য প্রস্তুত করা এবং ঈমান যে শুধু মৌখিক স্বীকৃতি ও বাহ্যিক কিছু কাজকর্মের নাম নয় বরং আল্লাহ ও তার রসূলের জন্য একনিষ্ঠ হওয়াই তার মূল চেতনা ও প্রেরণা, একথা তাদের মনে বদ্ধমূল করে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এ সূরা নাযিল করা হয়েছিল। যে ব্যক্তির মধ্যে এ চেতনা ও প্রেরণা অনুপস্থিত এবং আল্লাহ ও তার দীনের মোকাবিলায় নিজের প্রাণ, সম্পদ ও স্বার্থকে অধিকতর ভালবাসে তার ঈমানের দাবী অন্তসর শুন্য। আল্লাহর কাছে এ ধরনের ঈমানের কোন মূল্য ও মর্যাদা নেই। কেবল সেই সব ঈমানদারই আল্লাহর নিকট ‘সিদ্দিক’ ও শহীদ বলে গণ্য যারা কোন রকম প্রদর্শনীর মনোভাব ছাড়াই একান্ত আন্তরিকতা ও সততার সাথে নিজেদের অর্থ-সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে।
.
Summary
1-6 God omniscient and omnipresent 7-11 Muslims exhorted to give alms and help on the holy war 12-14 The wise and the foolish in the judgment-day 15-17 True believers admonished to submit humbly to God 18 God will reward the faithful but will punish the wicked 19-20 The present life a vain show 21 Men exhorted to seek the life to come 22-23 All things recorded in God’s book of decrees 24 God hateth proud and covetous persons (therefore the defeat at Ohod) 25 Apostles sent to former nations 26-27 Noah, Abraham, the prophets, and Jesus, with the Gospel, sent 28-29 Christians exhorted to become Muslims.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Hadid #আল-হাদীদ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 23 Jul 2021 - 16min - 56 - 056 Al-Waqi'a || সূরা আল-ওয়াকিয়াহ
সূরা আল ওয়াক্বিয়াহ্ (আরবি ভাষায়: الواقعة) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৫৬ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৯৬ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৩। সূরা আল ওয়াক্বিয়াহ্ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের الواقعة বাক্যাংশে থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে واقعة (‘ওয়াক্বিয়াহ্’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।[১] ওয়াকিয়াহ শব্দটির অর্থ "ঘটনা" বা বলা যেতে পারে "কিয়ামত দিবসের ঘটনা"
.
Summary
1-2 The coming of the judgment-dayinevitable 3-7 Its terrors described 8-11 Its coming shall separate men into three classes 12-39 Joys of the Muslim heaven described 40-56 The punishment of the wicked in hell depicted 57-73 Arguments for the resurrection of the dead drawn from God’s work in creation and providence 74-81 Oath by the stars that the Qurán is divinely-inspired 82-96 Men should believe in God since they cannot save the dying from death.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Waqi'a #আল-ওয়াকিয়াহ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 23 Jul 2021 - 12min - 55 - 055 Ar-Rahman || সূরা আর-রাহমান
সূরা আর রহমান (আরবি: الرحمن) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৫৫ তম সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৭৮ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৩। সূরা আর রহমান মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।[১][২]
এই সূরায় জ্বীন ও মানব জাতিকে উদ্দেশ্য করে বারবার প্রশ্ন করা হয়েছে, "অতএব, তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?" এ আয়াতটি ৩১ বার রয়েছে।
.
শিরোনাম
এই সূরার শিরোনাম, যেটি সূরার প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে যার অর্থ “পরম দয়াময় আল্লাহ”। এ সূরার মধ্যে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলার রহমতের পরিচায়ক গুণাবলী ও তার বাস্তব ফলাফলের উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যান্য সূরার মত এটিও (সূরা তওবা ব্যতীত) "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি) দিয়ে শুরু করা হয়েছে।
.
নাযিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত
মুহাম্মাদ (সাঃ)কর্তৃক নবুয়াত লাভের পর মক্কার কাফেররা ইসলাম সম্পর্কে কৌতূহলী হয়। তারা আল্লাহ নামটির সঙ্গে পরিচিত ছিল। কিন্তু আল্লাহ’র অন্যান্য নাম যেমন ‘রাহমান’ সম্পর্কে অবহিত ছিল না। তারা যে সকল মূর্তির পূজা করতো সেগুলোর একাধিক নাম ছিল না। আল্লাহ’র গুণবাচক নাম ‘রাহমান’ শুনে তারা বলাবলি করতো ওয়া মা রাহমান, অর্থাৎ “রাহমান আবার কী?” এ সূরা নাজিলের মাধ্যমে আল্লাহ’র ‘রাহমান’ নামের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Ar-Rahman #আর-রাহমান #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Sun, 18 Jul 2021 - 12min - 54 - 054 Al-Qamar || সূরা আল-ক্বামার
সূরা আল ক্বামার (আরবি ভাষায়: القمر) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৫৪তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৫৫ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৩। সূরা আল ক্বামার মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের وَانْشَقَّ الْقَمَرُ বাক্যাংশের الْقَمَرُ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে القمر (‘ক্বামার’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।
.
নাজিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত
মদীনায় হিযরাতের ৫ বৎসর পূর্বে মক্কার কাফির ও মুশরিকদের একদল নেতা একবার মুহাম্মাদ'র কাছে আসে। তাদের মধ্যে আবু জেহেল, ওয়ালিদ বিন মুগিরাহ, আস ইবনে ওয়ায়েল, আস ইবনে হিশাম, আসওয়াদ ইবনে আবদে ইয়াগুস, আসওয়াদ ইবনে মুত্তালিব, যাম‘আহ ইবনুল আসওয়াদ, নযর ইবনে হারেস ইত্যাদি ছিল। ঐ দিন রাতের আকাশে পূর্ণ চাঁদ দেখা যাচিছল। তারা বললো, ‘আপনার নবুওতের দাবী যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে এই চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত হতে বলুন’। মুহাম্মাদ বললেন, ‘এ কাজ করলে কি তোমরা ঈমান আনবে?’ তারা বললো, ‘হ্যা।” অতঃপর মুহাম্মদ আল্লাহর কাছে এ বিষয়ে প্রার্থনা করলেন। তার প্রার্থনা কবুল হলো। অতঃপর চাঁদ স্পষ্টভাবে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল এবং দুই খণ্ডের মাঝখানে হেরা পর্বত দৃশ্যমান হলো। দুই খণ্ডের এক খণ্ড আবী কুবাইস পাহাড় বরাবর, অপরটি কাইকা’আন বরাবর দৃশ্যমান হলো। ইবনে কাসীর সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রাথমিককালের ইসলামী ইতিহাস রচয়িতাগণ এ ঘটনাকে নির্ভুল বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।[২][৩][৪] এ সময় মুহাম্মাদ বলছিলেন, ‘সাক্ষী থাক ও দেখ’। কাফির ও মুশরিকরা এই অসাধারণ দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেল। কিন্তু তারা ঈমান না এনে বললো, ‘মনে হয়, আপনি আমাদেরকে যাদু করেছেন’। এ ঘটনাকে বলা হয় ‘শাক্কুল ক্বামার (আরবি: انشقاق القمر)) যার পরিপ্রেক্ষিতে সূরা কামার (চন্দ্র) অবতীর্ণ হয়। এর প্রথম দুই আয়াত হলো: ৫৪:১-২
اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ وَإِن يَرَوْا آيَةً يُعْرِضُوا وَيَقُولُوا سِحْرٌ مُّسْتَمِرٌّ
এর অর্থ হলো, “কেয়ামত সমাসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। তারা যদি কোনো নিদর্শন দেখে তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে এটা তো চিরাচরিত জাদু’’।
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Qamar #আল-ক্বামার #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Sun, 18 Jul 2021 - 10min - 53 - 053 An-Najm || সূরা আন-নাজম
সূরা আন-নাজম (আরবি ভাষায়: النّجْم) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৫৩ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৬২ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৩। সূরা আন-নাজম মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম শব্দ وَالنَّجْمِ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরাটি النّجْم (‘নাজম’) শব্দটি দ্বারা শুরু হয়েছে এটি সেই সূরা।
.
শানে নুযূল
নাযিল হওয়ার সময়-কাল সম্পর্কে এ বিস্তারিত আলোচনা থেকে কিরূপ পরিস্থিতিতে এ সূরাটি নাযিল হয়েছিল তা জানা যায়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবুওয়াত লাভের শুরু থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত শুধু ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং বিশেষ বিশেষ বৈঠকেই আল্লাহর বাণী শুনিয়ে মানুষকে আল্লাহর দীনের দিকে আহবান জানিয়ে আসছিলেন। এ সুদীর্ঘ সময়ে তিনি কখনো কোন জনসমাবেশে কুরআন শোনানোর সুযোগ পাননি। কাফেরদের চরম বিরোধীতাই ছিল এ প্রধান অন্তরায়। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও প্রচারণমূলক তৎপরতায় কিরূপ প্রচণ্ড আকর্ষণ এবং কুরআন মজীদের আয়াতসমূহে কি সাংঘাতিক প্রভাব আছে তারা খুব ভাল করেই জানতো। তাই তাদের চেষ্টা ছিল তারা নিজেরাও এ বাণী শুনবে না, অন্য কাউকেও শুনতে দিবে না এবং তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকমের ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি করে শুধু নিজেদের মিথ্যা প্রচার প্রোপাগাণ্ডা জোরে তাঁর এ আন্দোলনকে দমিয়ে দেবে। এ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য একদিকে তারা বিভিন্ন স্থানে একথা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছিলো যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভ্রান্ত ও বিপথগামী হয়েছেন এবং লোকদেরকে পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। অপরদিকে তাদের স্থায়ী কর্মপন্থা ছিল এই যে, নবী (সা) যেখানেই কুরআন শোনানোর চেষ্টা করতেন সেখানেই হট্টগোল, চিৎকার হৈ হল্লা শুরু করিয়ে দিতে হবে যাতে যে কারণে তাঁকে পথভ্রষ্ট ও বিভ্রান্ত লোক বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে জানতে তা যেন লোকে আদৌ জানতে না পারে। এ পরিস্থিতিতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন পবিত্র হারাম শরীফের মধ্যে কুরাইশদের একটি বড় সমাবেশে হঠাৎ বক্তৃতা করতে দাঁড়ালেন। সূরা নাজম আকারে এখন যে সূরাটি আমাদের সামনে বর্তমান, আল্লাহর পক্ষ থেকে রসূলের (সা) মুখে তা বক্তৃতা আকারে পরিবেশিত হলো। এ বাণীর প্রচণ্ড প্রভাবে অবস্থা দাঁড়ালো এই যে, তিনি তা শুনাতে আরম্ভ করলে এর বিরুদ্ধে বিরেধীদের হট্টগোল ও হৈ -হল্লা করার খেয়ালই হলো না। আর শেষের দিকে তিনি যখন সিজদা করলেন তখন তারাও সিজদা করলো। পরে তারা এই ভেবে অত্যন্ত বিচলিত বোধ করলো যে, আমরা একি দুর্বলতা দেখিয়ে ফেললাম। এজন্য লোকজনও তাদেরকে এ বলে তিরস্কার করলো যে, এরা অন্যদের এ বাণী শুনতে নিষেধ করে ঠিকই কিন্তু আজ তারা কান পেতে তা শুধু শুনলো না, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সিজদাও করে বসলো। অবশেষে তারা এ মর্মে মিথ্যা অপবাদ রটায় যে, আরে মিয়া, আমরা তো () কথাটির পর মুহাম্মাদ (সা) মুখ থেকে ——–( এরা সব উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন দেবী। তাদের শাফায়াতের আশা অবশ্যই করা যায়) কথাটি শুনেছিলাম। তাই আমরা মনে করেছিলাম যে, মুহাম্মাদ (সা) আমাদের পথে ফিরে এসেছে। অথচ তারা যে কথাটি শুনতে পেয়েছে বলে দাবী করেছিলো, এ সমগ্র সূরাটির পূর্বাপর প্রেক্ষিতের মধ্যে তা কোথাও খাটে না। এ ধরনের একটি উদ্ভট বাক্যের সাথে এ সূরার মিল খুঁজে পাওয়া একমাত্র কোন পাগলের পক্ষেই সম্ভব। (বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন তাফহীমূল কুরআন, আল -হাজ্জ, টীকা -৯৬ থেকে ১০১) ।
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #An-Najm #আন-নাজম #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Sun, 18 Jul 2021 - 09min - 52 - 052 At-Toor|| সূরা আত্ব-তূর
সূরা আত্ব তূর (আরবি ভাষায়: الحجرات) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৫২ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৪৯ এবং এর রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আত্ব তূর মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
নামকরণ[উৎস সম্পাদনা]
এই সূরাটির প্রথম শব্দ وَالطُّورِ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরা وَالطُّورِ (‘আত্ব তূর’) শব্দটি দ্বারা শুরু হয়েছে এটি সেই সূরা।
.
Summary
1-8 Oaths by various objects that the judgment-day will come 9-16 The terrors of the unbelievers in that day 17-28 The bliss of Paradise described 29-34 Muhammad not a soothsayer, madman, poet, or impostor 35-47 Unbelievers reproved for their ignorance and idolatry 42-43 Plots of the enemies of Muhammad exposed 44-47 Muhammad to leave the idolaters to their fate 48-49 Muhammad exhorted to praise and trust the Lord.
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #At-Toor #আত্ব-তূর #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Sun, 18 Jul 2021 - 08min - 51 - 051 Adh-Dhaariyaat || সূরা আয-যারিয়াত
সূরা আয-যারিয়াত (আরবি ভাষায়: الذّاريات) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৫১ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৬০ এবং এর রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৩। সূরা আয-যারিয়াত মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম শব্দ وَالذَّارِيَاتِ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, এটি সেই সূরা যা الحجرات (‘আয-যারিয়াত’) শব্দটি দ্বারা শুরু হয়েছে।[১]
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
বিষয়বস্তু ও বর্ণনাভঙ্গী থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়, যে সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইসলামী আন্দোলনের মোকাবিলা অস্বীকৃতি, ঠাট্রা-বিদ্রুপ ও মিথ্যা অভিযোগ আরোপের মাধ্যমে অত্যন্ত জোরে শোরেই করা হচ্ছিলো ঠিকই কিন্তু তখনো জুলুম ও নিষ্ঠুরতার যাঁতাকালে নিষ্পেষণ শুরু হয়নি, ঠিক সেই যুগে এ সূরাটি নাযিল হয়েছিলো। এ কারণে যে যুগে সূরা ক্বাফ নাযিল হয়েছিলে এটিও সে যুগের নাযিল হওয়া সূরা বলে প্রতীয়মান হয়।
বিষয়বস্তুর বিবরণ
এর অধিকাংশটাই জুড়ে আছে আখেরাত সম্পর্কিত আলোচনা এবং শেষভাগে তাওহীদের দাওয়াত পেশ করা হয়েছে। সাথে সাথে মানুষকে এ বিষয়েও হুঁশিয়ার করে দেয়া হয়েছে যে, নবী-রসূলদের (আ) কথা না মানা এবং নিজেদের জাহেলী ধ্যান-ধারণা আঁকড়ে ধরে একগুঁয়েমী করা সেসব জাতির নিজেদের জন্যই ধ্বংসাত্মক প্রমাণিত হয়েছে যারা এ নীতি অবলম্বন করেছিলো। এ সূরার ছোট ছোট কিন্তু অত্যন্ত অর্থপূর্ণ আয়াতসমূহে আখেরাত সম্পর্কে যে কথা বলা হয়েছে তা হচ্ছে, মানব জীবনের পরিণাম ও পরিণতি সম্পর্কে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন ও পরস্পর বিরোধী আকীদা-বিশ্বাস পোষণ করে। এটাই প্রমাণ করে যে, এসব আকীদা-বিশ্বাসের কোনটিই জ্ঞানগত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়। প্রত্যেকেই নিজের অনুমান ও ধারণার ভিত্তিতে নিজ নিজ অবস্থানে যে মতবাদ গড়ে নিয়েছে সেটাকেই সে তার আকীদা-বিশ্বাস বানিয়ে আঁকড়ে ধরেছে। কেউ মনে করে নিয়েছে, মৃত্যুর পরে কোন জীবন হবে না। কেউ আখেরাত মানলেও জন্মান্তর বাদের ধারণাসহ মেনেছে। কেউ আখেরাতের জীবন এবং পুরস্কার ও শাস্তির কথা বিশ্বাস করলেও কর্মের প্রতিফল থেকে বাঁচার জন্য নানা রকমের সহায় ও অবলম্বন কল্পনা করে নিয়েছে। যে বিষয়ে ব্যক্তির সিদ্ধান্ত ভুল হলে তার গোটা জীবনকেই ব্যর্থ এবং চিরদিনের জন্য তার ভবিষ্যতকে ধ্বংস করে দেয় এমন একটি বড় ও সর্বাধিক গুরুত্ববহ মৌলিক বিষয়ে জ্ঞান ছাড়া শুধু অনুমান ও ধারণার ভিত্তিতে কোন আকীদা-বিশ্বাস গড়ে নেয়া একটি সর্বনাশা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
এরপর অতি সংক্ষিপ্তভাবে তাওহীদের দাওয়াত পেশ করে বলা হয়েছে,,, তোমাদের স্রষ্টা তোমাদেরকে অন্যদের বন্দেগী ও দাসত্বের জন্য সৃষ্টি করেননি, বরং নিজের ইবাদতের ও দাসত্বের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তিনি তোমাদের মিথ্যা উপাস্যদের মত নন। তোমাদের মিথ্যা উপাস্যরা তোমাদের থেকে রিযিক গ্রহন করে এবং তোমাদের সাহায্য ছাড়া তাদের প্রভুত্ব অচল। তিনি এমন উপাস্য যিনি সবার রিযিকদাতা। তিনি কারো নিকট থেকে রিযক গ্রহণের মুখাপেক্ষী নন এবং নিজ ক্ষমতাবলেই তাঁর প্রভুত্ব চলছে।
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Adh-Dhaariyaat #আয-যারিয়াত #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Sun, 18 Jul 2021 - 10min - 50 - 050 Qaaf || সূরা ক্বাফ
050 Qaaf || সূরা ক্বাফ
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Qaaf #ক্বাফ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 15 Jul 2021 - 10min - 49 - 049 Al-Hujuraat || সূরা আল-হুজুরাত
049 Al-Hujuraat || সূরা আল-হুজুরাত
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Hujuraat #আল-হুজুরাত #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 15 Jul 2021 - 09min - 48 - 048 Al-Fath || সূরা আল-ফাত্হThu, 15 Jul 2021 - 16min
- 47 - 047 Muhammad || সূরা মুহাম্মদThu, 15 Jul 2021 - 15min
- 46 - 046 Al-Ahqaaf || সূরা আল-আহ্ক্বাফ
046 Al-Ahqaaf || সূরা আল-আহ্ক্বাফ
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Ahqaaf #আল-আহ্ক্বাফ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 15 Jul 2021 - 18min - 45 - 045 Al-Jaathiyah || সূরা আল-জাসিয়াহ
045 Al-Jaathiyah || সূরা আল-জাসিয়াহ
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Al-Jaathiyah #আল-জাসিয়াহ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 15 Jul 2021 - 13min - 44 - 044 Ad-Dukhaan || সূরা আদ-দোখান
044 Ad-Dukhaan || সূরা আদ-দোখান
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Ad-Dukhaan #আদ-দোখান #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 15 Jul 2021 - 10min - 43 - 043 Az-Zukhruf || সূরা আয্-যুখরুফ
043 Az-Zukhruf || সূরা আয্-যুখরুফ
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Az-Zukhruf #আয্-যুখরুফ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 15 Jul 2021 - 23min - 42 - 042 Ash_Shooraa || সূরা আশ্-শূরা
042 Ash_Shooraa || সূরা আশ্-শূরা
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Ash_Shooraa #আশ্-শূরা #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 15 Jul 2021 - 23min - 41 - 041 Fussilat || সূরা হা-মীম সেজদাহ্
041 Fussilat || সূরা হা-মীম সেজদাহ্
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Fussilat #হা-মীম সেজদাহ্ #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 15 Jul 2021 - 23min - 40 - 040 Ghafir || সূরা আল-মু'মিনThu, 15 Jul 2021 - 34min
- 39 - 039 Az-Zumar || সূরা সূরা আয্-যুমার
039 Az-Zumar || সূরা সূরা আয্-যুমার
.
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
.
#Islam #Quran #Az-Zumar #আয্-যুমার #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 15 Jul 2021 - 32min - 38 - 038 Ṣād || সূরা ছোয়াদThu, 15 Jul 2021 - 21min
- 37 - 037 As-Saaffaat || সূরা আস-ছাফফাতThu, 15 Jul 2021 - 26min
- 36 - 036 Ya-Sin|| সূরা ইয়াসীনSun, 09 May 2021 - 21min
- 35 - 035 Faatir || সূরা ফাতিরSun, 09 May 2021 - 21min
- 34 - 034 Saba || সূরা সাবাSun, 09 May 2021 - 24min
- 33 - 033 Al-Ahzab || সূরা আল-আহযাবSun, 09 May 2021 - 37min
- 32 - 032 As-Sajdah|| সূরা আস-সিজদাহSun, 09 May 2021 - 10min
- 31 - 031 Luqman || সূরা লোকমান
সূরা লোক্মান, (আরবি: سورة لقمانم, (একজন জ্ঞানী ব্যক্তি) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৩১ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৩৪ টি।
নামকরণ
এ সূরার দ্বিতীয় রুকুতে লোকমান হাকীমের উপদেশাবলী উদ্ধৃত করা হয়েছে। তিনি নিজের পুত্রকে এ উপদেশ দিয়েছিলেন। এই সুবাদে এ সূরার লুকমান নামকরণ করা হয়েছে।
031 Luqman || সূরা লোকমান
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran #লোকমান #Luqman #IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Sun, 09 May 2021 - 14min - 30 - 030 Ar-Rum || সূরা আর-রুম
আর রুম, (আরবি: سورة الروم), (রোমান জাতি), মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৩০ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৬০ টি।
নাযিল হওয়ার স্থান ও সময়
সূরা রুম পবিত্র মক্কায় নাযিল হয়, এটি তাই মাক্কি সূরা। সূরা রুমের শুরতেই যে ঐতিহাসিক ঘটনার কথা বলা হয়েছে তা থেকে নাযিলের সময় কাল চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হয়ে যায়। এখানে বলা হয়েছে যে, “নিকটবর্তী দেশে রোমীয়রা পরাজিত হয়েছে।”সে সময় আরবের সন্নিহিত রোম অধিকৃত এলাকা ছিল জর্দান,সিরিয়া ও ফিলিস্তীন। এসব এলাকায় রোমানদের ওপর ইরানীদের(পার্সিয়ানদের)বিজয় ৬১৫ খৃষ্টাব্দে পূর্ণতা লাভ করেছিল। এ থেকে পূর্ণ নিশ্চয়তা সহকারে বলা যেতে পারে যে, এ সূরাটি সে বছরই নাযিল হয় এবং হাবশায় হিজরাতও এ বছরই অনুষ্ঠিত হয়।
নামকরণ
প্রথম আয়াতের ‘গুলিবাতির্ রুম’ থেকে সূরার নাম গৃহীত হয়েছে।
030 Ar-Rum || সূরা আর-রুম
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran #আর-রুম #Ar-Rum#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Sun, 09 May 2021 - 21min - 29 - 029 Al-Ankabut || সূরা আল-আনকাবূত
আল আনকাবূত,(মাকড়শা) (আরবি: سورة النمل), (পিপীলিকা) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ২৯ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৬৯টি।
029 Al-Ankabut || সূরা আল-আনকাবূত
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran #Al-Ankabut #আল-আনকাবূত#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Sun, 09 May 2021 - 27min - 28 - 028 Al-Qasas || সূরা আল-কাসাস
আল কাসাস(আরবি: سورة القصص; কাহিনী) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ২৮ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৮৮টি।
নামকরণ
২৫ নং আয়াতের (আরবী) বাক্যংশ থেকে সূরার নামকরণ করা হয়েছে। আভিধানিক অর্থে কাসাস বলতে ধারাবাহিকভাবে ঘটনা বর্ণনা করা বুঝায়। এ দিক দিয়ে এ শব্দটি অর্থের দিক দিয়েও এ সূরার শিরোনাম হতে পারে। কারণ এর মধ্যে হযরত মূসার কাহিনী বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
028 Al-Qasas || সূরা আল-কাসাস
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran #আল-কাসাস #Al-Qasas#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Sun, 09 May 2021 - 39min - 27 - 027 An-Naml || সূরা আন নমল
আন নম্ল(আরবি: سورة النمل) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ২৭তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৯৩টি। নম্ল শব্দের অর্থ (পিপীলিকা)।
নামকরণ
দ্বিতীয় রুকূ’র চতুর্থ আয়াতে واد النمل এর কথা বলা হয়েছে। সূরার নাম এখান থেকেই নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ এমন সূরা যাতে নামল এর কথা বলা হয়েছে। অথবা যার মধ্যে নামল শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।
027 An-Naml || সূরা আন নমল
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran #আন-নমল #An-Naml#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Sun, 09 May 2021 - 32min - 26 - 026 Ash-Shu'ara || সূরা আশ-শুআরা
সূরা আশ শুআরা, (আরবি: سورة الشعراء, (কবিগণ), মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ২৬ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ২২৭ টি।
নামকরণ
২২৪ আয়াত থেকে সূরাটির নামটি গৃহীত হয়েছে।
026 Ash-Shu'ara || সূরা আশ-শুআরা
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran #Ash-Shu'ara #আশ-শুআরা#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Sun, 09 May 2021 - 37min - 25 - 025 Al-Furqan || সূরা আল-ফুরকান
আল ফুরকান(আরবি: سورة الفرقان; সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণকারী গ্রম্থ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ২৫ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ সূরার আয়াত সংখ্যা ৭৭টি এবং রুকু সংখ্যা ৬ টি ।
নামকরণ
প্রথম আয়াত (আরবী) থেকে সূরার নাম গৃহীত হয়েছে। কুরআনের অধিকাংশ সূরার মতো এ নামটিও বিষয়বস্তু ভিত্তিক শিরোনাম নয় বরং আলামত হিসেবে সন্নিবেশিত হয়েছে।
025 Al-Furqan || সূরা আল-ফুরকান
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran #আল-ফুরকান #Al-Furqan#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 07 May 2021 - 25min - 24 - 024 An-Nur || সূরা আন-নূর
সূরা আন নূর মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ২৪ তম সূরা। সূরার নামের বাংলা অর্থ আলো। এটি মাদানী সূরা। এ সূরায় হযরত আয়েশা রা. এর উপর দেওয়া অপবাদ খন্ডন করা হয়েছে।
নামকরণ
পঞ্চম রুকূ’র প্রথম আয়াত তথা ৩৫ তম আয়াত থেকে সূরার নাম গৃহীত হয়েছে।[১] উক্ত আল্লাহ নিজের পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে নূর শব্দ ব্যবহার করেছেন।
শানেনুযুল
এ সূরাটি যে বনু মুসতালিক যুদ্ধের সময় নাযিল হয়, এ বিষয়ে সবাই একমত ।[২] কুরআনের বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, হযরত আয়েশার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের ঘটনা প্রসংগে এটি নাযিল হয় । হযরত আয়েশা রা. বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ (ইফকের ঘটনা) খন্ডন করে দেওয়া হয় এ সূরা নাজিলের মাধ্যমে।
বিষয়বস্তু
এ সূরায় ব্যভিচারের শাস্তি ঘোষণা করা হয়। কারো বিরুদ্ধে অহেতুক ব্যাভিচারের অপবাদ দেবার শাস্তি ঘোষিত হয়। ১১ নং আয়াতে হযরত আয়েশা রা. এর বিরুদ্ধে আনা অপবাদের জবাব দেওয়া হয়। ২৭ নং আয়াতে অনুমতি ছাড়া অপরের ঘরে প্রবেশ করতে নিষেধ করে আইন করা হয়। ৩০ ও ৩১ নং আয়াতে যথাক্রমে পুরুষ ও নারীদের জন্যে পর্দার বিধান দিয়ে দৃষ্ঠি নিচু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ৩১ আয়াতে গাইরে মাহরামদের (যাদের সাথে বিয়ে জায়েয কিন্তু দেখা দেওয়া হারাম) তালিকা দেওয়া হয়। ৩৫ আয়াতে আল্লাহ একটি উপমার দ্বারা নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন । পরবর্তী আয়াতগুলোতে সৃষ্ঠিজগতের প্রাকৃতিক ও বৈজ্ঞানিক কিছু নিদর্শনের প্রতি ইঙ্গিত করে পরকালের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
024 An-Nur || সূরা আন-নূর
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran #আন-নূর #An-Nur#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 07 May 2021 - 35min - 23 - 023 Al-Mu’minun || সূরা আল-মুমিনূন
আল মু'মিনূন, (আরবি: سورة المؤمنون), (মুমিনগণ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ২৩ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১১৮টি।
নামকরণ
প্রথম আয়াত قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ থেকে সূরার নাম গৃহীত হয়েছে।
বিষয়বস্তু
এই সূরার মূল বক্তব্য হচ্ছে চারিত্রিক গুণাবলী যা মুমিন বা বিশ্বাসী হওয়ার 'বীজতলা ' বা মূলভিত্তি। বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সেই রূপ পরিবেশের যখন সত্যকে অস্বীকার করা হয় এবং সত্যের অনুসারীদের অত্যাচার ও অপমানে জর্জরিত করা হয়। সত্য এক, অদ্বিতীয় এবং সন্দেহাতীত এবং শেষ পর্যন্ত সত্য চিরস্থায়ী। যারা পাপের রাস্তায় থাকে তাদের শেষ মুহুর্তের অনুতাপ গ্রহণযোগ্য হবে না।
022 Al-Mu’minun || সূরা আল-মুমিনূন
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran #আল-মুমিনূন #Al-Mu’minun#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 07 May 2021 - 29min - 22 - 022 Al-Hajj || সূরা আল-হাজ্জ্ব
সুরা আল হাজ্জ্ব (আরবি: سورة الحج, "তীর্থযাত্রা, হজ্জ") কুরআনের ২২তম সূরা। এই সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ৭৮। সুরাটি মূলত মুসলমানদের অবশ্য পালনীয় ধর্মীয় কর্ম হাজ্জ্ব এবং হাজ্জ্ব সংক্রান্ত দিকটি বেশি উম্মচিত হয়েছে।
Summary
1-2 The dreadful character of the judgment-day 3-4 Nadr ibn al-Harith rebuked for his infidelity 5-7 Proofs of the doctrine of the resurrection 8-10 Abu Jahl’s obstinate infidelity and its punishment 11-13 Hypocrites exposed and rebuked 14 God will reward the righteous 15-16 God will cause Muhammad and the Quran to triumph 17 God will judge between the followers of conflicting faiths ۩ 18 All creatures praise God 19-24 The awful fate of unbelievers contrasted with the joy of believers 25-26 Profaners of the Kaabah will be punished 27 God appointed the site of the Kaabah an abode for Abraham 28-32 The pilgrimage to Makkah instituted for Muslims 32-35 Rites to be observed by the pilgrims 36 Sacrifices appointed for the professors of every religion 37 The humble believer encouraged 38-39 The sacrifices at Madína symbolical of obedience to God 40-43 War against infidels permitted when in self-defence 44-45 All God’s prophets have been accused of imposture 46-47 Infidels blind to God’s judgments on the ungodly 48-49 Though God is forbearing he will punish unbelievers 50 Muhammad a public preacher 51-52 Reward and punishment of believers and infidels 53-55 All prophets have been subject to Satanic deception 56-58 The unbelievers incorrigible, but God will judge between them and the righteous 59-60 Blessed condition of the Muhájjarín and martyrs 61 Revenge of personal injuries permitted 62-67 God the Creator and Preserver of all things 68 Professors of other religions not to dispute with Muhammad 69-70 How Muhammad should treat those who dispute with him 71 The Omniscient God has decreed all things 72 Idolaters have no proof from God for their idolatry 73 Unbelievers (Quraish) ready to use violence towards the Muslims 74 The Makkan idols unable to keep the flies off themselves 75 Idolaters have a low estimate of the power of God 76 God chooses messengers from among men and angels 77 God knoweth all things, and all shall return to him 78-79 True believers exhorted to worship God and to fight in defence of his religion 79 Muslims exhorted to be steadfast in the faith of their father Abraham022 Al-Hajj || সূরা আল-হাজ্জ্ব
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran #সূরা আল-হাজ্জ্ব #Al-Hajj#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 07 May 2021 - 33min - 21 - 021 Al-Anbiya || সূরা আল-আম্বিয়া
সূরা আল আম্বিয়া (আরবি: سورة الأنبياء "নবীগণ") মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের একুশতম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১১২ টি।
নামকরণ
কোন বিশেষ আয়াত থেকে এ সূরার নামকরণ করা হয়নি। এই সূরায় যেহেতু অনেক নবীর কথা বর্ণনা করা হয়েছে তাই এর নাম রাখা হয়েছে “আল আম্বিয়া”।
বিষয়বস্তু
মুহাম্মাদ ও কুরাইশদের সাথে মধ্যে যে বিবাদ ছিল তা এখানে প্রতিফলিত হয়েছে। কুরাইশরা নবী করীম এর রেসালতের দাবী, আখেরাতে বিশ্বাস ও তওহীদের বিরুদ্ধে মনে যে অবিশ্বাস ও সন্দেহ করত তার বিরুদ্ধে জবাব দেয়া হয়েছে।এই সূরায়, তারা মুহাম্মদ কে যে ভয়প্রদর্শন করত তার বিরুদ্ধে ভয় এবং চরম শাস্তির কথা বলা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, যাকে তোমরা শত্রু মনে করছো তিনি তোমাদের জন্য রহমতস্বরূপ।
021 Al-Anbiya || সূরা আল-আম্বিয়া
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran #আল-আম্বিয়া #Al-Anbiya#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Fri, 07 May 2021 - 33min - 20 - 020 Ta-Ha || সূরা ত্বোয়া-হা
সূরা ত্বোয়া-হা, (আরবি: سورة طه, (ত্বোয়া-হা) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের বিংশ সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১৩৫ টি।
Summary
1-3 The Quran an admonition from God to the faithful 4-7 God one, a Sovereign King, omniscient, and possessed of most excellent names The History of Moses 8-10 He sees the burning bush 11-12 God speaks to him out of the fire 13-14 He is chosen and instructed by God 15-17 A day of judgment will surely come 18-24 God bestows on him signs and miracles 25 He is commanded to go to Pharaoh 26-35 Moses prays for the assistance of Aaron 36-42 God reminds Moses of former favours 43-50 He is sent with Aaron to Pharaoh 51-57 Conversation between Pharaoh and Moses 58-59 Pharaoh rejects Moses and accuses him of imposture 60-62 Pharaoh proposes to meet Moses and Aaron with countermiracles 63-64 Moses warns the magicians against deception 65 The magicians dispute among themselves 66 They counsel Pharaoh against Moses 67 Pharaoh encourages the magicians to do their best 68-72 The contest between Moses and the magicians 73 The magicians are converted 74-75 Pharaoh threatens the magicians with dire punishment 75-78 The magicians defy the wrath of Pharaoh, and express hope in God 79-80 God commands Moses to lead the Israelites through the Red Sea 81 Pharaoh pursues them, and is overwhelmed by the sea 82-83 God feeds the Israelites on manna and quails in the desert 83-84 God's treatment of the unbelieving and penitent 85-87 The Israelites worship a golden calf 88-89 Moses reproaches them with idolatry 90-91 They lay the blame on al Sámirí 92-93 The people disobey Aaron 94-95 Moses rebukes Aaron—his apology 96 Sámirí's explanation of his conduct 97-98 Sámirí's doom to social ostracism 102-107 The resurrection and the conduct of those judged on the judgment-day 108 No intercession on that day, except by permission 109-111 The fate of the wicked and reward of the righteous 112-113 The Quran made easy for Muhammad, but he is not to be hasty in repeating it The Story of Adam 114 Adam disobeys God 115 All the angels worship Adam except Iblís 116-117 Adam warned against Satan 118-119 Satan beguiles Adam and Eve 120-121 God pardons, but expels them from Paradise 122-124 An admonition promised, with penalty of rejection of it 125-127 Infidels will appear in the judgment blind, and reasons for blindness 128-129 The Makkans warned 130-132 Muhammad comforted and encouraged 133-134 The Jews demand a sign, and the Quraish disbelieve 135 God directs Muhammad to proclaim his readiness to wait the final issue of the controversy between them020 Ta-Ha || সূরা ত্বোয়া-হা
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran # ত্বোয়া-হা #TaHa#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 29 Apr 2021 - 36min - 19 - 019 Maryam || সূরা মরিয়ম
সূরা মারইয়াম (আরবি ভাষায়: سورة مريم) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১৯ নম্বর সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৯৮ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৬। সূরা মারইয়াম মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটির প্রথমে হযরত জাকারিয়া এর প্রার্থনার কথা, পরে বিবি মরিয়ম এবং পুত্র হযরত ঈসা-এর সম্পর্কে বলা হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির ষোড়শ আয়াতের وَاذْكُرْفِيالْكِتَابِمَرْيَمَ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থ্যাৎ এটি সেই সূরা যাতে بِمَرْيَمَ শব্দটি আছে।
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
মুসলমানদের আবিসিনিয়ায় হিজরতের প্রাক্কালে এই সূরাটি নাযিল হয়।
019 Maryam || সূরা মরিয়ম
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran # মরিয়ম #Maryam#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 29 Apr 2021 - 26min - 18 - 018 Al-Kahf || সূরা আল-কাহফ
আল কাহফ (আরবি ভাষায়: الكهف) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১৮ তম সূরার আয়াত সংখ্যা ১১০ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১২ টি। আল কাহফ সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরায় কোরাইশদের তিনটি প্রশ্নের কথা এবং প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। এই সূরায় হযরত মুসা এবং হযরত খিযির এর ঘটনাটিও বর্ণনা করা হয়েছে।
বৈশিষ্ট্য
মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও মুসনাদে আহমদে হযরত আবুদ্দারদা থেকে বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি সূরা কাহ্ফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করে, সে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে নিরাপদ থাকবে। মুসনাদে আহমদে হযরত সাহ্ল ইবনে মু'আযের রেওয়ায়েতে আছে যে, রসূলুল্লাহ্ বলেনঃ যে ব্যক্তি সূরা কাহ্ফের প্রথম ও শেষ আয়াতগুলো পাঠ করে, তার জন্যে তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটি নূর হয়ে যায় এবং যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ সূরা পাঠ করে, তার জন্যে যমীন থেকে আসমান পর্যন্ত নূর হয়ে যায়।
রূহুল-মা'আনীতে হযরত আনাস -এর বর্ণিত রসূলুল্লাহ্ বলেনঃ সূরা কাহফ সম্পূর্ণটুকু এক সময় নাযিল হয়েছে এবং সত্তর হাজার ফেরেশতা এর সঙ্গে আগমন করেছেন। এতে এর মাহাত্ম্য প্রকাশ পায়।
018 Al-Kahf || সূরা আল-কাহফ
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran # AlKahf #আলকাহফ#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 29 Apr 2021 - 43min - 17 - 017 Al-Isra || সূরা বনী-ইসরাঈল
বনী-ইসরাঈল বা সূরা ইসরা (আরবি ভাষায়: سورة الإسراء) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১৭ তম সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ১১১ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১২ টি। বনী-ইসরাঈল সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরা মুহাম্মাদ এর মেরাজের কথা, পিতা-মাতার ও আত্মীয়-স্বজনের হক, এতীমদের সম্পর্কে, ওয়াদা করার সম্পর্কে, নামায সম্পর্কে, রূহু সম্পর্কে কুরাইশদের প্রশ্ন, বলা হয়েছে।
মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত সফরকে 'ইসরা' বলা হয় এবং সেখান থেকে আসমান পর্যন্ত যে সফর হয়েছে, তার নাম মে'রাজ। ইসরা অকাট্য আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। আর মে'রাজ সূরা নাজমে উল্লেখিত রয়েছে এবং অনেক মুতাওয়াতির হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। মে'রাজে গিয়ে মুহাম্মাদ তার উম্মতের জন্য প্রথমে পঞ্চাশ ওয়াক্তের নামাজ ফরয হওয়ার নির্দেশ হয়। অতঃপর তা হ্রাস করে পাঁচ ওয়াক্ত করে দেয়া হয়। এ দ্বারা সব এবাদতের মধ্যে নামাজের বিশেষ গুরুত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়। হরবী বলেনঃ ইসরা ও মে'রাজের ঘটনা রবিউস সানি মাসের ২৭ তম রাত্রিতে হিজরতের এক বছর পূর্বে ঘটেছে। ইবনে কাসেম সাহাবী বলেনঃ নবুওয়ত প্রাপ্তির আঠারো মাস পর এ ঘটনা ঘটেছে। মুহাদ্দেসগণ বিভিন্ন রেওয়ায়েত উল্লেখ করার পরে কোন সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করেননি। কিন্তু সাধারণভাবে খ্যাত এই যে, রজব মাসের ২৭ তম রাত্রি মে'রাজের রাত্রি।
017 Al-Isra || সূরা বনী-ইসরাঈল
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran # বনীইসরাঈল #Isra#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 29 Apr 2021 - 42min - 16 - 016 An-Nahl || সূরা আন-নাহল
সূরা আল নাহল, (আরবি: سورة النحل), (মৌমাছি) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ষোলতম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১২৮টি।
নামকরণ
এই সূরার ৬৮ আয়াতের وَأَوْحَى رَبُّكَ إِلَى النَّحْلِ বাক্যাংশ থেকে এ নামকরণ করা হয়েছে। এও নিছক আলামত ভিত্তিক, নয়তো নাহল বা মৌমাছি এ সূরার আলোচ্য বিষয় নয়।
016 An-Nahl || সূরা আন-নাহল
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran # নাহল #Nahl#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 29 Apr 2021 - 50min - 15 - 015 Al Hejr || সূরা আল-হিজর
সূরা আল হিজর (আরবি: سورة الحجر, বাংলায়: প্রস্তরময় ভূভাগ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের পনেরতম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৯৯টি।
নামকরণ
এই সূরার ৮০ নং আয়াত থেকে আল হিজর শব্দটি থেকে সূরার নামকরণ হয়েছে।[১]
الحجر (আল-হিজর) অর্থ পাথর। শিরকের কারণে হৃদয় কঠিন হয়ে যায় যা কিনা পাথরের মত শক্ত। আর জাহান্নামকে পূর্ন করা হবে মানুষ আর পাথর দ্বারা যা দিয়ে মূর্তি তৈরী করা হয়। সত্যকে অস্বীকার করার ফলে পাথর হৃদয়ের মানুষের এবং ইবলিসের কি হাল হয়েছিল তা বর্ণনা করা হয় এই সূরাতে।
Summary
1-3 Unbelievers will one day wish themselves Muslims 4-5 Every nation has its day of grace 6 Muhammad charged with demoniacal possession 7 The unbelievers say a true prophet would have come with a company of angels 8 Angels are not sent to gratify curiosity, but to minister judgment 9 God the author and preserver of the Quran 10-11 The former prophets were laughed to scorn 12-15 The scoffing Quraish judicially blinded 16-20 God declares his glory in the heaven and the earth 21-22 He is active in every part of Nature 23-25 He is the God of life, death, and judgment 26-29 God says Men are Made From Clay— and Jinn are Made of Fire 29-33 Iblís among the angels refuses to worship Adam 34-38 He is cursed and respited until the judgment 39-40 Satan declares to God his purpose to seduce men 41-42 The elect are safe from Satan’s power 43-44 The seven gates of hell will receive Satan’s followers 45-50 Paradise joys in store for true believers 51-77 The story of Abraham and Lot 78-79 The unbelieving Midianites are destroyed 80-81 The scoffing inhabitants of Al Hajr reject their prophets though accompanied with miracles 82-84 Rock-hewn houses fail to save them 85-86 The heaven and earth created in righteousness 87 Command to repeat the seven verses 88-90 Muhammad not to envy the prosperity of infidels 91-93 The enemies of God will surely be punished 94-96 Muhammad commanded to preach boldly 97-99 He is exhorted to praise and serve God until death015 Al Hejr || সূরা আল-হিজর
অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত
Quran Recite with Bengali Translation
Islamic Foundation Bangladesh
#Islam #Quran # AlHejr #হিজর#IslamicFoundation #Recite #Bengali #bangla
Thu, 29 Apr 2021 - 19min
Podcasts semelhantes a অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত || Quran Recitation with Bangla Translation
- Global News Podcast BBC World Service
- El Partidazo de COPE COPE
- Herrera en COPE COPE
- Tiempo de Juego COPE
- The Dan Bongino Show Cumulus Podcast Network | Dan Bongino
- Es la Mañana de Federico esRadio
- La Noche de Dieter esRadio
- Hondelatte Raconte - Christophe Hondelatte Europe 1
- Affaires sensibles France Inter
- La rosa de los vientos OndaCero
- Más de uno OndaCero
- La Zanzara Radio 24
- Les Grosses Têtes RTL
- L'Heure Du Crime RTL
- El Larguero SER Podcast
- Nadie Sabe Nada SER Podcast
- SER Historia SER Podcast
- Todo Concostrina SER Podcast
- 安住紳一郎の日曜天国 TBS RADIO
- TED Talks Daily TED
- The Tucker Carlson Show Tucker Carlson Network
- 辛坊治郎 ズーム そこまで言うか! ニッポン放送
- 飯田浩司のOK! Cozy up! Podcast ニッポン放送
- 武田鉄矢・今朝の三枚おろし 文化放送PodcastQR
Outros Podcasts de Religião e Espiritualidade
- Holy Quran Daily Podcast Quran-Cast.net
- Bangla Waz General Iq
- Gita For Daily Living Neil Bhatt
- Quran Bangla القرآن الكريم
- Baba Harihar Ramji's Navaratri Satsangs Baba Harihar Ramji
- Quran in Urdu-Tafheem-ul-Quran Vaseem Pasha
- The Sadhguru Podcast - Of Mystics and Mistakes Sadhguru Official
- Rama Mantra Chanting and Kirtan Sukadev Bretz - Joy and Peace through Kirtan
- تلاوات نادرة Amr
- Quran Urdu القرآن الكريم
- Перевод Корана Someone
- Joel Osteen Podcast Joel Osteen, SiriusXM
- Quran Mo Rahman
- الشيخ ماهر المعيقلي islami
- Mufti Tariq Masood Podcast Mufti Tariq Masood Speeches
- Al-Quran Al-kareem Al-Quran Al-kareem
- الشيخ أحمد العجمي islami
- Mufti Menk Muslim Central
- Bhagavad Gita Spydor Studios
- Quran with Urdu A A